বিমানবন্দর দখলের দাবি সিরীয় বিরোধীদের-* প্যারিসে দূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত * আসাদ সরকারের অভিযোগ, সিরিয়ার প্রতি বৈরী আচরণ করছে ফ্রান্স

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দির আল যোর প্রদেশের হামদান বিমানবন্দর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে আসাদবিরোধী বাহিনী। এর মধ্যদিয়ে ইরাক সীমান্তবর্তী ওই এলাকার বেশির ভাগ অংশে সরকারবিরোধী জাতীয় জোটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলো।
বিরোধী জোট একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির অংশ হিসেবে ফ্রান্সের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশটিতে দূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনজির মাখুস নামের এক শিক্ষাবিদকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দের সঙ্গে আসাদবিরোধী জোটের নেতা মোয়াজ আল খতিবের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিরিয়ার মন্ত্রী আলী হায়দার এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, 'সিরিয়ার প্রতি বৈরি আচরণ করছে ফ্রান্স।'
'সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর অপজিশন অ্যান্ড রেভলুশনারি ফোর্সেস' নামের আসাদবিরোধী এই জোটকে এরই মধ্যে সিরীয় জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, তুরস্কসহ উপসাগরীয় দেশগুলো। যুক্তরাজ্যও একে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
সিরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থার পরিচালক রামি আবদেল রহমান জানান, কয়েক সপ্তাহের সংঘর্ষের পর আসাদবিরোধী জোট হামদান বিমানবন্দর দখল করে নেয়। সিরিয়ার পূর্ব দিকে ইরাক সীমান্তবর্তী দির আল যোর প্রদেশের আলবু কামাল শহরে বিমানবন্দরটি অবস্থিত। এর ফলে কার্যত পূর্ব সীমান্তে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আসাদ বাহিনী। তবে আলবু কামাল শহরের ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মায়াদিন সেনাঘাঁটি এখনো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তারা।
বিরোধী জাতীয় জোটের একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোয়াজ বলেন, 'প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি পরিবর্তনমুখী সরকার গঠন করব আমরা। এতে রাজনীতিবিদদের পরিবর্তে টেকনোক্র্যাটদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। নতুন সরকারে সিরিয়ার সব নৃগোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। শিগগিরই আমরা সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রার্থী আহ্বান করব।'
দূত নিয়োগের আহ্বান জানালেও ফ্রান্স সরকার বিরোধী জোটকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার স্পষ্ট ঘোষণা এখনো দেয়নি। ওলন্দ বলেন, 'ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ হিসেবে ইইউর সঙ্গে আলোচনা না করে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে ইইউর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।' সূত্র : এএফপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.