ক্রীড়া অস্কার জিতলেন জোকোভিচ

আর কদিন বাদে ঘোষণা করা হবে অস্কার বিজয়ীদের নাম। চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে নামজাদা পুরস্কার। তবে এরই মধ্যে কিন্তু ক্রীড়া-অস্কারজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে। পরশু লন্ডনে জমকালো এক অনুষ্ঠানে সেই লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলেছেন নোভাক জোকোভিচ। লিওনেল মেসিকে হারিয়ে দিয়ে এই পুরস্কার জিতলেন এই সার্বিয়ান।


গত বছর অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা জোকোভিচ ৭৬টি ম্যাচ খেলে জিতেছেন ৭০টিতেই। জিতেছেন তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাও।
২০০০ সালে চালু হওয়া এই পুরস্কার এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলার জেতেননি। ছয়বারই জিতেছেন টেনিস খেলোয়াড়েরা, তাঁদের মধ্যে এক রজার ফেদেরারই টানা চারবার। গতবারও মেসি হেরে গিয়েছিলেন আরেক টেনিস খেলোয়াড় রাফায়েল নাদালের কাছে।
ব্যক্তিগত পুরস্কার না পেলেও দলগত পুরস্কারটি কিন্তু মেসির দলই জিতেছে। বর্ষসেরা দলের স্বীকৃতি পেয়েছে বার্সেলোনা। এনবিএ চ্যাম্পিয়ন ডালাস মাভেরিকস, ফর্মুলা ওয়ানের দল রেড বুল, রাগবি বিশ্বকাপজয়ী নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল এবং মহিলা বিশ্বকাপজয়ী জাপান ফুটবল দলকে হারিয়ে এই পুরস্কার জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল। বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন কেনিয়ার দূরপাল্লার দৌড়বিদ ভিভিয়ান চেরুইয়ট।
জোকোভিচ যে যোগ্যতম হিসেবেই পুরস্কারটি জিতেছেন, এ নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। গত বছর চারটি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ওপেনটাই অধরা ছিল। কয়েক বছর ধরে টেনিস-বিশ্ব শাসন করে আসা নাদাল-ফেদেরারের ওপরও ছড়ি ঘুরিয়েছেন। গতবারের সেই অবিশ্বাস্য ফর্ম ধরে রেখে এবারও জিতেছেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
এ বছর জোকোভিচের সামনে সুযোগ ‘গোল্ডেন স্লাম’ জেতার। সে জন্য বছরের বাকি তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের সঙ্গে অলিম্পিকেও সোনা জিততে হবে। কাজটা কঠিন। জোকোভিচের ক্যারিয়ারেও বড় শিরোপা বলতে ফ্রেঞ্চ ওপেনটাই বাদ আছে। এবার সেটি জিততে পারলে ‘ক্যারিয়ার গোল্ডেন স্লাম’ পূর্ণ হবে।
এখন পর্যন্ত ফরাসি লাল দুর্গের ফাইনালে খেলতে পারেননি, অলিম্পিকের একমাত্র পদকটিও ব্রোঞ্জের। তবে ২৪ বছর বয়সী জোকোভিচ এবার সেই অপূর্ণতা ঘুচিয়ে দেওয়ারই স্বপ্ন দেখছেন, ‘দুটোই কেন নয়? কীভাবে ব্যস্ত সূচি সামলাতে হয়, কীভাবে বড় টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়—আমি সবই শিখেছি। এটা (অলিম্পিক সোনা ও ফ্রেঞ্চ ওপেন) এবার অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব।’ রয়টার্স, ওয়েবসাইট।

যেভাবে ভোট হয়
ভোটাভুটি হয় দুটি পর্যায়ে। প্রথম পর্যায়ে ৮০টিরও বেশি দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া সম্পাদক, লেখক ও ভাষ্যকারের ভোটে প্রতিটি শ্রেণীতে ছয়জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পুরো নির্বাচন-পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্স। এরপর লরিয়াস স্পোর্টস একাডেমির সদস্যদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া ভোটে হয় চূড়ান্ত নির্বাচন।

No comments

Powered by Blogger.