রানির নামে অ্যান্টার্কটিকার নামকরণ-ব্রিটিশ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে অ্যান্টার্কটিকার একাংশের নামকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। গত শুক্রবার তারা বুয়েনস এইরেসে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত জন ফ্রিম্যানকে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি প্রতিবাদলিপি দিয়েছে।
এতে ব্রিটিশ সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত মঙ্গলবার অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণাংশে বিতর্কিত একটি এলাকাকে 'কুইন এলিজাবেথ ল্যান্ড' নামে ঘোষণা দেন। রানির সিংহাসনে আরোহণের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অ্যান্টার্কটিকার ওই অঞ্চলের আয়তন এক লাখ ৬৯ হাজার বর্গমাইল, যা ব্রিটেনের আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ।
প্রতিবাদলিপিতে ব্রিটেনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার ওই অংশের পুনর্নামকরণে ব্রিটেনের অধিকার আর্জেন্টিনা মানে না। তারা এর সমালোচনা করে বলেছে, ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব তাদের অতীতে নিয়ে যাচ্ছে।
১৯০৮ সালে ব্রিটেন প্রথম অ্যান্টার্কটিকার ওপর তাদের দাবি জানায়। এরপর তারা এ অঞ্চলকে 'ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক টেরিটোরি' হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছে। এ অঞ্চলকে ১৯৬২ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশে তাদের একটি পৃথক ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে 'কুইন এলিজাবেথ ল্যান্ড' দক্ষিণ আমেরিকার কাছাকাছি। এ কারণে আর্জেন্টিনা ও চিলি উভয়ই ওই অংশে তাদের মালিকানার দাবি করে।
এদিকে আগামী বছর মার্চে ফকল্যান্ডস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে অনুষ্ঠেয় গণভোটে 'চূড়ান্ত' রায় জানিয়ে দেওয়ার জন্য সেখানকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এক রেডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ ও অস্বীকার করার বৈধ ক্ষমতা নেই কোনো দেশের। ফকল্যান্ডসের সঙ্গে থাকা ব্রিটেনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক টিকে থাকবে_এটাই আমি আশা করি। তবে আপনারা কাদের সঙ্গে থাকবেন এটা আমাদের কিংবা আর্জেন্টিনার সিদ্ধান্ত নয়। এটা সম্পূর্ণই আপনাদের সিদ্ধান্ত।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.