চালক ও সহযোগীকে খুন করে ট্রাক লুট-তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ

রাজধানীর বনানীতে চালভর্তি ট্রাক ডাকাতি ও জোড়া খুনের মামলার আসামি তিন ‘সড়ক ডাকাত’ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্মপণ করে আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।


এই তিন আসামি হেলাল উদ্দিন, রমজান আলী ও অলক চন্দ্র দাস আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ জানুয়ারি গুলশান থানাধীন বিমানবন্দর সড়কের পূর্বপাশে বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের পাশে একটি জলাশয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দুই অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্তে বের হয়, নিহত ব্যক্তিরা হলেন চালক নুরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী ইসলামুল হক।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডির পরিদর্শক জিয়াউর রহমান গত বছরের ৩০ এপ্রিল ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, গত বছরের ২ জানুয়ারি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের বিসমিল্লাহ অটো রাইস মিল থেকে ২৮০ বস্তা চাল ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-১০৬৮) বোঝাই করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের উদ্দেশে রওনা দেন চালক নুরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী ইসলামুল হক। ট্রাকটি ঢাকার বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে পৌঁছালে আন্তজেলা ডাকাতের কবলে পড়ে। গাজী আবুল হাশেমের নেতৃত্বে ডাকাত দল দুটি ট্রাকের সাহায্যে পথ আটকিয়ে চালবোঝাই ট্রাকটি আটকায়।
ডাকাতেরা ট্রাকচালক নুরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী ইসলামুল হকের হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাঁদের হত্যা করে।

No comments

Powered by Blogger.