চিত্র-বিচিত্র by আশীষ-উর-রহমান

কালনিরবধি আরও একটি নতুন বছর এল। নতুন দিন। বয়সের গণনায় আরও এক যোগ হলো জীবিত ব্যক্তিদের। প্রকৃতিতেও নতুনের আভাস। গাছপালা থেকে ঝরে পড়ছে পুরোনো মলিন পাতা নতুন কিশলয়কে জায়গা দেবে বলে। এটাই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। পুরোনো গত হয়, সামনে এসে দাঁড়ায় নতুন। সময়ের কালচক্র ঘুরছে।


তার আবর্তনে এক গিয়ে এক আসে। আমরা নিজেদের খণ্ডিত কালের পরমায়ু নিয়ে হিসাব কষি। কালোকেশ শুভ্র হয়ে ওঠে। স্বচ্ছ দৃষ্টি ঝাপসা। তাকিয়ে দেখি বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম, সবুজ পাতার হলুদ হয়ে ঝরে পড়া। একে একে চলে যায় ঋতু। মানুষও যায়। পাশের জনকে একসময় আর দেখি না। বিগত বছরটির সঙ্গে চলে গেলেন তেমনই কতজন! ভবভূতি বলেছিলেন, ‘বিপুলা পৃথ্বী, কালনিরবধি’। তবু স্বল্পায়ু মানুষের কর্মেই স্মরণীয় হয়ে ওঠে মহাকাল।

ত্রয়ীসংলাপ
তাঁরা তিনজন। নয় দিন ধরে কথা বলেছেন তাঁরা। বিষয় মুক্তিযুদ্ধ। সরাসরি অংশই নেননি শুধু, গুরুতর দায়িত্ব পালন করেছেন যুদ্ধে। এ কে খন্দকার উপপ্রধান সেনাপতি। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও মূলধারা ’৭১ বইয়ের লেখক মঈদুল হাসান। তৃতীয়জন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গঠিত যুব শিবিরের মহাপরিচালক এস আর মীর্জা। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণাকেন্দ্র তাঁদের তিনজনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে সংলাপের আয়োজন করেছিল ২০০২ সালে। অডিও ক্যাসেটে ধারণ করা সেই সংলাপ অনুলিখনের পর তাঁরা নিজেরা নিজ নিজ অংশের সম্পাদনা করেন। গ্রন্থাকারে এই ত্রয়ী মুক্তিযোদ্ধার সংলাপ এ বিজয়ের মাসে প্রকাশিত হলো প্রথমা প্রকাশন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর: কথোপকথন নামে।
পৃথক ১১টি শিরোনামে এই দীর্ঘ সংলাপ গ্রন্থিত হয়েছে। আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন মঈদুল হাসান অসহযোগ আন্দোলন থেকে। মুক্তিযুদ্ধ এক দিনে শুরু হয়নি। বাঙালির এই চিরগৌরবময় যুদ্ধের প্রেক্ষাপট কেমন করে, কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেই দিকটি উঠে এসেছে ‘অসহযোগ আন্দোলন প্রতিরোধ যুদ্ধ’ নামে। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধের প্রতিটি পর্যায় উঠে এসেছে আলোচনায়। স্বাধীনতার ঘোষণা, সশস্ত্র লড়াই, সেনাবাহিনীর মনস্তত্ত্ব, পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সেনাসদস্য প্রসঙ্গে, যুব শিবির প্রসঙ্গে, গেরিলা তত্পরতা, যৌথ সামরিক নেতৃত্ব, অন্যান্য বাহিনী প্রসঙ্গে, মুজিব বাহিনী এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রসঙ্গ—এই ১১টি শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর আলোচনা করেছেন তাঁরা। প্রত্যেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা, চোখে দেখা ঘটনা ও দৃষ্টিকোণ থেকে প্রসঙ্গগুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। তুলে ধরেছেন বহু অজানা তথ্য, ইতিহাসের উপাদান হিসেবে যা অত্যন্ত মূল্যবান।
প্রচলিত রীতির প্রবন্ধ বা গবেষণামূলক বইয়ের চেয়ে এ বইটির রীতিও ব্যতিক্রম। সরাসরি সংলাপগুলো তুলে ধরা হয়েছে প্রসঙ্গের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেই। তাতে পাঠকেরা যেমন নতুন ধরনের রচনা পাঠের আনন্দ পাবেন, তেমনি আলাপচারিতার বৈঠকি মেজাজটিও উপভোগ করতে পারবেন। কথা বলার সময় অনেক জটিল-কঠিন বিষয়ও সহজ করে বলা যায়। ফলে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণগুলোও অনুধাবন করা সহজ হয়েছে এতে। শক্তপোক্ত বাঁধাই, অফসেট কাগজে ঝকঝকে ছাপা। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধকে ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে জানাতে বইটি সহায়ক হবে এবং গ্রন্থানুরাগীদের ব্যক্তিগত সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে। পাওয়া যাচ্ছে আজিজ সুপার মার্কেটে প্রথমার স্টলসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে।

গুণের কাজ
পাঠাগার আর পুকুর নিয়ে মেতে আছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। বছরের প্রথম ভাগ কেটেছে ছবি আঁকা নিয়ে। তারপর থেকে পাঠাগার আর পুকুর। প্রথম আলোর শপথ অভিযানে তিনি শপথ করেছিলেন গ্রামের বাড়ি বারহাট্টায় একটি পাঠাগার করবেন। সেই শপথ পূরণের কাজই করছেন সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় এই কবি। সামনেই একুশের গ্রন্থমেলা। লেখালেখির প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘এ বছর কিছু কবিতা ছাড়া বিশেষ কিছু লেখা হয়নি। পাঠাগারটি নিয়েই সময় চলে যাচ্ছে। সামনে একটা পুকুর করছি। টাকা-পয়সা লাগছে অনেক। প্রদর্শনীর ছবি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা পেয়েছিলাম। এ ছাড়া এ বছর আমাকে “জেমকন সাহিত্য পুরস্কার” দেওয়া হয়েছে। টাকার অঙ্ক ভালোই। দুই লাখ। এই পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছি। আরও টাকা দরকার। টাকা জোগাড়ের চেষ্টা। ওদিকে বারহাট্টায় যেতে হয় কাজকর্ম দেখতে। আবার পাঠাগারের জন্য বই পছন্দ করতে সময় লাগে। এসব করতেই লেখার সময় কমে গেছে।’ তবে গুণের ভক্তদের একেবারে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অন্তত চারটি বই প্রকাশিত হচ্ছে মেলায়। প্রথমা প্রকাশন থেকে বের হবে প্রবন্ধের বই অবন্ধ প্রবন্ধ। নান্দনিক থেকে প্রকাশিত হবে ১৯৭২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত যেসব সাক্ষাত্কার দিয়েছেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়, সেসব নিয়ে সাক্ষাত্কার সমগ্র । প্রদর্শনীর ছবি ও চিত্রকলাবিষয়ক আলোচনা নিয়ে একটি বই (নাম ঠিক হয়নি) ও কাব্য সমগ্রের চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত হবে। কবি জানালেন, বারহাট্টায় রামচন্দ্র পাঠাগারের জন্য প্রায় দুই হাজার বই ইতিমধ্যেই কেনা হয়েছে। বই সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। লেখা না এগোলেও পড়া থেমে নেই। এখন পড়ছেন প্রশান্ত কুমার পালের লেখা রবীন্দ্রনাথের জীবনী।
নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কাব্য প্রেমাংশুর রক্ত চাই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে। কবিতার বই ৪০টি। এ বছর তাঁর বইয়ের সংখ্যা ১০০ পূর্ণ হয়েছে। একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ দেশের প্রায় সব প্রধান পুরস্কারই পেয়েছেন তিনি।

সৃজনে মগ্ন
দেশে এটি হবে তাঁর পঞ্চম একক প্রদর্শনী, দেশের বাইরে ৭০টির বেশি। সংখ্যাই বলে দিচ্ছে দেশের চেয়ে তাঁর কাজের বিস্তৃতি এবং সেই সুবাদে খ্যাতিও বিদেশেই অধিকতর। প্রায় ৩৩ বছর জাপানপ্রবাসী শিল্পী কাজী গিয়াসের প্রদর্শনীটি হবে এ মাসেরই শেষ নাগাদ, বেঙ্গল গ্যালারিতে। সাভারে তাঁর নিজের স্টুডিওতে শিল্পী মগ্ন সৃজনকর্মে। সপ্তাহ দুই আগে দেশে এসেছেন। নিরিবিলিতে কাজ করার জন্য এই স্টুডিওটি করেছেন ১৯৯৩ সালে। প্রতিবছরই অন্তত তিনবার দেশে আসেন ছবি আঁকতে। বুধবার কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। শিল্পী জানালেন, দেশে তাঁর সর্বশেষ প্রদর্শনী হয়েছে ২০০৭ সালে, গ্যালারি চিত্রকে। এবারের প্রদর্শনীতে ১৩টি বড় আকারের তেলচিত্র থাকবে ক্যানভাসে আঁকা। এ ছাড়া বিশেষ ধরনের জাপানি কাগজে তেলরঙে আঁকা কাজ থাকবে ৩৫টি। বেশ অনেক দিন ধরেই ছবিগুলো আঁকছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকটি বড় কাজ আছে, যেগুলো প্রায় ছয় বছর ধরে একটু একটু করে পূর্ণাঙ্গ করে তুলেছেন। বরাবরের মতোই প্রকৃতিই তাঁর বিষয়। তবে এবার রং, বুনট—সবকিছুতেই ভিন্নতা থাকবে। যুদ্ধবিগ্রহ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস—এসবে বিশ্বজুড়ে শান্তির প্রত্যাশা মানুষের মধ্যে এখন আরও প্রবল ও প্রধান হয়ে উঠেছে। এ ভাবনাটিই মূল সুর হিসেবে তাঁর এবারের সৃষ্টিতে কাজ করছে। সম্ভবত প্রদর্শনীর নামটিও শান্তির অন্বেষা রাখা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন। কাজী গিয়াসের কাজে একটি শান্তিময় স্নিগ্ধ কোমল মোলায়েম আবহ বিরাজমান থাকে। দীর্ঘ সময় নিয়ে অত্যন্ত যত্নে কাজ করাও তাঁর বিশেষত্ব। জন্ম মাদারীপুরের শিবচরে। ১৯৭২ সালে এমএফএ সম্পন্ন করে ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান। এর পর থেকে সেখানেই রয়ে গেছেন। পিএইচডি করেছেন টোকিও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড মিউজিক থেকে। ১০ বছর শিক্ষকতা করেছেন টোকিওর ওকিনাওয়া প্রিতেক্সেল আর্টস ইনস্টিটিউটে। জাপানসহ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত গ্যালারিতে গত ৩৩ বছরে তাঁর ৭০টির বেশি একক প্রদর্শনী হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যৌথ প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর শিল্পকর্ম।

বক্তৃতা
ভারতের স্বনামখ্যাত শিল্পী ও শিল্পতাত্ত্বিক কে জি সুব্রামানিয়ান এখন ঢাকায়। এ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পচর্চার প্রাণপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ আয়োজিত জয়নুল উত্সবে বিশেষ সম্মাননা গ্রহণ করতে তাঁর ঢাকা সফর। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ইমেরিটাস। গতকাল মোহাম্মদ কিবরিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আর্ট ট্রাস্টের কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন। আজ শনিবার বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘সমকালীন শিল্প’ বিষয়ে বক্তৃতা দেবেন।

ইমেজ
প্রধানত ফখরুল ইসলামের ছবি সাদা-কালো। তিনি আঁকেন তেলরঙে, কাগজে। রং থেকে তেলের খানিকটা অংশ সাদা কাগজে ছড়িয়ে গিয়ে কালোর কিনার দিয়ে গাঢ় বা হালকা বাদামি একটা রঙের আবহ সৃষ্টি করে। কখনো মোটা কাগজের ওপর থেকে অজস্র বিন্দুর ঘন সন্নিবেশ, তীক্ষরেখা কালো-বাদামি রঙের সঙ্গে সাদা জমিন মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ইমেজ সৃষ্টি করেন তিনি। ইমেজ নামেই তাঁর ২০তম একক প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আজ থেকে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেস গ্যালারিতে। উদ্বোধন সন্ধ্যা সাতটায়। প্রদর্শনী চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শিল্পী জানিয়েছেন, গত এপ্রিলে ভারতের দিল্লিতে আর্ট হেরিটেজে তাঁর ১৯তম একক প্রদর্শনী হয়েছে। সেই প্রদর্শনীর কিছু কাজের সঙ্গে নতুন কাজ নিয়ে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রভাতে রমনায়
বৃহস্পতিবার গত বছরের শেষ দিনটিতে রমনা উদ্যানে যে ঘটনাটি ঘটল, তা একেবারেই ভিন্ন ধরনের। এ রকম আগে আর হয়নি। রোজকার মতোই প্রাতর্ভ্রমণকারীরা এসেছিলেন উদ্যানে। তাঁরা কেউ ইট বিছানো পথ ধরে চলছেন, কেউ মাঠে শরীরচর্চা করছেন। এমন সময় দেখা গেল, অরুণোদয় প্রবেশপথের পাশের মাঠে একদল বিদেশির সঙ্গে সমবেত হয়েছেন বেশ কিছুসংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা হাত লাগালেন মাঠে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাগজের টুকরো, চিপস, বিস্কুট, সিগারেটের প্যাকেট, দেশলাইয়ের খোল, বাদামের খোসাসহ হরেক রকমের আবর্জনা যা ছড়িয়েছিল মাঠে, সেগুলো তাঁরা তুলে নিয়ে বস্তায় ভরতে শুরু করলেন। অবাক করা কাণ্ড। বিদেশিরা আমাদের উদ্যানের আবর্জনা পরিষ্কার করছেন আর নিজেরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখব, বিষয়টি হয়তো অনেকের কাছেই একটু লজ্জাকর মনে হলো। তাই তাঁরাও এসে হাত লাগালেন। দেখতে দেখতে আবর্জনা কুড়ানো দলটি বেশ বড় হয়ে উঠল এবং সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেলা ১১টা নাগাদ তাঁরা উদ্যানের উত্তরাংশ পরিচ্ছন্ন করে ফেললেন।
রমনা উদ্যান পরিচ্ছন্ন করার এ উদ্যোগের নেপথ্যে ছিল বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বেলা) ও রমনা উদ্যানের ফেডারেশন অব ওয়ার্কারস অ্যাসোসিয়েশন। নেতৃত্বে ছিলেন বেলার যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান মৃধা। তিনি জানালেন, ৩ ও ৪ জানুয়ারি বেলার তৃতীয় আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন হবে। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এবং কর্ম-অধিবেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। এ সম্মেলনে থাকবেন সদ্য সমাপ্ত কোপেনহেগেনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ২৩ জন প্রতিনিধি। তাঁদের নিয়েই পরিবেশদূষণমুক্ত রাখার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রমনা উদ্যানের আবর্জনা পরিষ্কারের এ কর্মসূচি নেওয়া হয়। এটি একটি প্রতীকী আয়োজন। নিজের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে দূষণরোধে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই এ আয়োজন করা হয়েছিল।
আশীষ-উর-রহমান: লেখক, সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.