রোজার ফজিলত ও প্রয়োজনীয় বিধিবিধান

রোজা ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। শুধু পানাহার ত্যাগ করার নামই রোজা নয় বরং কৃচ্ছ্রসাধন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা এবং আল্লাহ ভীতি অর্জন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু রোজার তাৎপর্য


ও মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না বলে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমাদের নৈতিক মান যে পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা তা হয় না।
রোজার ফজিলত ও প্রয়োজনীয় বিধিবিধান নিয়ে লিখেছেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ


রোজার উপকারিতা
ষ রোজা আত্মশুদ্ধির এক অপূর্ব মাধ্যম এবং আল্লাহ ভীতি অর্জনের সর্বোত্তম পথ।
ষ রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢালস্বরূপ। _ বুখারি ও মুসলিম
ষ রোজা গরিব-মিসকিনদের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে ও তা লাঘবে এগিয়ে আসতে ধনীদের উৎসাহ জোগায়।
ষ রোজা রোজাদারদের মনে ধৈর্য ও সহনশীলতা সৃষ্টি করে। কষ্টে ধৈর্য ধারণ ও সহনশীলতা অবলম্বনের অভ্যাসী বানায়।
ষ রোজা রোজাদারকে ধূমপানসহ নানাবিধ কুঅভ্যাসের দাসত্ব থেকে মুক্তি দান করে, যেসব অভ্যাস তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও ব্যাধির একমাত্র কারণ।
রোজাদারের কর্তব্য
১. রোজা এবং অন্যান্য যে কোনো ইবাদত কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত নিয়তের বিশুদ্ধতা ও ইখলাস। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তাদেরকে এ ছাড়া আর কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে। আর তারা সালাত আদায় করবে আর জাকাত দেবে। আর এটাই সঠিক সুদৃঢ় দ্বীন।'-সূরা বাইয়্যেনাহ : ৫
এ জন্য রোজাদারের উচিত একান্তভাবে আল্লাহর উদ্দেশে রোজা রাখা, লোক দেখানো বা কাউকে খুশি করার জন্য রোজা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
২. রোজাদারকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে সচেতন হতে হবে। অনেকেই রোজা রাখে কিন্তু নামাজ পড়ে না, মূলত এ রোজা দুনিয়া ও আখেরাতে এই ব্যক্তির কোনো কল্যাণে আসবে না। কারণ অধিকাংশ ইমামের মতে, 'ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগকারী ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যায়।' আর যে ব্যক্তি ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যায় তার কোনো আমলই আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় নয়।
৩. রোজাদারের উচিত_ অশল্গীল কথাবার্তা, কাজকর্ম, গান, বাদ্য, পরনিন্দা, গিবত, হিংসা-বিদ্বেষ, মিথ্যা ইত্যাদি কাজকর্ম পরিহার করাসহ নিষিদ্ধ ও হারাম বস্তু থেকে দূরে থাকা। এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, অশল্গীল কাজকর্ম পরিহার করল না, তার পানাহার ত্যাগ করা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।' -বুখারি
৪. মারামারি ও কোনো ধরনের হাঙ্গামায় জড়িত না হওয়া। এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'যদি কোনো লোক তার (সিয়াম পালনকারীর) সঙ্গে মারামারি করতে চায় এবং গালি দেয় তাহলে সে (সিয়াম পালনকারী) যেন বলে দেয়, আমি সিয়াম পালন করছি, আমি সিয়াম পালন করছি।'
৫. অতি ভোজন না করা। হাদিসে আছে, 'আদম সন্তানরা যে নিকৃষ্ট পাত্রটি পূর্ণ করে তা হলো তার পেট।' খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকা নয় বরং জ্ঞানীজন বেঁচে থাকার জন্য খেয়ে থাকেন।
সাহরি ও ইফতার প্রসঙ্গ
১. সাহরি খাওয়ায় অনেক বরকত রয়েছে এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমরা সাহরি খাও, কেননা সাহরিতে বরকত আছে।'-বুখারি ও মুসলিম
২. ইফতার তাড়াতাড়ি করা এবং সাহরি দেরিতে খাওয়া নবীদের তরীক্বা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তিনটি বিষয় নবীগণের চরিত্রের অন্তর্র্ভুক্ত_
- তাড়াতাড়ি ইফতার করা
- সাহরি দেরিতে খাওয়া
- নামাজ অবস্থায় ডান হাতকে বাম হাতের ওপর বাঁধা।' ত্বাবারানি
৩. তাজা খেজুর, শুকনো খেজুর অথবা পানি দ্বারা ইফতার করা সুন্নত।
৪. ইফতারের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করা সুন্নত_ 'জাহাবায যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।'
৫. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তাই এ সময় বেশি বেশি দোয়া করা।
৬. রোজাদারকে ইফতার করালে রোজাদারের সমান সওয়াব প্রাপ্ত হবে।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি একজন সওম পালনকারীকে ইফতার করাবে, তাকে সওম পালনকারীর সমান সওয়াব দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে সওম পালনকারীর সওয়াব হতে বিন্দু পরিমাণও কম করা হবে না।'
৭. যে ব্যক্তি ইফতার করাবে তার জন্য এই দোয়া করা উচিত,
'আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন ওয়া আকালা ত্বয়ামাকুমুল আবরারু ওয়া তানাযযালাত আলাইকুমুল মালাইকাতু।' -মুসনাদে আহমাদ
রমজান মাসের ফজিলত
১. রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা কোরআনুল কারীম নাজিল করেন।
২. এ মাসেই রয়েছে কদরের রাত; যে রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত হতেও উত্তম।
৩. এ মাসেই আল্লাহতায়ালা জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেন, আর শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। -বুখারি ও মুসলিম
৪. এ মাসে আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক রাতে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তিদান করেন।
৫. এ মাসে প্রত্যেক আমলকে দশ থেকে সাতশ' গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। বিশেষ করে রোজাদারকে রোজার প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দান করবেন।
৬. ঈমান ও নেকি লাভের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি রোজা পালন করবে আল্লাহতায়ালা তার পূর্ববতী সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন।
৭. যে ব্যক্তি রোজা রেখে প্রত্যেহ তারাবির নামাজ আদায় করবে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে।
৮. আল্লাহতায়ালা 'রাইয়ান' নামক জান্নাতের একটি দরজাকে শুধু রোজাদারের প্রবেশের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন।
৯. রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকে-আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।
১০. এ মাসে রোজাদারের দোয়া বিশেষভাবে কবুল করা হয়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তিন শ্রেণীর মানুষের দোয়া সঙ্গে সঙ্গে কবুল করা হয়।
- রোজাদারের দোয়া
- অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া এবং
- মুসাফিরের দোয়া।' -বায়াহাকি
১১. রমজান মাসে ওমরা করার সওয়াব হজের সমান। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'রমজানের ওমরা একটি হজ অথবা আমার সঙ্গে একটি হজ করার সমতুল্য।' -বুখারি ও মুসলিম
বিনা কারণে রোজা ত্যাগ করার শাস্তি
যে ব্যক্তি বিনা কারণে রমজানের রোজা ত্যাগ করে সে ব্যক্তির দুটি কারণ হতে পারে_
১. সে রোজার ফরজিয়্যাতকে অস্বীকার করছে এবং রোজাকে একটি ইবাদত বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
২. সে অলসতাবশত রোজা রাখছে না।
সুতরাং যদি সে রোজাকে ফরজ বলে অস্বীকার করে ও বলে যে, রোজা শরিয়তে ফরজ নয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে ইসলামের গণ্ডিবহির্ভূত বলে ধরে নেওয়া হবে।
তাকে তওবা করার আহ্বান করতে হবে।
পক্ষান্তরে কেউ যদি আলসেমি করে রোজা না রাখে, তাহলে ভয়ানক কঠিন শাস্তি তার জন্য অপেক্ষা করছে। বিশিষ্ট সাহাবী আবু উমামাহ বাহেলী (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি_ হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, 'একদা আমি ঘুমিয়েছিলাম; এমন সময় (স্বপ্নে) আমার কাছে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হলো। তাঁরা আমার উভয় বাহুর ঊর্ধ্বাংশ ধরে আমাকে এক দুর্গম পাহাড়ের কাছে উপস্থিত করে বলল, আপনি এ পাহাড়ে চড়ূন। আমি বললাম, এ পাহাড়ে চড়তে আমি অক্ষম। তারা বলল, আমরা আপনার চড়া সহজ করে দেব। ফলে আমি চড়লাম। অবশেষে যখন পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পেঁৗছলাম তখন বেশকিছু চিৎকার ধ্বনি শুনতে পেলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ চিৎকার ধ্বনি কাদের? তারা বলল, এ হলো জাহান্নামের বাসিন্দাদের চিৎকারের ধ্বনি। পুনরায় তারা আমাকে নিয়ে চলতে লাগল। হঠাৎ দেখলাম, একদল লোক তাদের পায়ের গোড়ালির ওপর মোটা শিরায় (বাঁধা অবস্থায়) লটকানো আছে, তাদের কোষগুলো কেটে ও ছিঁড়ে আছে এবং শরীর বেয়ে রক্ত ঝরছে। হজরত নবী করিম (সা.) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ওরা কারা? তারা বলল, ওরা হলো তারা; যারা সময় হওয়ার পূর্বেই ইফতারি করে নিত।' -ইবনে খুযায়মা
'ওরা হলো তারা; যারা সময় হওয়ার পূর্বেই ইফতারি করে নিত'_ রোজা রাখার পরেও যদি তাদের ওই অবস্থা হয় তাহলে যারা রোজা রাখে না, তাদের অবস্থা যে কত করুণ আর সঙ্গিন তা সহজেই অনুমেয়!
রোজা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো
১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করা : যে কোনো প্রকারের পানাহার, চাই সে পানাহার উপকারী হোক কিংবা ক্ষতিকারক। যেমন_ ধূমপানের দ্বারাও রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
২. ইচ্ছাকৃত বমি করা : হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে বমি করবে তার ওপর কাজা ওয়াজিব হবে।' -হাকিম
৩. মহিলাদের মাসিক স্রাব এবং নিফাস শুরু হলে : এমনকি ইফতারের কিছু মুহূর্ত পূর্বেও যদি তা শুরু হয় তবুও রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
৪. যে কোনো পদ্ধতিতে বীর্যপাত ঘটালে রোজা বিনষ্ট হয়ে যাবে।
৫. রক্ত গ্রহণ করলে : যেমন রোজাদারের যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয় যার ফলে ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত প্রয়োগ করা হলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।
৬. শিঙ্গা নিলে : রোজা অবস্থায় শিঙ্গা বা এ জাতীয় কিছু লাগিয়ে রক্ত বের করা।
৭. বেহুঁশ হওয়া : রোজাদার যদি ফজর থেকে নিয়ে মাগরিব পর্যন্ত বেহুঁশ থাকে, তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হবে না এবং তাকে ওই দিনের রোজা কাজা রাখতে হবে।
উপরোক্ত যে কোনো একটা কাজ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং পরে এ রোজা কাজা করতে হবে।
৯. স্ত্রী মিলন : রমজানের দিনের বেলা স্ত্রী মিলনে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং কাজা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। কাফফারা হলো, লাগাতার (একটানা) দু'মাস রোজা রাখা আর তাতেও যদি সক্ষম না হয় তাহলে ষাটজন মিসকিনকে খানা খাওয়ানো বা দান করা।
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না
১. ভুলবশত কিছু খাওয়া বা পান করা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'কোনো ব্যক্তি রোজা অবস্থায় অজ্ঞাতসারে কোনো কিছু খায় বা পান করে সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে খাইয়েছেন বা পান করিয়েছেন।' -বুখারি ও মুসলিম
২. অনিচ্ছাকৃত বমি করা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'যার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়েছে তার রোজা কাজা করার প্রয়োজন নাই।' -হাকিম
৩. রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে।
৪. রোগের কারণে উত্তেজনা ব্যতীত বীর্যপাত হলে।
৫. স্ত্রীকে চুম্বন বা আলিঙ্গন করার কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না।
৬. মুখের লালা বা থুথু গিললে রোজা নষ্ট হবে না।
৭. নাক দিয়ে অথবা কাশির সঙ্গে সামান্য রক্ত বের হলে বা মেসওয়াক করার কারণে দাঁতের রক্ত বের হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
৮. সাহরির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নাপাকজনিত বা ফরজ গোসল করতে বিলম্ব হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
৯. রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
১০. হোঁচট খেয়ে শরীর কেটে সামান্য রক্ত বের হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
১১. যেসব ইনজেকশন পানাহারের বিকল্প নয় বরং চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়, যেমন_ ইনসুলিন, প্যানিসিলিন বা ভ্যাক্সিন। এসব গ্রহণের কারণে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে সতর্কতার জন্য এগুলো রাতে গ্রহণ করা উত্তম।
১২. হাঁপানি রোগের জন্য ইনহেলার নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
১৩. গায়ে লাগানো কোনো ওষুধ ব্যবহার করায় রোজা নষ্ট হবে না।
১৪. মেসওয়াক বা ব্রাশ ব্যবহার করার কারণে রোজার ক্ষতি হবে না। তবে পেস্টের স্বাদ যেন অনুভব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১৫. আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করার কারণে রোজা নষ্ট হবে না।
১৬. দন্ত অপসারণ বা দাঁত উঠানোর কারণে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
১৭. প্রয়োজনে খাদ্যের স্বাদ নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
১৮. নখ, চুল বা গোঁফ কাটার কারণে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
যাদের জন্য রমজান মাসে রোজা
ভাঙার অনুমতি আছে
ক. যারা রোজা ভঙ্গ করবে এবং পরে কাজা করবে
১. মুসাফির
২. যে রোগীর আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা আছে। যেমন_ জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে রোজা ভাঙার অনুমতি আছে। তবে মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি জাতীয় সাধারণ অসুখ-বিসুখের কারণে রোজা ভঙ্গ করা যাবে না।
৩. বিপদাক্রান্ত এবং মৃত্যুমুখে পতিতদের উদ্ধারকারীরা, যেমন_ ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসের লোকদের জন্য প্রয়োজনে রোজা ভাঙার অনুমতি আছে।
৪. গর্ভবতী এবং স্তনদানকারী মহিলা রোজা ভাঙতে পারবে; যদি রোজা পালনের কারণে তার নিজের বা সন্তানের ক্ষতি বা জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খ. যারা রোজা ভাঙবে এবং প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খানা খাওয়াবে
১. বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ যারা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অক্ষম।
২. এমন রোগী যার রোগ ভালো হওয়ার আশা করা যায় না। যেমন_ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী।
muftianaet@gmail.com
 

No comments

Powered by Blogger.