পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে-টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য

সাংবাদিক নির্যাতন ও আদালত চত্বরে তরুণীর শ্লীলতাহানির জন্য সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনী সমালোচিত। পুলিশ বাহিনীর নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন। পুলিশ বাহিনী কীভাবে বদলাতে পারে সে বিষয়ে টেলিফোনে অভিমত জানিয়েছেন পাঠকরা।


গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক

মোঃ আনোয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, সিলেট
জননিরাপত্তার জন্য কাজ করে পুলিশ বাহিনী। এই পুলিশ বাহিনী যদি জনগণের ওপর নির্যাতন চালায় তাহলে জনগণ কোথায় যাবে? যে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশ পরিচালিত হয় সেই জনগণের ওপর পুলিশ নির্মম নির্যাতন চালাক তা কোনোভাবেই চাই না। পুলিশকে বদলাতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে ২৯ মে একটি মেয়েকে কয়েকজন পুলিশ যেভাবে শ্লীলতাহানি করেছে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে থাকবে।
মোয়াজ্জেম হোসেন
সাংবাদিক, লালমনিরহাট
পুলিশের প্রথম শ্রেণীর দাবি সরকার পূরণ করেছে। কিন্তু পুলিশের মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। এদের আগে মানসিকভাবে বদলাতে হবে। টাকার প্রতি পুলিশদের নজর বেশি, তা কমাতে হবে। দেশপ্রেমের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
বোরহান উদ্দিন সোহেল
ব্যবসায়ী, পাবনা
পুলিশের নিয়োগ ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতার বিচার হতে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রেও একইভাবে মেধা ও যোগ্যতার বিচার থাকা উচিত। পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই পুলিশের উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
পুলিশকে বদলানোর একমাত্র পথ তাদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা। পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে পারলে অবশ্যই পুলিশ উন্নত চরিত্রের ধারক হবে। আমরা মনে করি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাপক তদারকি চালু হলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় কমবে।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
পুলিশ জনগণের বন্ধু হওয়ার কথা, কিন্তু আজ শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে, মামলা করছে। দেশবিরোধীরা তাদের ষড়যন্ত্রে পুলিশকে ব্যবহার করছে বলে আমার মনে হয়। এভাবে দেশ অশান্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে পুলিশবান্ধব হতে হবে। অসাধু পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ভালো পুলিশ সদস্যরাই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
ফয়েজ আহমেদ
ব্যবসায়ী, লৌহজং, বিক্রমপুর
পুলিশরা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়। ঘুষ বন্ধ করে সঠিক ও মেধাবী লোকদের চাকরি দিতে হবে। জনগণের সঙ্গে পুলিশ ভালো ব্যবহার করলেই জনগণ সাহায্য নিতে পুলিশের কাছে যাবে। কিন্তু পুলিশ আসলে আইনের নানা ফাঁকফোকর খুঁজে জনগণকে হয়রানি করে। তাদের টাকার লোভ কমাতে হবে। পুলিশ সদস্যদের আয়ের উৎস প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুলিশদের বেতন বাড়ানো উচিত বলে মনে করি।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
ব্যবসায়ী, ঝিনাইদহ
পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছে। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে মেধাবী লোক থাকলে সমস্যাগুলো মেধার মাধ্যমে ঠিক করত। পুলিশ বাহিনীতে অধিক শিক্ষিত লোক প্রয়োজন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাহলে জনগণকে পুলিশ হয়রানি করবে না।
মোঃ আমিনুল হক চৌধুরী
চাকরিজীবী, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ
দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশের। প্রতিটি থানার প্রধান ফটকে লেখা থাকে_ বাংলাদেশ পুলিশ শান্তির স্বার্থে সমুন্নত। যেখানে এরকম কথা লেখা থাকে সেখানে সাধারণ মানুষ যেতে ভয় পায় কেন? এ প্রশ্নের উত্তর পুলিশই ভালো জানে। প্রবাদ আছে, নিজে থেকে না বদলালে অন্য কেউ বদলাতে পারে না। পুলিশ কীভাবে বদলাতে পারে এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, পুলিশ নিজেকেই বদলাতে হবে। তবে সে সঙ্গে সরকারের সদিচ্ছারও প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশের ঘুষবাণিজ্য বন্ধ করতে হলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। অনেক পুলিশ সদস্যই বলে থাকেন, যে বেতন-ভাতা তারা পান তা দিয়ে জীবনযাপন কষ্টকর।
রফিকুল ইসলাম শ্যামল
রাজনীতিক, যশোর
পুলিশের নীতিকে স্বচ্ছ রাখতে হলে বিবেকটাকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। দেশকে ভালোবেসে, দেশের সুনামের স্বার্থে দায়িত্ব-কর্তব্যের কথা মনে রেখে জনগণকে সেবা দিতে পুলিশ বাহিনীকে কাজ করে যেতে হবে।
রবিতোষ সরকার
রেস্টুরেন্ট কর্মচারী, রাজশাহী
অর্থের বিনিময়ে পুলিশ নেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকভাবে করতে হবে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রিজভী
চাকরিজীবী, টিপু সুলতান রোড, ঢাকা
বেশিরভাগ পুলিশের কাছেই পুলিশের পোশাক যেন আলাদিনের চেরাগ যে বলবে_ হুকুম করুন মালিক। এ সমাজের সবাইকে তারা মনে করে চোর ও নানা অপরাধে যুক্ত। অনেক দিন ধরেই এ অবস্থা। তারপর রয়েছে রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহার। শুধু পুলিশ নয়, শিক্ষক, সাংবাদিক সবাইকে বদলাতে হবে। অসুস্থতার চিত্র সর্বত্র। সবারই আরও সচেতন হওয়ার দরকার রয়েছে।
ডা. রমিশ
চিকিৎসক, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম
সব পুলিশ খারাপ না। পুলিশের ভেতর জঙ্গিবাদ ঢুকে গেছে। আসলে সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য এ রকম করা হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলেই পুলিশ বদলে যাবে।
মিজানুর রহমান সোহেল
শিক্ষার্থী, অফিসপাড়া, মহেশখালী
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনী যে আচরণ করছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা জনগণকে নিরাপত্তা না দিয়ে বরঞ্চ আঘাত করছে। এসব কাজ তাদের শোভা পায় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সাহস দিয়ে বলেছেন, অতীতের চেয়ে বর্তমান পুলিশ বাহিনী অনেক ভালো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কথায় আমি একমত নই। জনগণের জন্যই পুলিশ বাহিনীকে কাজ করতে হবে। জনগণকে আঘাত দেওয়ার জন্য সাহস দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ নয়। কোনো সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকার জন্য পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ করছি।
মোঃ জহিরুল ইসলাম রায়হান
শিক্ষক, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম
পুলিশের আজকের যে অবস্থা সে অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে পুলিশকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের সততা জরুরি। বিগত চারদলীয় শাসনামলেও বিরোধী নেতাকর্মীদের পুলিশ ঘেরাও করে বেদম মেরেছিল। সেদিন মিডিয়া এত সোচ্চার ছিল না। কিন্তু এখন সোচ্চার হয়েছে। এটি ভালো দিক। তবে পুলিশের এই অবস্থার জন্য ক্ষমতাসীন দলগুলোই দায়ী। সুতরাং রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বের হয়ে পুলিশকে কাজ করতে হবে।
সুনীল কুমার দে
শ্রমিক, গোলাপবাগ, ঢাকা
এ দেশের গণতন্ত্র যদি সুন্দর হয় তাহলে পুলিশ ভালো হবে। সুষ্ঠু গণতন্ত্রই পুলিশকে বদলাতে পারবে।
আশিকুজ্জামান
শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা জরুরি। সেসব পুলিশই উচ্ছৃঙ্খল হয় যারা রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পেয়ে থাকে। আমরা দেখেছি, বিরোধী দলের হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে পিটিয়ে পুলিশের পদোন্নতি হয়েছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে পুলিশের পদোন্নতি হচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক লোক বাদ দিয়ে স্বচ্ছভাবে পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কাউন্সেলিংয়েরও দরকার রয়েছে।
হাবীবুর রহমান মাসুক
ব্যবসায়ী, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ
পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭ বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে পুলিশে বদলানোর আগে সরকারের মনোভাব বদলাতে হবে। প্রতিটি সরকারই নিজেদের স্বার্থে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে। আবার কিছু কিছু পুলিশ নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য সরকারকে খুুশি করতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ জন্য পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭ বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোঃ জাকির হোসেন
গাড়িচালক, মিরপুর. ঢাকা
দেশে যেখানে সর্বত্র অরাজকতা চলছে সেখান থেকে উদ্ধার করতে কেবল পুলিশই পারে। আসলে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশ ঠিকই আছে, এ জন্য যেসব পুলিশ অন্যায় করেছে তাদের বরং ক্ষমা করাই শ্রেয়। তাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের কারণেই এ রকমটা হচ্ছে। পুলিশ যাতে নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এম কে চাইহলা মগ
ব্যবসায়ী, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি
২০০৫ সালে ইউএনডিপি বাংলাদেশ পুলিশ সংস্কারের একটা রূপরেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা আজও কার্যকর করা হয়নি। সেটা কার্যকর করা দরকার। এ ছাড়া পুলিশকে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য করে ফ্রেশ মানি দেওয়া হোক। পুলিশের ডিউটি ১৫-১৬ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা হোক। পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
হারুনুর রশিদ শাহীন
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
পুলিশকে জনগণের বন্ধু বলা হলেও ইদানীং তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। অথচ বিদেশের মিশনগুলোতে পুলিশের বেশ সুনাম আছে। বিসিএস ক্যাডারে পুলিশের চেয়ে অনেক লোভনীয় পদ থাকলেও ক্ষমতার প্রভাব থাকায় অনেকেই এখানে নিয়োগ পেতে আগ্রহী। ফলে নিয়োগটিও রাজনীতিকভাবেই হয়ে থাকে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের মনেপ্রাণে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিই কাজ করে বেশি। তাই যে কোনো মূল্যে দলীয় নিয়োগ বন্ধ করতে পারলে সত্যিকার অর্থেই পুলিশ জনগণের বন্ধু হতে পারবে।
মোঃ জয়নাল আবেদীন শাজাহান
শাখা পোস্ট মাস্টার, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
পুলিশের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভালো করে বোঝাতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই পুলিশ বদলাবে।
তোফাজ্জল হোসেন অপু
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
পুলিশকে নিয়োগ দেওয়ার সময় মানবাধিকার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে পুলিশের পদোন্নতিতে এই মানবাধিকার তারা কতটা রক্ষা করতে পারছে তাও দেখা দরকার।
আবদুস সাত্তার
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
পুলিশের বদলানো জরুরি। পুলিশ যা করছে তা চলতে দেওয়া যায় না। এসব পুলিশের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তবে সরকারকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
আবুল খায়ের
পুলিশ সদস্য, ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক
পুলিশের বেতন একদিকে অত্যন্ত সীমিত অথচ পুলিশের ডিউটি ১৫-১৬ ঘণ্টা! এটা কী করে সম্ভব? ডিউটির বিষয়টা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আবার পুলিশের নিজের ডিপার্টমেন্টই দুর্নীতিতে জর্জরিত; কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ভালো কোনো থানায় যেতে হলে তাকে ঘুষ দিয়ে যেতে হয়। যে এভাবে ঘুষ দিয়ে আসে সে তো জনগণ থেকেই টাকা উঠাবে। এ অবস্থায় পুলিশকে বদলানো সম্ভব নয়। অথচ আমরা দেখছি, যেসব পুলিশ সদস্য মিশনে বাইরে যায় তারা তো সেখানে সুনামের সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করছে। এটা এ জন্য হচ্ছে যে, তারা সেখানে ৭০-৮০ হাজার টাকা বেতন পায়। এ ছাড়াও তাদের অন্য সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। বাংলাদেশে যারা দায়িত্ব পালন করে তাদের এসব দিলে ঠিকই পুলিশ বদলাবে।
মোঃ জুবাইর ইসলাম
ব্যবসায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
পুলিশের বদলানো তো সরকারের ওপর নির্ভর করছে এবং সরকার চাইলেই এটা পারে। দেখতে হবে সরকার এটা চায় কিনা। তবে মিডিয়ারও এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টা দেখতে হবে।
আনোয়ার হোসেন
শিক্ষক, পাকশী, পাবনা
পুলিশের এই অবস্থার জন্য সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই দায়ী। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসা পযন্ত পুলিশের কোনো পরিবর্তন হবে না।

ফারজানা কলিম
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পুলিশকে বলা হয় জনগণের বন্ধু। জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার সার্বিক দায়িত্ব পুলিশের। অথচ পুলিশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় 'রক্ষক পুলিশ' ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই নাগরিক নিরাপত্তা বিঘি্নত হচ্ছে; নারী লাঞ্ছিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং কেবল আইন প্রণয়নই নয় তাকে কার্যকরও করতে হবে। পাশাপাশি পুলিশকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে। তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে, সুযোগ-সুবিধা ও বেতন-ভাতাদি বাড়াতে হবে। সর্বোপরি যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই পুলিশ বদলাতে পারে।

মোঃ সোহেল
পুলিশ কনস্টেবল, খাগড়াছড়ি
একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে ১৫-১৬ ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব? অথচ পুলিশকে সেটাই করতে হয়। এত ঘণ্টা কাজ করলে একজন মানুষের মাথা ঠিক থাকতে পারে? পুলিশের দায়িত্ব অন্যান্য চাকরির মতো ৮ ঘণ্টা করতে হবে। আমাদের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মধ্যেই দুর্নীতি রয়েছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। পুলিশকে নির্দলীয় করতে হবে। আমাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। বেতন-ভাতাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আমাদের থাকার জায়গারও ব্যাপক সমস্যা। এসব সমাধানে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাসও দিয়েছেন; কিন্তু বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না। সুতরাং পুলিশ বদলাবে কীভাবে?
 

No comments

Powered by Blogger.