‘ভারত তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে’

ভারত এখন তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বদেশ মঞ্চ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার চীন ও ভারত সফর: আওয়ামী লীগের অপপ্রচার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ভারত এখন বুঝতে পেরেছে,

কোন বিশেষ দলের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের গণমানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য তারা নতুন নীতি ঘোষণা করেছে। ভারতের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশে এসে একই কথা বলেছিলেন। আজ বিরোধীদলীয় নেতার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে এর প্রকাশ ঘটেছে। তিনি বলেন, ভারত আর কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্ভর করতে চায় না। এজন্য তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ভারতের এ নতুন নীতিকে সাধুবাদ জানিয়ে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ভারত এক পা এগিয়েছে আমরা আরেক পা এগিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ভারতের গণমানুষের সঙ্গে আমাদের কোন বিবাদ নেই। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিশেষ করে কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশের জনগণের ওপর আস্থা না রেখে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুললে ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ভারত এখন তাদের এই ভুল বুঝতে পেরে নীতি পরিবর্তন করেছে। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, তিস্তার পানির হিস্যা, স্থল ও সমুদ্র সীমা নির্ধারণসহ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কতগুলো অমীমাংসিত বিষয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ করে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আলাপ-আলোচনা। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকারের মন্ত্রীদের সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, তাদের সমালোচনায় প্রমাণ হয়েছে খালেদা জিয়ার ভারত সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি খালেদার ভারত সফরকে গুরুত্বহীন বলার অর্থই হলো এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার এই ভারত সফর বাংলাদেশের জনগণের জন্য সুদূরপ্রসারী সুফল বয়ে আনবে।
আলোচনা সভায় স্বদেশ মঞ্চের সভাপতি মামুনুর রশীদ খানের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নেতা এইচএম আবদুল হালিম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহ ও এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.