সিসিমপুর- ইকরির জন্য রুমাল

টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে। বটতলায় হালুম বিশ্রাম নিচ্ছে। এমন সময় ইকরি নাক টানতে টানতে আসে।


হালুম দেখল ইকরি নাক-মুখ বিড়বিড় করছে। আর তার মুখ অদ্ভুতভাবে কাঁপছে। হালুম জানতে চাইল, কী হয়েছে ইকরি?
ইকরি নাক-মুখ কুঁচকিয়ে বলতে চেষ্টা করল, হাঁ হাঁ হঁ...।
ইকরির কথা শেষ হওয়ার আগেই হালুম তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, বলতে হবে না, বুঝেছি তোমার হাঁচি আসছে।
ইকরি মাথা নেড়ে বলল, হ্যাঁ। সে ইশারা করে আরও কিছু বলার চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না। হালুম বলল, বুঝেছি তোমার রুমাল লাগবে। রুমাল মুখে দিয়ে তুমি হাঁচিটা দিতে চাও...তাই তো?
ইকরি মাথা দুলিয়ে বলল, হ্যাঁ।
হালুম ছুটে গিয়ে একটা পরিষ্কার রুমাল এনে ইকরির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, এই নাও রুমাল।
ইকরি খিলখিল করে হেসে বলল, রুমালে মুখ ঢেকে হাঁচি দিলে আর জীবাণু ছড়াবে না।
কিন্তু ইকরির হাঁচি চলে গেছে। রুমালটা আর লাগবে না হালুম।
হালুম অবাক হয়ে বলল, হাঁচি চলে গেছে?
ইকরি বলল, হ্যাঁ।
হালুম বলল, মাঝে মাঝে আমারও এ রকম হয়। নাকে সুড়সুড় করে আর মনে হয় এক্ষুনি হাঁচি আসবে।
ইকরি বলল, ঠিক, তাই তো সঙ্গে রুমাল থাকা ভালো। নাক ঢেকে হাঁচি দেওয়া যায়। ধন্যবাদ হালুম।
এমন সময় হালুমের নাক সুড়সুড় করতে থাকে। হালুমও রুমালে নাক ঢেকে নাক-মুখ কুঁচকাতে থাকে। তাই দেখে ইকরি বলল, এই হালুম, কী হয়েছে তোমার?
হালুম বলল, নাকে কেমন যেন সুড়সুড় করছে। মনে হচ্ছে একটা বিশাল হাঁচি হবে। বলতে বলতেই হালুমের বিশাল একটা হাঁচি হয়।
হাঁচি দিয়ে হালুম তৃপ্তির সঙ্গে বলল, বাহ্, এখন বেশ আরাম লাগছে।
ইকরি বলল, ভাগ্যিস রুমালটা তোমার হাতেই ছিল।

No comments

Powered by Blogger.