চলন্ত বাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ- নয়াদিল্লিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ভারতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবারও রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান ভি কে সিংসহ হাজারো বিক্ষোভকারী গতকাল সকালে প্রথমে ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে ‘আমরা ন্যায় বিচার চাই’ স্লোগান দিতে দিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে অগ্রসর হয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হিমশিম খায়। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ব্যানার ছিল। এসব ব্যানারে লেখা, ‘ওদের এখনই ফাঁসিতে ঝোলাও।’
গত রোববার রাতে চলন্ত বাসে ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী (২৩) গণধর্ষণের শিকার হয়। পরে ছয় ব্যক্তি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গী ছেলেবন্ধুকে (২৮) রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। গণধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে রাজধানীর সফদারজং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা গতকাল এক বিবৃতিতে জানান, তাঁর অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়, তবে স্থিতিশীল।
গণধর্ষণে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে ছয় দিন ধরে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বিক্ষোভ দমনে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একদল নারী ও তরুণদের একটি দল পুলিশি বাধা অতিক্রম করে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর জের ধরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ ছাড়া তারা জলকামান ব্যবহার করে। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর পি এন সিং ভারতের সিএনএন-আইবিএন টেলিভিশনকে বলেন, এটা প্রতিবাদের পথ হতে পারে না। ভবন ভাঙচুর ও পুলিশি বাধা অতিক্রমের চেষ্টা করা আলোচনা শুরুর উপায় হতে পারে না। সারা দেশের নারীদের নিরাপত্তা বিধানে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকার চেষ্টা করছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.