সাক্ষাৎকার-কিশোর অপরাধের জন্য অভিভাবক দায়ী by মো. শফিকুল ইসলাম

প্রথম আলো: কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি চুরির ঘটনায় সচ্ছল পরিবারের ছয় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়। কেন এ রকম হচ্ছে? মো. শফিকুল ইসলাম: আমি মনে করি, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে কিশোরেরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি যে ছয় ছাত্র গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের একজন তার বাবার হাতে চার লাখ টাকা


তুলে দেয়। ওই টাকার উৎস সম্পর্কে খোঁজ না নিয়ে ব্যাংকে জমা রাখা হয়। আরেক শিক্ষার্থী দু-এক দিন পর পরই তার মা-বাবার হাতে দুই-তিন হাজার টাকা তুলে দিত। কোচিং সেন্টারে ছাত্র ভর্তি করিয়ে কমিশন হিসেবে এই টাকা পেত বলে ছাত্রটি তার অভিভাবককে বলত।
প্রথম আলো: এর জন্য দায়ী কে?
মো. শফিকুল ইসলাম: অবশ্যই অভিভাবক দায়ী। কারণ, একজন শিক্ষার্থীর দৈনিক হাতখরচের অঙ্ক বেড়ে যাওয়া এবং কোত্থেকে এই টাকা আসছে, তা যাচাই করার দায়িত্ব অভিভাবকের। অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট অঙ্কের বাইরে তাঁদের সন্তানদের খরচের টাকা দেন না। অথচ নামীদামি রেস্টুরেন্টে খাওয়া কিংবা বান্ধবীদের মুঠোফোনসেটসহ দামি উপহার দেয় কোনো কোনো কিশোর। বাড়তি এই খরচের টাকা জোগান দিতে চুরি ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই। অভিভাবকেরা একটু সচেতন হলেই কিশোর অপরাধ অনেক কমে আসবে।
প্রথম আলো: কিশোরেরা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায়ও আসামি হচ্ছে। কেন?
মো. শফিকুল ইসলাম: আসলে মাদকের ব্যবহার থেকে অনেক কিশোর এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগান দিতে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে ছিনতাই করছে। এ ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের ভূমিকা আছে।

No comments

Powered by Blogger.