বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কার্যকর করা হয়নি এমন সব মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। গতকাল ইইউ এমন আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি শিথিল করতে হবে। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখে। এরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ আহ্বান জানালো। এ খবর দিয়েছে কুয়েতি বার্তা সংস্থা কুনা। এতে বলা হয়, রোববার বাংলাদেশের বিশেষ আদালত জামায়াতে ইসলামীর আরেক সিনিয়র নেতা মীর কাসেম আলীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। গত সপ্তাহে ওই আদালত দলের আমীর মতিউর রহমান নিজামীকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেদেরিকা মোগেরিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে বিচারপ্রক্রিয়া আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যে কোন অবস্থায় এবং যে কোন মামলায় আমরা শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী- ইউরোপীয় ইউনিয়ন আবারও জোর দিয়ে সে কথা বলছে। এর আগে বুধবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি প্রধান পিয়েরে মায়াদোঁ সংবাদ সম্মেলনে একই রকম অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি মৃত্যুদণ্ড প্রশ্নে ইইউর সর্বজনীন অবস্থানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। বলেন, কেবল নিজামী কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-এর রায়ই নয়, বিশ্বের যেখানে যে পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের খবর তাদের কাছে আসে সেখানেই ইইউ এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দেয়। ‘পাবলিক পারসেপশন’ বা জনমনে যে ধারণাই হোক ইইউর অবস্থান বিশ্বব্যাপী এক এবং অভিন্ন দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে এর বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান নয়। তারা সব সময়, সব মামলায়, সব দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।

No comments

Powered by Blogger.