ইসলামী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইসলামী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাদের এ ব্যাপারে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তারা হলেন- সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ নূরুল ইসলাম, এভিপি কাজী মঈনুদ্দিন খাদেম, ভিপি মো. মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, এভিপি মো. মোসলেহ উদ্দিন, ভিপি মো. আলিমুর রহমান, এভিপি মো. আবুল কালাম আজাদ, এভিপি মনির হোসেন, প্রিন্সিপাল অফিসার একেএম বোরহান উদ্দিন, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক প্রধান নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডিইপি মো. আবদুল মান্নান, সাবেক ডিও এটিএম হারুন অর রশিদ চৌধুরী, ডিএমডি মো. শামসুল হক, সাবেক ইভিপি মো. আতাউর রহমান, এমডি মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক ইভিপি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, ইভিপি ইনিঞ্জনিয়ার মোহাম্মদ আলী, এসভিপি ইঞ্জিনিয়ার ময়েজ উদ্দিন, ভিপি মো. হাসান আবিদ, সাবেক এভিপি মো. দেলোয়ার হোসেন, এভিপি মাহমুদ হোসেন খান ও সাবেক সিনিয়র অফিসার ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম, সেন্ট্রাল রোড শাখা এবং বৈদেশিক শাখার এসভিপি মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ভিপি ম্যানেজার মো. আবু সুফিয়ান, বৈদেশিক শাখার এভিপি মো. মনির হোসেন এবং এসপিও আহমেদ আলী। তাদের ১২, ১৩ এবং ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, আনন্দ শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ৭টি ব্যাংকসহ ১৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬শ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। পাচারকৃত অর্থের সিংহভাগ ইসলামী ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখার। আনন্দ শিপইয়ার্ডের ৪৫৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়া রয়েছে শাখাটিতে। তাই এ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তলবের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া। সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিএমডি মো. শামসুল হক এবং মো. হাবিবুর রহমান ভুঁইয়ার নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ তদন্ত টিম গঠন করে। ওই টিম আনন্দ শিপইয়ার্ডের ৪৫৬ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত টিমের সদস্যদের সাক্ষ্য গ্রহণের লক্ষ্যে সাক্ষী হিসেবে তলব করে।

No comments

Powered by Blogger.