শেষ দিনে জয়ের জন্য লড়বে বাংলাদেশ

‘সকালে এক ঘণ্টার মধ্যে জিম্বাবুয়ের পাঁচ উইকেট নিতে হবে, এরপর আমাদের দ্রুত রান তুলতে হবে, পরে আবার ওদের দশ উইকেট নিতে হবে। কাজটা সহজ নয়’, তৃতীয় দিন শেষে বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। কাল কঠিন কাজগুলোর প্রথমটি সারার দায়িত্ব নিলেন সাকিব নিজেই। এখন বাকিটা ঠিকঠাক হলে খুলনাতেও জয়! আজও আরও কিছু সময় ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের শেষ কাজটা হবে ম্যাচের পঞ্চম দিনে জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেট তুলে নেয়া। তাহলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত হবে মুশফিকুর রহিমদের। পাঁচ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে স্বস্তিতেই চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে ২৬৬ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা। শেষদিনে এই রান করা সহজ নয় সেটাও জানালেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ ইনিংসে কিন্তু দেড়শ’ রানও খুব কঠিন।’ মুমিনুল জানালেন জয়ই বাংলাদেশের লক্ষ্য। শেষদিনে জয়ের জন্যই ঝাঁপাবে টাইগাররা। আবার ৩০০-র কাছাকাছি রান তাড়া করে জেতা সম্ভব বলে মনে করছেন এলটন চিগুম্বুরা। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ভুল শট খেলেছি আজ (কাল)। এগুলো আগামীকাল (আজ) শুধরে নিতে পারলে এই রান টপকানো সম্ভব।’ বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে দ্রুততম ১০০০ রানের মাইলফলক পার করেছেন মুমিনুল হক। সাকিব সেঞ্চুরির পর পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে। কাল মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই এক ওভার ব্যাট করে ফেলল বাংলাদেশ। আগেরদিন এমন পরিকল্পনাই ছিল। সকালে সাকিব আল হাসান যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে কাজটা আরও সহজ হতে পারত। তবে রেগিস চাকাবভার সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের মিডল অর্ডার কাজটা একটু কঠিন করে দেয়। দিনের পঞ্চম ওভারেই সফল হন সাকিব আল হাসান। আগেরদিনের ১৫৪ রান নিয়ে খেলতে নামা হ্যামিলটন মাসাকাদজাকে ১৫৮ রানেই ফিরিয়ে দেন এই অলরাউন্ডার। একই ওভারে ফিরতে পারতেন ম্যালকম ওয়ালারও। কিন্তু ফাইন লেগে সহজ ক্যাচটা ছেড়ে দেন পেসার শাহাদাত। এ ওয়ালারকে ফিরিয়েই ১৩তমবারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন সাকিব। পরের ওভারে কাজটা আরও সহজ করে দেন পেসার রুবেল হোসেন। চাতারাকে ফিরতি ক্যাচে পরিণত করে এবং নাতশাই এম’শাংগুয়েকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে। এরপর আগেরদিনের হাফ সেঞ্চুরিয়ান রেগিস চাকাবভার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ৩৬৮ পর্যন্ত যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিড পায় ৬৫ রান।
জিম্বাবুয়ে অলআউট হওয়ার পরই দর্শকরা ভেবে নেয় ম্যাচ জিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সমীকরণও তখন বাংলাদেশের পক্ষে। ৬৫ রানের লিড নিয়ে প্রথম কয়েক ওভার ধরে খেলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান। প্রথম ইনিংসে মন্থরতম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া তামিম কাল ২৫ বলে ২০ রানেই আউট হলেন। এরপর শামসুর রহমানও বেশিদূর এগোতে পারলেন না। তিন ও চার নম্বরে নামা মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহই বাংলাদেশকে বড় লিডের পথ দেখান। হাফ সেঞ্চুরি করলেন দু’জনই। খুলনার উইকেট কাল সকালে যেমন ছিল বিকালেও তেমনই। মুমিনুল ৫৪ রানে আউট হওয়ার পর সাকিবও টিকতে পারলেন না। এরপর মুশফিকের গোল্ডেন ডাকে হারের শংকা উঁকি দেয়। বাংলাদেশের রান তখন পাঁচ উইকেটে ১৪৫। ওয়ালারই নিলেন চার উইকেট। ম্যাচে ক্যারিয়ারের ১১তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৩ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ ও ২৩ রানে ব্যাট করা শুভাগত হোম আজ দ্রুত কিছু রান তুলবে এটাই প্রত্যাশা দলের। কাল তাদের ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই ভয় তাড়িয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারছে বাংলাদেশ।স্বেচ্ছা অবসরের আবেদন দুই সচিবেরযুগান্তর রিপোর্টচাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছেন দুই সচিব। তারা হলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা ও সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব একেএম আমির হোসেন। বৃহস্পতিবার তাদের স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার আবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্য সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা এবং পিএসসি সচিব আমির হোসেনের স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া সংক্রান্ত আবেদন পেয়েছি।মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দু’জনসহ চারজনের সনদ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশে ২২ সেপ্টেম্বর এ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ অক্টোবর এ চার কর্মকর্তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নোটিশের জবাব দেন তারা।মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া সংক্রান্ত চিঠি দুটি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারই এ সংক্রান্ত দুটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফাইল দুটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এরপর তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয়ে ফেরত এলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।সূত্র আরও জানায়, আমির হোসেনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমি ২৫ বছর চাকরি করেছি। এখন অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।’ মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞার চিঠিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি স্বেচ্ছা অবসরে যেতে চান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে চিঠি দেয়া হলে তা চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে এবং তা পরিবর্তন বা প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়া যাবে না।সনদ বাতিল হওয়া অন্য দুজনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী ৩১ অক্টোবর অবসরে গেছেন। একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার বর্তমানে ওএসডি হিসেবে রয়েছেন। অন্যদিকে বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট প্রাথমিকভাবে স্থগিত করা হয়। এরই মধ্যে তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

No comments

Powered by Blogger.