এবার আশা প্রিয় মাঠে

বাজির দরে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল মেলবোর্ন। সেটা হয়নি। শচীন টেন্ডুলকার শততম সেঞ্চুরি করতে পারেননি সেখানেও। তাই বলে আলোচনা থেমে নেই। আবারও অল্পের জন্য ফসকে গেল—এ নিয়ে হা-হুতাশ কয়েক দিন হলো। এখন যথারীতি আবারও আলোচনায় ‘সম্ভাবনা’। তবে কি তা সিডনিতেই? এই মাঠে টেন্ডুলকারের যা রেকর্ড, তাতে আগামী কদিন আলোচনাটা বেশ জোরেশোরেই হবে নিশ্চিত। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সিডনিতে ৪ টেস্ট খেলে


টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড় ২২১.৩৩! ৭ ইনিংসে চারবারই অপরাজিত থাকায় গড়টা এমন অতিমানবীয় হয়েছে। এই মাঠে টেন্ডুলকারের পারফরম্যান্স সত্যিই দারুণ। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরেই (১৯৯১-৯২) ম্যাকডারমট-রিড-হিউজদের বিপক্ষে ১৮ বছর বয়সী টেন্ডুলকার করেছিলেন অপরাজিত ১৪৮। সিডনিতে আবার গেলেন অধিনায়ক হয়ে (১৯৯৯-২০০০), একমাত্র এবারই ব্যর্থ, দুই ইনিংসে ৪৫ ও ৪। ২০০০-০৪ মৌসুমে যখন তাঁর ব্যাটে রান-খরা, এই সিডনিতেই করেছিলেন সেই সময়ের সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৪১, দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬০। সর্বশেষ সফরে (২০০৭-০৮) অপরাজিত ১৫৪ ও ১২।
শততম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা নিয়ে আরেক দফা হইচইয়ের জন্য এই রেকর্ডই যথেষ্ট। আলোচনার পালে জোর হাওয়া দিলেন টেন্ডুলকার স্বয়ং। ভারতের বাইরে সিডনিকেই বলছেন তাঁর প্রিয় মাঠ। আর ইঙ্গিত দিলেন, কিছু একটা হবে মনে হচ্ছে তাঁরও, ‘ভারতের বাইরে আমার প্রিয় মাঠ অবশ্যই সিডনি। অসাধারণ একটা মাঠ, বিশেষ একটা জায়গা। পরিবেশটাকে আমি খুব পছন্দ করি। সবারই এমন কিছু মাঠ থাকে, যেখানে ঢুকলেই মনে হয় ভালো কিছু হয়ে যাবে। আমার জন্য এসসিজি তেমনই এক মাঠ, যেখানে আমি স্বস্তি পাই।’
সিডনি ক্রিকেট মাঠ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রডনি ক্যাভালিয়ার তো নিশ্চিত শততম সেঞ্চুরি সিডনিতেই হচ্ছে, ‘আপনার কি মনে হয় এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, সৃষ্টিকর্তা কিংবা হিন্দু দেবতারা শচীনকে শততম সেঞ্চুরি সিডনি ছাড়া অন্য কোথাও করতে দেবেন? এসব ব্যাপার মানুষের জন্মের অনেক আগে কিংবা ১৭৮৮ সালে ফিলিপের ভ্রমণের আগে (অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ইংরেজ কলোনি) থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে।’ ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.