এমপি-ইউএনও চালান উপজেলা পরিষদ!

‘একটি গাড়ি, একটি অফিস আর একজন পিয়ন দিয়েই কার্যত চলছে উপজেলা পরিষদ। ক্ষমতা নেই, কাজও নেই। পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও আমাদের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাবান।’
কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম। এভাবেই তার চাপা ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করে শনিবার টেলিফোনে যুগান্তরের কাছে তিনি আরও বললেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও আমরা অনেকটাই এতিম। ক্ষমতাসীন দলের এমপি (সংসদ সদস্য) ও ইউএনও’র (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) দাপটে বাস্তবে একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে দেশের উপজেলা পরিষদ।’
তালুকদার শামীমের মতো প্রায় একই সুরে প্রতিক্রিয়া জানালেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির নেতা মোজহারুল ইসলাম তালুকদার। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সংসদ সদস্য ও আমলাদের আঁতাতের ফলে আজ প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে উপজেলা পরিষদ। এই প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি বাস্তবায়ন করার কথা আমলাদের। অথচ বছরের পর বছর ধরে সেটি ঝুলে আছে। এতে প্রমাণ হয়- আমলারা চান না তাদের চেয়ে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতাবান হোক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও ক্ষমতার সবই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে, সবকিছুই তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। উপজেলাকে শক্তিশালী করতে হলে, পরিষদের উপদেষ্টার পদ থেকে সংসদ সদস্যদের বাদ দিয়ে আইন সংশোধন করতে হবে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে উপজেলা পর্যায়ের সব দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও কাজের জবাবদিহিতা।
প্রায় সব উপজেলা চেয়ারম্যানদের অভিন্ন অভিযোগ, উপজেলা পরিষদের নামে টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ দেয়া হলে, তা সরকারি দলের স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নিয়ে যান। পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে এমপির পরামর্শ নেয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায়, এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানরা একেবারেই অসহায়। অথচ নিয়ম হল উপজেলা পরিষদ জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাঝে তা বিতরণ করবেন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপনের বাজেট বরাদ্দ ও কার্যক্রম সার্বিকভাবে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে হওয়ার কথা। বাস্তবে তা এমপির পরামর্শে ইউএনও করে থাকেন। উপজেলা চেয়ারম্যানদের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় পর্যায়ের ১৭টি দফতর দেখভালের দায়িত্ব উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এসব দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্টেশন ত্যাগ করলেও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন না। এছাড়া ২০১০ সাল পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানরা। কিন্তু এই দুই কমিটির সংশ্লিষ্ট দফতর উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত দফতরের তালিকায় না থাকায় ইউএনও নিজেই কমিটির প্রধান হন। অন্যদিকে অদ্যাবধি হস্তান্তরিত দফতরগুলোর অধিকাংশ কমিটির প্রধান করা হয়নি চেয়ারম্যান অথবা ভাইস চেয়ারম্যানদের।
তবে অনুসন্ধানে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ব্যতিক্রম উপজেলা পাওয়া গেছে। এসব উপজেলার স্থানীয় এমপিদের অধিকাংশই হচ্ছেন জাতীয় পার্টি ও জাসদের। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যানরা অপেক্ষাকৃত স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এমপিদের হস্তক্ষেপ না থাকায় ইউএনও উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর অহেতুক দাপট দেখাতে পারেন না।
এ বিষয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার আবু আশফাক বৃহস্পতিবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, আমার এলাকার এমপি জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। আমাকে সঙ্গে নিয়েই তিনি স্থানীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। তবে গত মেয়াদে নবাবগঞ্জের এমপি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান। ওই মেয়াদের পাঁচ বছর তার কাছ থেকে সামান্যতম সহযোগিতা পাইনি।
উপজেলা পরিষদ আমলারাই নিয়ন্ত্রণ করছে বিষয়টি মানতে নারাজ বাংলাদেশ অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, উপজেলা পরিষদ সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। আইনে যার যার দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। কাজেই ঢালাওভাবে অভিযোগ করলে তো হবে না। আর এ বিষয়ে আইন না দেখে বিস্তারিত মন্তব্য করাও ঠিক হবে না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করলে দেশে পুনরায় কার্যকর হয় উপজেলা পদ্ধতি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ৬ ধারায় বলা হয়েছিল- ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা হবে।’ এরই ধারাবহিকতায় ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা ও আমলাতন্ত্রিক জটিলতায় গত ছয় বছরেও প্রকৃত অর্থে কার্যকর হয়নি উপজেলা পরিষদ। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্র্ণ এ স্তরকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে জাতীয় পর্যায়ে কমিটিও গঠন করা হয়। এ কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন ১৬ জন সচিব ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ কমিটি কার্যত নিষ্ক্রিয়। গত ছয় বছরে এ পর্যন্ত কমিটির বৈঠক হয়েছে ১১টি। সর্বশেষ বৈঠক হয়েছে ৫ মাস আগে (চলতি বছরের ১১ মে)। এর আগের বৈঠকটি হয় এক বছর ৫ মাস আগে অর্থাৎ ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর। এসব বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়নি। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, উপজেলা পরিষদ কার্যকর করতে জাতীয় কমিটি থাকলেও তা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। মাসের পর মাস পার হলেও তারা বৈঠকে বসেন না। আবার বৈঠকে বসলেও তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় না। অথচ এরশাদ আমলে প্রতিমাসে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হতো।
উপজেলা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার দাবিতে ২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিদ্যমান আইনের সাংঘর্ষিক প্রজ্ঞাপন ও নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ ৮ দফা দাবি জানায়। সর্বশেষ ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবদের উদ্দেশে বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কোনো পরিবর্তন বা নতুনত্ব দেখা যায়নি উপজেলা পরিষদে। আগের মতো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠান।
আইন অনুযায়ী পাঁচশালা ও বিভিন্ন মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি এবং হস্তান্তরিত বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও কাজকর্ম তত্ত্বাবধান করবে উপজেলা পরিষদ। পাশাপাশি আন্তঃইউনিয়ন সংযোগ রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণসহ জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ সেবা নিশ্চিত করবে তারা। এছাড়াও সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান, মাদকসহ নানা অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিসহ ১৮টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কাজ করার কথা বলা হয়েছে উপজেলা পরিষদ আইনে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদশা যুগান্তরকে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সংক্রান্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানকে। অথচ কমিটির ১০ সদস্যের মধ্যে ৭ জনকেই মনোনীত করেন স্থানীয় এমপি। ১০ কমিটির সাতজনই যদি একজনের মনোনীত হয় তাহলে কমিটি প্রধানের ক্ষমতা কেমন তা সহজেই অনুমেয়। এছাড়া আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে (এসএমসি) উপজেলা চেয়ারম্যান দু’জন সদস্য মনোনয়ন দিতে পারত। পরে তা পরিপত্র জারি করে এ ক্ষমতাও এমপিদের দিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অসংখ্য বিষয় রয়েছে যা উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর ও ক্ষমতাহীন করে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার কমিশনের সাবেক সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ যুগান্তরকে বলেন, সরকারই উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করে রেখেছে। সরকার আন্তরিক হলে উপজেলা পরিষদ কার্যকর ও শক্তিশালী হতে বাধ্য। সরকার মুখে মুখে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার কথা বললেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে আমলারাই এখন উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করছে এমন অভিযোগ করে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার যুগান্তরকে বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সাংবিধানিক অধিকার ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিকে কাজে লাগাতে পারছে না নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা। ফলে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা উপজেলা পর্যায়ে শতাধিক কমিটি রয়েছে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরাই এসব কমিটির প্রধান হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১২টি ছাড়া সব কমিটির প্রধান ইউএনও। আবার উপজেলা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানরা যেসব কমিটির প্রধান, সেই কমিটির আর্থিক অনুমোদনের ক্ষমতা ইউএনওর হাতে রাখা হয়েছে। কাজেই চেয়ারম্যানদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কোথায়?
২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর উপজেলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে বলা হয়েছিল- ‘উপজেলা আইনের ৩৫ ধারার (২) (গ) উপধারা অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি এবং অন্যান্য ব্যয় বাবদ প্রদত্ত অর্থ উপজেলা পরিষদের তহবিলে জমা হওয়ার বিধান রয়েছে। বর্তমানে হস্তান্তরিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ উপজেলা পরিষদে অর্থ প্রদান না করে সরাসরি তাদের দফতরসমূহের অনুকূলে বরাদ্দ করছে। এটা বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের সাব-কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে ১৯৮৫ সালের মতোই উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পরিশোধের সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি চলতি বছরের ১১ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগ ও দফতরের জনবল উপজেলা পরিষদে ন্যস্তকরণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগের মতোই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার কথাও বলা হয় সুপারিশে। প্রায় ছয় মাস পার হলেও এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করেনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর সঙ্গে পাঁচটি নির্বাহী আদেশ ও প্রজ্ঞাপন সাংঘর্ষিক হওয়ায়, তা আইন পাসের পর থেকেই সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রজ্ঞাপন ও নির্বাহী আদেশ সংশোধন করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু অদ্যাবধিও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উপজেলা পরিষদের সার্বিক হিসাব রাখতে লোকবল নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) উপজেলা পরিষদের ফাইন্যান্স অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় সর্বশেষ সভায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পত্র জারির কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. শাহ কামাল যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় কমিটির নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.