একটি ছোট সেতুর অভাবে... by মিজানুর রহমান শাজাহান

বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ার সুলতানী খালের ওপর ৫০-৬০ মিটারের একটি সেতু তৈরি হলে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে ভোলা জেলা সদরের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। জেলার এ উপজেলা নদীবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা।


ফলে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই করুণ, জেলা সদরের সঙ্গে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত লঞ্চে যাতায়াত করা যায়। কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বা কোনো মায়ের প্রসব বেদনা উঠলে বা কেউ অগি্নদগ্ধ হলে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই এখানে।
উপজেলাটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত হলেও ২৫ কিলোমিটারের মেঘনা নদী বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এলাকাটিকে। উলানিয়া থেকে সড়কপথে ভোলা সদর থানার রামদাসপুর ইউনিয়নের কাপেরহাট যেতে পারলে ১০-১৫ মিনিটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে তেঁতুলিয়া নদী পার হয়ে ইলিসা ফেরিঘাট পেঁৗছা যায়। সেখান থেকে ৫ মিনিট পরপর বাস ছেড়ে যায় ভোলা শহরের উদ্দেশে। ইলিসা ফেরিঘাটের কালু দোকানদার জানান, ইলিসা থেকে ১০ টাকা বাস ভাড়ায় মাত্র ২০ মিনিটে ভোলা শহরে পেঁৗছা যায়।
কিন্তু উলানিয়া থেকে ৮ কিলোমিটারের সড়কপথে কাপেরহাট যেতে বাধা উলানিয়া থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ৫০ মিটারের একটি সেতু। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭ বছর আগে একটি সেতু তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের দুর্নীতির কারণে নির্মাণের দেড় বছরের মাথায় সেতুটি ভেঙে যায়। সেতুটি থাকাকালে উলানিয়া থেকে ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে নসিমনের (টেম্পো) মাধ্যমে মেহেন্দীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ভোলা যাতায়াত করত। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সেতুটির অভাবে ভোলার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছে না মেহেন্দীগঞ্জের মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো পার হয়ে এপার থেকে ওপার পাড়ি দিচ্ছে ৮০ বছরের বৃদ্ধ, শিশু, নারী সবাই। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই ছোট্ট সেতুটি করে দিলে মেহেন্দীগঞ্জের ৬ লাখ মানুষ ভোলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
হ উলানিয়া, বরিশাল
 

No comments

Powered by Blogger.