বাজার অর্থনীতির সালতামামিঃ মহাজোট সরকারের এক বছর by হারুন আর রশীদ


২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ বাংলাদেশের প্রায় সব ক’টি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ ছিল এরকম—বাংলাদেশের অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকারের এক বছরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রচুর উন্নয়ন সাধন ঘটেছে। এ কথা বলেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
২০০৯ সালের পুরোটা সময় ধরে বিশ্ব মহামন্দা বিরাজমান থাকলেও এ থেকে যে ক’টি দেশ তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গভর্নরের দৃষ্টিতে বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সফল সূচক ঊর্ধ্বমুখী। ২০০৯ সালে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার থেকে ২০০৯ সালে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়েছে। অলস টাকা এখন মানুষ ব্যাংকে আমানত রাখে না, কারণ সরকার ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে দিয়ে মানুষকে পুঁজিবাজারে তাদের আমানতের টাকাটা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। বিবিসি, সিএনএন এবং আল জাজিরা মিডিয়া থেকে বিশ্ব অর্থনীতির সালতামামি প্রকাশ করতে গিয়ে সূচনায় বলেছেন, ২০০৯ সালে বিশ্ব মহামন্দার আশঙ্কা যেভাবে বিশ্বের পুঁজিপতি রাষ্ট্রগুলো মনে করেছিল সেটা ঘটেনি। তারা মহামন্দার আগ্রাসী ছোবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছেন। ১৯৩০ সালের মতো অর্থনৈতিক মহামন্দা ২০০৯ সালে দেখা দেয়নি। এ কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পর্যন্ত স্বীকার করেছেন, বছরের সমাপ্তিলগ্নে তার এক ভাষণে। সরকারি দলের মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি মিডিয়া যখন বলছে মহামন্দা তেমনভাবে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থানকে নাজুক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে, উন্নয়নের সব সুচকই যখন ঊর্ধ্বমুখী অর্থাত্ ইতিবাচক, তাহলে বাজার অর্থনীতিতে এর প্রতিফলন ঘটেনি কেন? অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব সূচক যখন ইতিবাচক তখন বাজার অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি। ২০০৯ সালে কোনো কোনো পণ্যের দাম বিগত এক বছরের হিসাবে (২০০৮) প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, বিশেষ করে চিনি এবং আলুর দাম অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। চিনির দাম বর্তমান সরকারের এক বছরে ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল এবং এক হালি মুরগির ডিম ৩০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। প্রতিবেশী দেশের আলু ৩০/৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। চারদলীয় জোট সরকার এবং দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই তিনটির দাম এভাবে বৃদ্ধি পায়নি। মসুর ডাল, আটা ভোজ্যতেল এবং চালের দামও ২০০৯ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময়ে (ডিসেম্বর-২০০৮) আলুর কেজি ছিল ১৮ টাকা, ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯-এ সেই আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ঢাকার বাজারে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বরিশাল গিয়ে দেখলাম বরিশালের বাংলাবাজারে ২৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা বলল এই দাম বর্তমান সরকারের আমল থেকে শুরু হয়েছে। ইমপোর্ট আইটেম নয়, এমন সব দেশীয় পণ্য চাল, ডাল, আলু, শাক-সবজি, তরিতরকারি এবং মৌসুমি ফলের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখি তখন মনে প্রশ্ন জাগে, সরকার তার এক বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইতিবাচক সূচকটা বাজার অর্থনীতিতে কেন কার্যকরী করতে ব্যর্থ হলো। ২০০৯ সালের এই এক বছরে দেশে কোনো হরতাল-অবরোধ ছিল না। বিরোধী দল সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনে যায়নি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের নির্বাচনী মূল এজেন্ডা ছিল পণ্যের সব মূল্য অর্ধেকের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী বক্তৃতায় ১০ টাকা কেজি দরে মোটা চাল, ৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ এবং বিনামূল্যে কৃষকদের সার দেয়ার লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসতে পারলে মজুতদার ও মুনাফাখোরদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি বন্ধ করা হবে। ভোক্তাদের স্বার্থে ভোগ্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা হবে। ক্ষমতায় এসে সরকার চেষ্টা যে করেনি এ কথা বলব না—কিন্তু সরকার বাজার মনিটরিংয়ে সম্পূর্ণভাবে যে ব্যর্থ হয়েছে এটা সরকারি মন্ত্রীরাই বলেছেন বিভিন্ন সভা-সমিতিতে। পরিবহন চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ও দালালচক্র ভোক্তা পর্যায়ে এসে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে সরকারি মন্ত্রীরা বলেছেন। অতি দুঃখজনক যে, বাজার অর্থনীতি বিগত ৩৯ বছর ধরে যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে কৃষকরা ঠকছে পণ্যের যথার্থ মূল্য না পেয়ে, অন্যদিকে ভোক্তারা বেশি দাম দিয়ে স্থানীয় বাজার থেকে কৃষিজাত পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে ভোক্তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। তিন বছর আগের চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, কোনো কোনো পণ্যের দাম একশ’ থেকে তিনশ’ ভাগ পর্যন্ত বেড়েছে। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি পায়নি। অথচ পামঅয়েল ও সয়াবিন তেলের দাম খোলাবাজারে লিটারপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা ছিল গত এক মাসের হিসাব (নভেম্বর-২০০৯)। ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে ওই এক মাসে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে। (এ তথ্য টিসিবির) টিসিবির তথ্য অনুযায়ী শুধু নভেম্বর মাসে মসুর ডালের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ খুচরা বাজারে মসুরের ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি করে বিক্রি হয়েছে।

চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে (অক্টোবর-২০০৬) এক লিটার সয়াবিন তেল (খোলা) খুচরা বাজারে বিক্রি হতো ৫০ টাকা কেজি দরে এবং পামঅয়েল প্রতি লিটার ৪০ টাকা করে। সয়াবিন তেল ডিসেম্বর ২০০৯-এ এসে ৮৫ টাকা এবং পামঅয়েল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে (প্রতি লিটার)
উল্লিখিত পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে। কিন্তু তিন বছরের ব্যবধানে এই মূল্যস্ফীতি ছিল আকাশচুম্বি। অর্থনীতির একজন সাধারণ পাঠক, লেখক এবং ভোক্তা হিসেবে চিন্তা করলে দেখা যাবে—বাজারে সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা যেভাবে চিন্তা করেন সেটা অনেকটা ভোগবাদী ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজে লাগে। ব্যাংকে কত টাকা রিজার্ভ আছে, পুঁজিবাজার কেমন চলছে, রফতানি-আমদানি বাণিজ্যের সূচক কেমন আছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো না মন্দ—এসব সাধারণ ভোক্তাদের জানার বিষয় নয়। তারা বাজার ব্যবস্থার উন্নতি দেখতে চায়।
টাকার অংকে প্রতি ডলারের মূল্য ৬৯ দশমিক ৬৫ টাকা (২৮/১২/০৯)। বিগত তিন বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে—ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য স্থির থাকেনি। একটি দেশের স্বর্ণের মূল্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডলারের মূল্য ধরে যদি আমরা হিসাব মিলাই, তাহলেও দেখা যাবে আমাদের দেশে শ্রমজীবী মানুষের আয় ও ব্যয়ের যে ব্যবধান সেটা বিশ্বের খুব কম দেশেই পরিলক্ষিত হয়। সরকার ১২ নভেম্বর ২০০৯ নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করেছে। ২০০৫ সালের সর্বশেষ বেতন বৃদ্ধির পর বিগত ৪ বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার সামগ্রিক ব্যয় বেড়েছে। এটা যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ হলেও শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা কয়েক বছর ব্যবধানে ঘটা করে বাড়ানোর যে চল এ দেশে রয়েছে সেটা কতটা যুক্তিসঙ্গত—তা ভাবতে হবে। মাত্র ১২ লাখ সরকারি চাকরিজীবী, প্রতিরক্ষা, স্বায়ত্তশাসিত ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুযোগটি পাবে। তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এ সংখ্যা ৫০ লাখ হতে পারে। বর্তমান বাজারমূল্যে সুবিধাভোগী হচ্ছে শুধু ৫০ লাখ মানুষ। দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২২ লাখ (২০০৯ নভেম্বর হিসাব অনুযায়ী)-এর মধ্যে ৬ কোটি লোক কর্মহীন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লাখ লাখ মানুষের বেতনভাতা বাড়েনি। বাজার দরের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তারা কীভাবে সামঞ্জস্য রক্ষা করবে। বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রয়েছে বিরাট অংকের ব্যবধান। সর্বোচ্চ বেতন ৪০ হাজার ও সর্বনিম্ন ৪ হাজার একশ’ টাকা। বেতনের ক্ষেত্রে শুধু বৈষম্য, কিন্তু পণ্যমূল্য সবার জন্যই সমান থাকছে। এক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় সর্বোচ্চ বেতনভোগীরা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারবেন। একশ্রেণীর মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে বোঝা যাবে না দেশের অর্থনীতি সচল হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য হলো—দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়তে হবে।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন ভাতা প্রতি বছর সমন্বয় করা বেশি যুক্তিসঙ্গত। ৪ বছরের গ্যাপটা ভোক্তাদের জন্য ক্ষতিকর হলেও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জন্য সেটা পোয়াবারো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতার কাজটি প্রতি বছরই সমন্বয় করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দেশে মূল্যস্ফীতির হিসাব থাকে, যে বছর যে হারে মূল্যস্ফীতি ঘটে সে বছর ওই হারে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা বাড়ানো হয়। বার্ষিক ইনক্রিমেন্টকে মূল্যস্ফীতির সূচকের সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়। সব দেশেই মূল্যস্ফীতি ঘটে ক্রমান্বয়ে, ৪/৫ বছর গ্যাপ কোনো দেশেই থাকে না। দীর্ঘ বছর ধরে চাকরিজীবীদের মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে রেখে চার বা পাঁচ বছর পর একবার বেতনভাতা বাড়ানো সঠিক পদ্ধতি নয়। এর নেতিবাচক দিকটি হলো—বড় অংকের বেতনভাতা বাড়ানোর ফলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম হঠাত্ করে বেড়ে যায়। এবার মূল্যস্ফীতির তুলনায় বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে অনেক বেশি হারে। ৪ বছরে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৩১ শতাংশ আর গ্রেড ভেদে বেতনভাতা বেড়েছে ৫৬ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে নতুন বেতন কাঠামো মূল্যস্ফীতির ওপর খানিকটা চাপ ফেলতে পারে। এজন্য অসত্ ব্যবসায়ীরা যাতে মূল্যস্ফীতি ঘটাতে না পারে অর্থাত্ দ্রব্যমূল্য বাড়াতে না পারে সে জন্য সরকারকে দক্ষতার সঙ্গে বাজার তদারক করতে হবে।
বর্তমান পে-স্কেলে ভোক্তারা আরও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সব সময় জোটভুক্ত থাকে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে। আয়ের বৈষম্য থাকার কারণে দুর্নীতিই শুধু বাড়ছে না—উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের মধ্যে বিভক্তি থেকে যাচ্ছে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় কৃষক যেমন ঠকছে, তেমনি সাধারণ ভোক্তারাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। –সল উত্পাদন করে কৃষক সেই ফসল কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। আর সাধারণ ভোক্তারা সেই পণ্য বেশি দামে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের নজরদারি এবং তদারকি নিরপেক্ষ না হওয়ার কারণেই দেশে বাজার ব্যবস্থা স্বাধীনতার পর থেকে অনিয়ন্ত্রিতই থেকে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের বাজার ব্যবস্থায় পণ্যের সরবরাহ লাইনটা ঠিক থাকছে না। এর চারটি কারণ হলো ১. কলকারখানায় উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুত্ ও গ্যাসের সঙ্কটের কারণে ২. দলীয় চাঁদাবাজদের (পরিবহন) শাস্তির কোনো ব্যবস্থা নেই ৩. মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেই ৪. অতি মুনাফালোভীদের ব্যাপারে বর্তমান সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আমদানিকারকরাও যথাসময়ে মাল বাজারজাত করেন না—কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে তারাও পাইকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের মুনাফা লুটছে। বিগত এক বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এসব ব্যাপারে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলেই বিগত দুই সরকারের আমলের চেয়ে পণ্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি রূপ নিয়েছে। ২০১০ সালে যেন বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে—এটাই ক্রেতা সাধারণের প্রত্যাশা।
লেখক : কলামিস্ট, গ্রন্থকার

No comments

Powered by Blogger.