কাটা হলো তিন হাজার গাছ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ভান্ডারিপাড়া চাতাল থেকে আলীগ্রাম পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার গাছ কেটে ফেলেছে একদল লোক। গত শুক্রবার রাতে পাঁচ-ছয় ফুট উঁচু এই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার শিবগঞ্জ থানায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় বিহার ভান্ডারিপাড়া থেকে আলীগ্রাম ও অন্য একটি সড়কে চার মাস আগে আকাশমণি, ইপিল ইপিলসহ বিভিন্ন প্রজাতির চার হাজার গাছের চারা লাগানো হয়। কিন্তু শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
সামাজিক বনায়ন বাগান কেন্দ্রের শিবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও সেখানে তিনবার গাছ কাটা বা ক্ষতি করা হয়েছিল। তখন বিষয়টি থানায় জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হলো। গাছগুলো বড় হলে প্রতিটি গাছের কমপক্ষে চার হাজার টাকা দাম পাওয়া যেত। সে হিসাবে কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এলাকার অভাবী পরিবারগুলো এই টাকার বড় একটি অংশ পেত।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন গ্রামবাসী বলেন, তাঁরা ধারণা করছেন, জমির পাশে গাছ হলে পরে ওই জমিতে ফসল ফলবে না—এমন আশঙ্কা থেকে জমির মালিকেরা একজোট হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারেন।
গাছের পাহারাদার ফটিক প্রামাণিক বলেন, ‘মানুষগুলোর মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকলে এ রকম কাজ করতে পারত না। গাছের সঙ্গে কিসের শত্রুতা! গাছগুলো সন্তানের মতো করে দেখাশোনা করতাম। যারা এ কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.