বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা by মোল্লা আলমগীর হোসেন

পানির উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বৃষ্টির পানি। অথচ দুঃখের বিষয়, অশেষ এ নিয়ামত আমাদের ব্যবহার না জানার কারণে জনজীবনে নিয়ে আসে চরম দুর্ভোগ। অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা কখনও বন্যায় রূপ ধারণ করে। কোথাও কোথাও মাসের পর মাস মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকে।


এমনকি কোথাও কোথাও পুরো বছরই এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার পানি সংরক্ষণের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে মানুষকে পানির জন্য হাহাকার করতে হয়। দিন দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পানির স্তর নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, এমন এক সময় হয়তো আমাদের সামনে আসবে যখন অনেক গভীর নলকূপ বসিয়েও পানি পাওয়া যাবে না। প্রযুক্তির এ যুগে যদি আমরা পানির সংরক্ষণ করতে না পারি তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাব চরম দুর্ভোগ। এমনকি পানির এ স্তর হেরফেরের জন্য আমাদের দেশ দিন দিন ভূমিকম্পের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
যে কোনো বিল্ডিং অথবা টিনশেড ঘরের বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়, যা পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের পান করার জন্য এবং দৈনন্দিন জীবনের সব কাজে ব্যবহার করতে পারি। এ ছাড়া বৃষ্টির পানি জলাবদ্ধতা তৈরি করে সেসব পানি পরিশোধনের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির নিচের স্তরে পেঁৗছানো সম্ভব, যা আমরা আবার ব্যবহার এবং পানের যোগ্য হিসেবে পেতে পারি। এতে করে যেমন পানির স্তরের সামঞ্জস্যতা থাকবে, তদুপরি ভূমিকম্পের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা পাবে দেশ। যদি পানি সংরক্ষণের এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তবে রক্ষা পাবে দেশ, দেশের মানুষ, পরবর্তী প্রজন্ম, এমনকি আমাদের কৃষি কাজ। ওই প্রকল্পের আওতায় পানি সংরক্ষণ করে আর্সেনিকপ্রবণ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
জলাবদ্ধতা দূর করতে নানা সময়ে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে অধিক দ্রুততার সঙ্গে সব পানি নিষ্কাশন করা এবং ওইসব পানি পরবর্তী সময়ে ব্যবহারোপযোগী করা, এমনকি পানির স্তরকে ধরে রাখা সম্ভব।
হ কাঠী, গোপালগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.