প্রথমবার এমপি হয়েই 'ধরাকে সরা জ্ঞান' by পাভেল হায়দার চৌধুরী

প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কর্মকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নতুন সংসদ সদস্যরাই বেশি জড়াচ্ছেন। আর এতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের দায়িত্বশীল নেতারা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুরনো-নতুনের সম্মিলনে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালুর লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রায় ১০০ নতুন নেতাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেন। তাঁদের বেশির ভাগ বিজয়ী হলেও দলের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে সমালোচনা হচ্ছে। তাঁদের জন্য দলের বিব্রতকর অবস্থার কথা গণমাধ্যমে প্রায়ই স্বীকার করছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।


তবে নতুন এমপিরা মনে করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মিথ্যা। এসব অভিযোগ তোলার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে তাঁদের মনোনয়ন কেড়ে নেওয়া।
ক্ষমতার প্রভাব, খবরদারি, দলাদলি, কোন্দল, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অবহেলা, নির্বাচনী এলাকায় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলা, সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা, টেন্ডার-ঠিকাদার নিয়োগ, ভূমি দখল, সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা, নিয়োগ-তদবিরসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত এসব সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। এমনকি 'কাবিখা' কার্যক্রমেও অনিয়ম করছেন কোনো কোনো এমপি_এমন অভিযোগও রয়েছে। পত্রপত্রিকায় হরহামেশা তাঁদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ফিরিস্তি দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নতুন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বলেও অনেকের দাবি।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ওই সব সংসদ সদস্যের এসব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শীর্ষ নেতারা অবহিত। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বরাবর তাঁদের বিষয়ে লিখিতভাবে অনেক অভিযোগ তৃণমূল নেতারা করেছেন। দল থেকে সতর্ক করা হয় কয়েকজনকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ নতুন সংসদ সদস্যদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে দলের বিব্রতকর অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, যাঁরা ক্ষমতার জোরে 'ধরাকে সরা জ্ঞান' করছেন, তাঁদের জনগণ ভবিষ্যতে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করবে। দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। তবে কিছু কিছু নতুন সদস্য ভালো করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রথমবার নির্বাচিত বিতর্কিতরা : সরকারের প্রায় তিন বছরে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে দলকে বিব্রত করার কেন্দ্রবিন্দুতে যেসব সংসদ সদস্যের নাম বারবার উচ্চারিত হয়েছে, তাঁরা হলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনি, কঙ্বাজার ৪-এর আবদুর রহমান বদি, চট্টগ্রাম ১০-এর এম আবদুল লতিফ, ঢাকা ১৪-এর মো. আসলামুল হক, ময়মনসিংহ-১০ আসনের গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পাবনা ৫-এর গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, নাটোর ৩-এর জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জের সারাহ বেগম কবরী, ঢাকার সানজিদা খানম, পিরোজপুরের ডা. আনোয়ার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩-এর আবদুল ওদুদ, নেত্রকোনার মোস্তাক আহমেদ রুহী, কুড়িগ্রাম ৪-এর জাকির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা ১-এর সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন, মেহেরপুর ১-এর জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
শীর্ষ
নেতাদের বারবার
হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাঁরা বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। এঁরা প্রায়ই সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছেন।
যেসব কারণে বিতর্কিত : পটুয়াখালীর গোলাম মাওলা রনির বেপরোয়া কর্মকাণ্ড, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আর নিজস্ব বাহিনীর দাপটে অতিষ্ঠ গলাচিপা-দশমিনার সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগের এই এমপির বিএনপি-জামায়াতপ্রীতির কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিপ্রস্ত হচ্ছে দলও। রনির শ্যালক মকবুল খান ও ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন 'ভাইয়া বাহিনী' দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো এলাকা। গলাচিপা-দশমিনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার, টিআর-কাবিখাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে ভাইয়া বাহিনী। গত ২০ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি রনিকে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করেন। তিনি তাঁকে বেইমান, মীরজাফর বলে অভিহিত করেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী এমপি রনিকে যথার্থই বলেছেন।
এ সম্পর্কে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রনি সম্পর্কে আর কোনো মন্তব্য করব না। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে গত জুন মাসে তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।' উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন, 'রনির রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তিনি কখনো কোনো পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কমিটিতে ছিলেন না। তাঁর শ্বশুরবাড়ির সবাই বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।' টিটো বলেন, 'দলের কেন্দ্রপর্যায়েও বিষয়টি বারবার জানানো হয়েছে। আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে সবাই এসে দেখে যাক, এলাকায় রনি কাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।'
রনির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যারা আওয়ামী লীগের ভালো চায় না, তারা এসব বলে বেড়াচ্ছে।' পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, লুটপাট আর চাঁদাবাজি করার প্রয়োজন তাঁর নেই।
কঙ্বাজার-৪ আসনের সদস্য আবদুর রহমান বদির সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। কঙ্বাজারের একটি সড়ক মেরামত ও ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে মারধর করেন। গত সংসদ নির্বাচনে কঙ্বাজারের চারটি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের একমাত্র এমপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ২৩ দিন পর তিনি টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনের দিন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিনকে মারধর করেন। এরপর তাঁর হাতে প্রহৃত হন টেকনাফের বন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। এ ছাড়া ভোটার তালিকা তৈরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আবদুল জলিল ও পুলিন দে প্রহৃত হন এমপি বদির হাতে।
ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে নির্বাচিত গিয়াসউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। গফরগাঁওয়ে চলছে সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াসউদ্দিন আহমেদের শাসন। তিনিই এখন এ এলাকার কর্তা। এলাকার উন্নয়নকাজের ঠিকাদারি, ভিজিএফ কার্ড বিতরণ, পরিবহনে চাঁদাবাজি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ_সব কিছু তাঁর একক নিয়ন্ত্রণে। এলাকার প্রধান দুটি সড়ক ভালুকা-গফরগাঁও এবং গফরগাঁও-ময়মনসিংহ সড়কসহ বেশির ভাগ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও 'কমিশন বাণিজ্য' জটিলতায় প্রায় এক বছর ধরে সংস্কারকাজ শুরু করা যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকার এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে জানান, 'আমরা এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মৌখিক অভিযোগ পাই। ঈদের পর উপজেলা সফরে বের হবে জেলা কমিটি। সে সময় এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করব।' তিনি জানান, গত মাসে জেলা কমিটি উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে গিয়াসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নেতারা দিয়েছেন।
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার এলাকায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে একশ্রেণীর মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অভিযোগ করছে। এর পেছনে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্রও রয়েছে।'
পিরোজপুর-৩ আসনের ডা. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ কাবিখার গম-চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানান, 'জনগণ যে আশায় ভোট দিয়েছিল, সে আশা পূরণ হয়নি।' সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কতখানি সত্য_প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অধিকাংশ সত্য। তাঁর ব্যাপারে জেলার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি গত সেপ্টেম্বরে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আমেরিকা গিয়েছিলাম। তখন একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সব তাঁকে অবহিত করেছি। উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব জানি। আমি হায়ার করাদের নিয়ে ভুল করেছি।'
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে মামলা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমানসহ তিনজন বাদী হয়ে চলতি বছর ৯ এপ্রিল এ মামলা করেন। দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. মঈনউদ্দিন মণ্ডল বলেন, 'সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কোনো ঘটনা নয়। এগুলো নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা কী ভাবছেন জানি না। আমরা চিন্তাভাবনা করলেও লাভ হবে না। দলকে সক্রিয় করার জন্য কতখানি কাজ করছেন সংসদ সদস্য তাও জানি না।'
নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে বাগান তৈরি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় রুহীর সমর্থকরা রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর সমর্থক আর সাবেক সংসদ সদস্য জালালউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যকার বিভেদ-দ্বন্দ্ব এতটাই প্রবল যে, আগামী নির্বাচনে এর সুযোগ নিতে পারে প্রতিপক্ষ। এই সংসদ সদস্য সম্পর্কে নেত্রকোনা জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, 'যত রটে তত নয়। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, দেখি।' তিনি বলেন, 'রুহী বয়সে তরুণ। তাই অনেক কিছু না বুঝে করেন।' তা ছাড়া বর্ডারসংলগ্ন এলাকাগুলো একটু 'ক্রিটিক্যাল'।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাকির হোসেন গত ৬ জানুয়ারি রৌমারী ভূমি অফিসের কর্মচারী মোশাররফ হোসেনকে মারধর করেন। পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স জেলা প্রশাসককে প্রকাশ্যে গালমন্দ এবং সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচিত এম আবদুল লতিফের হাতে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারাও লাঞ্ছিত হয়েছেন। তিনি গত ৩১ ডিসেম্বর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আবদুল আজিজ এবং পরে হাবিলদার শামসুল আলমের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ ছাড়া গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের জন্যই তিনি বারবার আলোচিত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সোলায়মান হক জোয়ার্দার আলোচনায় আসেন সাংবাদিক লাঞ্ছিত করে। মেহেরপুর-১ আসনের জয়নাল আবেদীন স্থানীয় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করেন। সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে তিনি ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটির সভাপতি হয়েছেন। জেলার সাধারণ সম্পাদক মিয়া জান আলী অ্যাডভোকেট বলেন, 'এই সংসদ সদস্য রাজনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তাঁর কাছে রাজনীতির চেয়ে টাকা বড়। টিআর, কাবিখা প্রজেক্টের টাকাও লুটপাট করছেন। তাঁর ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে আমরা অবহিত করেছি।' সব অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল আবেদীন বলেন, 'এমপি হয়ে গেলাম মানে সব থেকে খারাপ লোক আমি। বড় ব্যবধানে এবার আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি। ৯৯ ভাগ মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আমার মনোনয়ন কেড়ে নিতে একটি বিশেষ মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।'
দলের সিনিয়র নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম জানান, এসব বিতর্কিত সংসদ সদস্যের বিষয়ে ভবিষ্যতে পর্যালোচনা করেই মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে নবীনরা অতিরঞ্জন ও লিমিট ক্রস এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কঙ্বাজার জেলার তৃণমূল নেতারা সেখানকার এমপি আবদুর রহমান বদি সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রে। কেন্দ্র সতর্ক করে দিয়েছে তাঁকে। এ ধরনের ব্যবস্থা আমরা প্রায় সময় নিয়ে থাকি।' শেখ সেলিম বলেন, প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে পরিচ্ছন্ন চিন্তা আসেনি।

No comments

Powered by Blogger.