মনের কোণে হীরে-মুক্তো-যোগাযোগমন্ত্রীর প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখবে কি? by ড. সা'দত হুসাইন

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রচুর ছোটাছুটি করছেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন। সাধারণ নাগরিক_যাঁরা কম ভ্রমণ করেন, অর্থাৎ যাঁদের রাস্তায় ভোগান্তির শিকার হতে হয় না, তাঁদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরাও তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল; প্রশংসা না করলেও তাঁর বিরূপ সমালোচনা করেন না।
তাঁরা মনে করেন যে মন্ত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। তিনি খাটাখাটুনি করছেন, বকাঝকা করছেন; কিন্তু এখনো কোনো ফল পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকরা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতা অথবা অদক্ষতার অভিযোগ তোলেননি। রাস্তাঘাটের অবস্থা এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখে মন্ত্রী নিজেই দুঃখ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এত ছোটাছুটি, খাটাখাটুনির পরও মন্ত্রী কেন সফলতার মুখ দেখছেন না, তা নিয়ে চিন্তাশীল নাগরিকরা কিছুটা বিভ্রান্ত। নিজেদের কৌতূহল নিবৃত্তি এবং জাতীয় স্বার্থে তাঁরা এর কারণ অনুসন্ধান করতে বিশেষ আগ্রহী।
অন্য মন্ত্রণালয়ের তুলনায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো এবং সংরক্ষণ কর্মকাণ্ড জনসাধারণের কাছে অনেক বেশি দৃশ্যমান। এসব কাজের অগ্রগতি যেমন সহজেই মানুষের চোখে পড়ে, মানুষকে আশান্বিত করে, তেমনি কাজের শ্লথগতি এবং তদ্ভব প্রতিবন্ধকতা তাদের পীড়িত করে, তাদের ভোগান্তি বাড়ায়। জনগণের দৃষ্টি কাড়ার এবং প্রশংসা কুড়ানোর একটি মোক্ষম উপায় হচ্ছে রাস্তাঘাট তথা যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন। অবশ্য বিদ্যুৎ এবং এনার্জি সেক্টরের উন্নয়নকেও এই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। ওবায়দুল কাদের একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন ছাত্রনেতা। জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যেমন তিনি সচেতন, তেমনি এর কলাকৌশল সম্পর্কেও তিনি সম্যক ওয়াকিবহাল। হয়তো বা কার্যকর কলাকৌশল প্রয়োগ করে তিনি জনদৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সাধারণ্যে তাঁর একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত তাঁর শিরস্ত্রে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের কোনো বাহারি পালক খচিত হয়নি। মন্ত্রিসভায় যোগদানের পর তিনি প্রকল্প বা প্রকল্পাংশ সমাপ্তির সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে বেশ কয়েকবার আশ্বাসবাক্য উচ্চারণ করেছেন। সে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ হয়নি। কাজগুলো কবে শেষ হবে দু-একটি ক্ষেত্রে তা-ও পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না। কখনো কখনো দেখা গেছে যে ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি জনগণকে বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের সেবার গ্রাহকদের সুন্দর অভিজ্ঞতার আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁর সে ধারণা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। যে ধারণার ভিত্তিতে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, সে ধারণা সুঠাম এবং যৌক্তিকভাবে নির্মিত হয়েছিল কি না এবং নির্মিত হয়ে থাকলে প্রয়োগ-পদ্ধতিতে কে বা কারা, কিভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল তা জানার দরকার।
যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রকল্প বা কর্মসূচি সম্পন্নকরণ সম্পর্কে মন্ত্রীর মনে ধারণার সৃষ্টি হয়, সে তথ্যের সত্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করার প্রয়োজন রয়েছে। একে 'ডাটা ভ্যালিডেশান' বা উপাত্ত যাচাইপ্রক্রিয়া বলা হয়। প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর অনুসারী নেতারা প্রকল্পের অগ্রগতির পর্যায় বা সম্পন্নকরণের সময়সীমা সম্পর্কে যে তথ্য দিয়ে থাকেন, তা সম্পূর্ণরূপে অসত্য না হলেও তাতে প্রায়শই বাস্তব অবস্থার অবিকৃত প্রতিফলন ঘটে না। উপরোক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের সুবিধামতো নানা ধরনের তথ্য দিয়ে থাকেন। চাকরিজীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে মাঠপর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা কোনো কিছু না দেখেই মাসিক বা ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তী সময়ে গুরুতর ভুল ধরা পড়লেও সে জন্য তাঁরা বিন্দুমাত্র লজ্জিত হন না; এ ধরনের ভুল বা অসত্য রিপোর্টকে তাঁরা একটি অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার মনে করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি অভিমত প্রকাশ করেছিলেন, মাঠপর্যায়ের কোনো রিপোর্টই বিশ্বাস করা যায় না। এসব রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত তথ্যগুলো অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সনি্নবেশিত তথ্য যাচাই না করে সরল বিশ্বাসে এসব রিপোর্ট বা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জনসম্মুখে বা গণমাধ্যমে কোনো প্রতিশ্রুতি প্রদান করলে মন্ত্রীকে যে পরে হতাশ ও বিব্রত হতে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আসলে আমাদের দেশে প্রকল্প বা কর্মসূচিতে কর্মরত কর্মকর্তারা অতি সীমিত পরিসরের সংজ্ঞায়িত টেকনিক্যাল বিষয়ে পারদর্শী হলেও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাধারণভাবে আনাড়ি, উদাসীন ও অদক্ষ। তাঁদের বেশির ভাগেরই আবার মানসিক সপ্রতিভতা অত্যন্ত নিম্নমানের। তাঁরা অধস্তন ব্যক্তিদের ওপর মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল। প্রকল্প বা কর্মসূচি সম্পাদনে আর্থিক, প্রশাসনিক কিংবা আইনগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাঁরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। অসহায়ত্ব তাঁদের ওপর চেপে বসে। বড়জোর তাঁরা অন্য সংস্থার ওপর দোষ চাপিয়ে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে চেষ্টা করেন। এসব কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য এবং পরামর্শের ওপর বিশ্বাস করে একজন মন্ত্রীকেও গণমাধ্যমে, এমনকি পার্লামেন্টেও বলতে শুনেছি যে বছরের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও তাঁর মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো অর্থ ছাড় করেনি। অর্থমন্ত্রী যুক্তিসংগতভাবেই এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় এমন হতেই পারে না যে পুরো অর্থবছর অর্থ মন্ত্রণালয় অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ আটকে রাখবে। কারণ রাজস্ব বাজেটের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের মালিক তো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব। অনুমোদিত প্রকল্পের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন বাজেটের প্রথম তিন কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভাজন অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়, যা নিতান্তই মামুলি ব্যাপার। অর্থ মন্ত্রণালয় রুটিন কাজ হিসেবে বিভাজন অনুমোদন করে, শুধু মারাত্মক ধরনের অন্যায় বিভাজন ছাড়া। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যে মন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রকল্প সম্পন্নকরণের সময়সীমা জানানোর ক্ষেত্রে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে সন্তুষ্ট করার জন্য বা তাৎক্ষণিক তিরস্কার-ভর্ৎসনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজেদের পছন্দমতো একটি তারিখ বলে দেন, যার সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতির কোনো সম্পর্ক নেই। প্রক্ষেপণ অসত্য হওয়ার পেছনে পরবর্তী সময়ে এক হাজার এক শটি অজুহাত দাঁড় করান। এ ক্ষেত্রে একটি মজার অভিজ্ঞতার বর্ণনা প্রাসঙ্গিক হবে। আমি সচিব থাকাকালীন বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় দেশে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছিল। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর নির্মাণকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। প্রকল্পের মিটিংয়ে এসব সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সুন্দর সুন্দর কম্পিউটার প্রিন্ট-আউট নিয়ে হাজির হতেন। কোন বিদ্যালয়ের নির্মাণ কবে শেষ হবে-এ প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলতেন, এতগুলো বিদ্যালয় ৮৫ শতাংশ, এতগুলো বিদ্যালয় ৯০ শতাংশ এবং এতগুলো বিদ্যালয় ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
শতকরা হারে এসব তথ্য শুনতে ভালোই লাগে। কিন্তু তাঁদের যখন বলা হতো, কবে নাগাদ শিক্ষকরা তাঁদের ছাত্রদের নিয়ে নবনির্মিত ভবনে ক্লাস শুরু করতে পারবেন, তখন আর কোনো সদুত্তর পাওয়া যেত না। আমতা আমতা করে তাঁরা বলতেন, 'কাজ তো প্রায় শেষ, সামান্য মাত্র বাকি আছে।' সুতরাং এগুলোকে 'সম্পন্ন' স্কুল হিসেবে ধরা যেতে পারে। আমি তখন বলতাম, ধরুন আপনি একটি স্যুট বানাতে দিলেন, এখন বললেন যে কোটের একটি হাত ছাড়া আর সব কাজ শেষ। তাহলে কি এক হাতবিহীন কোট পরে বাইরে যাওয়া যাবে? পুরো স্যুট হাতাসহ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দর্জির কাজ শূন্য। অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত ভবনটি ক্লাস হওয়ার মতো উপযোগী না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহারকারী মন্ত্রণালয় হিসেবে এই ভবনের কর্মোপযোগিতা আমাদের কাছে শূন্য। দেখা যেত, ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হওয়া ভবনটি ক্লাস করার উপযোগী হতে হয়তো বা আরো ছয়-সাত মাস লেগে গেছে। প্রকল্প কর্মকর্তাদের তথ্য এবং বক্তব্যের মধ্যে শুভঙ্করের অনেক ফাঁকি থাকে। সে ফাঁকফোকর বন্ধ করে মনিটরিংয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বা কর্মসূচি সম্পন্ন করতে হলে শুরু থেকেই কাজকর্ম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। কাজের বিভিন্ন স্তরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর একাংশ বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা সমাধান করতে পারেন। কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এমনকি সচিব বা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। মাঝপথের এসব অসুবিধা দূর করে না দিলে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা এগোতে পারেন না। ভয়, জড়তা এবং সংকোচের কারণে তাঁরা অনেক সময় সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে পারেন না। সমস্যা নিয়ে প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে হলেও বন্ধ করে বসে থাকেন। নিয়মিত মনিটরিং করলে বাস্তবায়নকালীন সমস্যা ধরা পড়ে এবং এর সমাধান করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়।
প্রকল্প সম্পন্নকরণের নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রাক্কালে জননেতাদের কঠোর পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সুনিশ্চিত হতে হবে যে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যথাসময়ে কাজ সমাপ্ত হবে। জনগণ উপকার ভোগ করা শুরু করবে। প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে উচ্চাশা সৃষ্টি করে সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারলে জনগণ হতাশ হয়। এই হতাশা ক্ষোভে রূপান্তরিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই রয়ে-সয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়াকেই সাধারণ মানুষ বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করে। তবে বেশ কিছু লোক মনে করে যে রাজনীতিবিদরা উচ্চাশার মধ্যে বাস করতে পছন্দ করেন। নিজেদের হতাশা দূর করার জন্য তাঁদের উচ্চাশা পোষণ করতে হয়। দু-একটি ক্ষেত্রে বাড়তি প্রতিশ্রুতি দেওয়া তাঁদের স্বভাবজাত হয়ে গেছে। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়াকে তাঁরা বড় কোনো অন্যায় মনে করেন না। প্রকল্প আজ হোক, কাল হোক সম্পন্ন হবেই। সুতরাং জনগণকে মাঝেমধ্যে আশার বাণী শুনিয়ে উজ্জীবিত রাখাই হবে নেতা-নেত্রীর পক্ষে যথার্থ কাজ।
সৎ উদ্দেশ্য, কর্মে আন্তরিকতা ও নিবিড় মনিটরিং হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প সম্পন্নকরণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপধায়ক। প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হচ্ছে মনিটরিংয়ের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। আমার ধারণা, উপরোক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্যই যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে রয়েছে। প্রায়োগিক কৌশলের দিক থেকে কিছু ঘাটতি রয়েছে; এ দুর্বলতা পর্যায়ক্রমে দূরীভূত হবে। গত কয়েক মাসে তিনি প্রতিশ্রুতিগুলো সন্তোষজনকভাবে পূরণ করতে পারেননি। তবে উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো এবং কর্ম-প্রচেষ্টা যদি তিনি অক্ষুণ্ন রাখতে পারেন, তাহলে এক বছরের মধ্যে তাঁর প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখবে। বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে, জনগণ যার সুফল ভোগ করবে।

No comments

Powered by Blogger.