প্রকাশ্য সমর্থনে নির্বাচিত হবেন এফবিসিসিআই সভাপতি ও সহসভাপতি by এম শাহজাহান

এফবিসিসিআই’র সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচনে গোপন ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে। পরিচালকদের প্রকাশ্যে হাত তোলা সমর্থনে নির্বাচিত হবেন সভাপতি ও সহ-সভাপতি।


নতুন তফসিল অনুযায়ী ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচন অুনষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ নবেম্বর। সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানোর পর নির্বাচনের পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফ এমপি রবিবার তফসিল ঘোষণা করেন।
গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি ও সহসভপাতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন বোর্ডকে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। সোমবার জরুরী বোর্ড সভায় ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে গোপন নয়, পরিচালকদের প্রকাশ্য হাত তোলা সমর্থনে নির্বাচিত হবেন এফবিসিসিআই সভাপতি ও সহসভাপতি।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্টের ঘোষিত নির্বাচনী তফসিলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এফবিসিসিআই’র সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি এবং সভাপতি নির্বাচন করা কথা বলা হয়েছিল। ওই তফসিলের ২০ নম্বর ধারায় এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এফবিসিসিআই’র ডাইরেক্টর এবং অফিস বেয়ারার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। পরিচালনা পর্ষদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন বোর্ড তফসিল ঘোষণা করলে সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ সদস্যদের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাব-কন্ট্রাকটিং শিল্প মালিক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আসলাম আলী জনকণ্ঠকে বলেন, মূলত বিপুল টাকার বিনিময়ে পরিচালকদের কেনাবেচার জন্যই বর্তমান বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সাধারণ ভোটারদের চাপের মুখে তারা তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে টাকার বিনিময়ে নোংরা রাজনীতির পথ বন্ধ হলো। তিনি বলেন, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের বিধান কখনই ছিল না। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের বোর্ডের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এফবিসিসিআই নির্বাচন নিয়ে যে যড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তার প্রথম ধাপের অপমৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে স্থগিতকৃত তফসিলের ২০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এফবিসিসিআই’র সভাপতি নির্বাচনের পদ্ধতির পরিবর্তন চেয়েছিলেন সভাপতি প্রার্থী কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। গোপন ব্যালটের পরিবর্তে হাত তোলা পদ্ধতিতে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করার দাবি জানান তিনি। এনিয়ে নির্বাচন বোর্ডে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। এদিকে, বোর্ড সভায় গোপন ব্যালট পদ্ধতির বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ। তিনি বলেন, বরাবরই পরিচালকদের প্রকাশ্য সমর্থনে এফবিসিসিআই’র সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হতেন।

No comments

Powered by Blogger.