দ্রুতই সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরব: যুবরাজ

রোগটা যা-ই হোক, ক্যানসার তো! একটা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা থেকেই যায়। সারবে তো! প্রাণঘাতী নয় তো। যুবরাজ সিংয়ের ধরা পড়া ক্যানসার ব্যাধি নিয়েও যেন ভারতে নানা জল্পনা-কল্পনা। কয়েকটি গণমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই অতিরঞ্জনটা চলে এসেছেই।


ক্যানসার ধরা পড়ার পরপরই যুবরাজের ব্যক্তিগত চিকিত্সক জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর এই ক্যানসার কেমোথেরাপিতে পুরোপুরি সেরে যাওয়ার মতোই। একেবারে প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়া এই ক্যানসার সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে তাই এ মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্ন পরিচর্যা চলছে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম অবদান রাখা কেতাদুরস্ত এই অলরাউন্ডারের।
তবে, যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা মর্মাহত তাঁর রোগ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত অতিরঞ্জিত সংবাদে। ভারতেরই একটি শীর্ষ দৈনিকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় যুবরাজ বলেছেন, ‘আমার রোগ নিয়ে অতিরঞ্জনের কোনো অবকাশ নেই। চিকিত্সকদের প্রতি আমার অগাধ আস্থা রয়েছে। তাঁরা আমাকে অভয় দিয়েছেন। বলেছেন, নিয়মিত চিকিত্সার মাধ্যমে আমি খুব তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে উঠব এবং ক্রিকেটে ফিরব।’
যুবরাজ আরও বলেন, ‘আমি লড়াকু মানসিকতার একজন মানুষ। ক্রিকেট মাঠেও লড়াই করেছি সব সময়। বিনা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে এক বিন্দু ছাড় দিইনি। ক্যানসারের সঙ্গেও লড়াই চালিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, ‘ক্যানসার ধরা পড়ার পর আমি বেশ ভেঙে পড়েছিলাম। ক্যানসার হয়েছে—এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, অনেক কিছুই জীবনে করেছি, যা করা আমার উচিত হয়নি। তবে একজন মনোরোগ চিকিত্সকের সাহায্যে আমি প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠেছি।’
যুবরাজ কিছুটা হতাশার সুরেই বলেছেন, ‘ভারতের অনেক গণমাধ্যম আমার অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা ঠিক না। আমার চিকিত্সা বেশ ভালো হচ্ছে, প্রতিটি ওষুধ ভালো কাজ করছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে খুব দ্রুতই আমি ক্রিকেটে ফিরতে পারব।’
যুবরাজ গণমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর সংবাদের ব্যাপারে বেশ সাবধানতাও অবলম্বন করেছেন। তিনি তাঁর মা, ভাইকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছেন। এর কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে যুবরাজ বলেন, অনেক সময় তাঁরা সরল মনে অনেক কথা বলেন, কিছু গণমাধ্যম এটাকে অন্যভাবে প্রকাশ করে।
দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক ভক্তদের আশীর্বাদ যুবরাজ পেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে আমার রোগমুক্তি প্রার্থনা করেছেন অনেকে। আমি এই ভালোবাসায় অভিভূত। তাঁর মতে, এই ভালোবাসাই আমাকে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।’ অসুস্থতার মধ্যে স্বভাবজাত চটুলতা ছাড়েননি যুবরাজ। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘দুই দিন আগে আমি টুইটারে শুভেচ্ছা বার্তার জবাব দিতে বসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর মনে হলো, এই কাজের জন্য একজনকে নিয়োগ দিলে কেমন হয় ! এত পোস্ট, এত শুভেচ্ছা—যার জবাব একা বসে দেওয়া সম্ভব নয়!’

No comments

Powered by Blogger.