জীর্ণ পুরাতন যাক, ভেসে যাক by শহিদুল ইসলাম

ক. ২০১১ সাল কেমন গেল এবং ২০১২ সাল কেমন যাবে_এ নিয়ে সালতামামি শুরু হয়ে গেছে এবং সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশার কথা-আশঙ্কার কথা। এ বিষয়ে আমাদের মিডিয়া জগৎ বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠের 'রাজনীতি' ক্রোড়পত্রে 'অস্থিতিশীলতার বছর ২০১১ : প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ মহাজোট' নামের এক বড় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই একই দিনে দৈনিক সমকাল 'কিছু বলতে চাই' শিরোনামে পাতাজুড়ে চুম্বক আকারে


২০১১ জীবন কেমন ছিল, তার বেশ কিছু ঘটনা প্রকাশ করেছে। আমার মনে হয়, সব কাগজই প্রতিবছরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত ছাপছে এবং আগামী কয়েক দিনে তা বৃদ্ধি পাবে। টেলিভিশনেও এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু রিপোর্ট থাকছে। সরকার সমর্থকরা তাদের সাফল্যগুলো বড় আকারে সামনে নিয়ে আসবে। সরকারবিরোধীরা তেমনি সরকারের ব্যর্থতাগুলোকেই বড় করে দেখবে। পক্ষ-বিপক্ষের ওইসব রিপোর্ট বা বক্তব্যে দেশের আমজনতা বিভ্রান্ত হতে পারে। ওইসব প্রতিবেদন ও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের পরস্পর বিরোধিতা প্রমাণ করে, সব কিছুই আপেক্ষিক। সরকারের দাবি, দেশের উন্নতি হয়েছে বিগত বছরে। আমরা এই করেছি, ওই করেছি ইত্যাদি। বিরোধীরা বলবে, সরকার সর্বতোভাবে ব্যর্থ। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসেছে। আমি ভাবিনি, এই বিষয়টি নিয়ে লিখব। বেগম রোকেয়া ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছিলেন, তা যেমন তিনি তাঁর সহজ-সরল বুদ্ধিতে উপলব্ধি করেছিলেন, আমি সাধারণ মানুষের একজন, আমার জীবনের লড়াইয়ে গত বছরটা কেমন গেল, যা আমার কাছে নির্ভেজাল বাস্তব, তা নিয়ে দু-চারটি কথা পাঠকের উদ্দেশ্যে নিবেদন করব। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারিতে যে ব্যক্তির যা আয় ছিল, ৩১ ডিসেম্বর তাঁর আয় হুবহু তা-ই আছে, তিনি কেমন আছেন? ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি তিনি কেমন ছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর কি তিনি একই রকম জীবন যাপন করতে পেরেছেন? ২০১২ সালে কি তিনি আশা করতে পারেন যে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১-এর চেয়ে ভালো থাকতে পারবেন?
দুই. নতুন বছরের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা সাধারণত আশা করি পুরনো বছরের গ্লানি-ব্যর্থনা সব দূর হয়ে যাক। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে গেয়ে উঠেছিলেন, 'জীর্ণ পুরাতন যাক, ভেসে যাক।' আশা করেছিলেন, 'শুকনো গাঙে আসবে জীবনের বন্যার উদ্দাম কৌতুক।' রবীন্দ্রনাথও সারা জীবন বুর্জোয়া সভ্যতার ওপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুর আগে তিনি সেই সভ্যতার ভয়ংকর রূপ দেখে শঙ্কিত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা আজ সেই সভ্যতার ভয়ংকর রূপের মধ্যে বাস করছি। যে সভ্যতা মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য অশেষ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করেছে। অগণিত মানুষের জীবনে ডেকে নিয়ে এসেছে কালো অন্ধকার। তাই আজ সেই সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু যুক্তরাষ্ট্রের ৯৯ শতাংশ মানুষ ওই মুষ্টিমেয় মানুষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বায়নের আজকের সভ্যতায় সমগ্র পৃথিবী কেন্দ্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত। তাই বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা বিশ্বায়নের সুতোয় বাঁধা। এই প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালে বাংলাদেশের মানুষ কেমন ছিল, তা বিবেচনা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ বলতে আমি এ দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের কথা ভাবছি। এক শতাংশ মানুষ যে ভালো আছে, তা কাউকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না।
তিন. যাঁদের বয়স ষাট-সত্তর পেরিয়েছে, তাঁরা যখন শোনেন অমুকে ৬০ হাজার টাকায় এক ভরি সোনা কিনেছেন, তখন তিনি ভাবেন 'অমুকে' একজন ধনী ব্যক্তি। কিন্তু তিনিই ১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীন হলে এক ভরি সোনা কিনেছেন ১৬০ টাকায়। তাহলে এটা প্রমাণ হয় যে ১৯৭২ সালের 'তিনি' আজকের 'অমুকের' মধ্যে পার্থক্য নেই। মানুষের পকেটে কাগজের সংখ্যা বেড়েছে, তার মূল্য এক ভরি সোনার চেয়ে বেশি নয়। তাই আজ বাংলাদেশের এক শতাংশ মানুষ মিলিয়নেয়ার থেকে বিলিয়নেয়ার হয়েছে_হয়তো ২০১২ সালে 'সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে' ট্রিলিয়নেয়ারে উন্নীত হবেন। পৃথিবীতে সম্পদ বেড়েছে, সেইসঙ্গে বাংলাদেশেও। কিন্তু বিজ্ঞানের সূত্রানুযায়ী পৃথিবীতে 'বস্তুর' পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে না। বস্তু মানে শক্তি। তাই বস্তু বা শক্তির রূপান্তর হয়। এক ধরনের শক্তি আরেক ধরনের শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। প্রাকৃতিক জীবাশ্ম-শক্তি মানুষের পেশিশক্তির বিকল্প নয়, পরিপূরক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের সেই প্রকৃতিগত পেশিশক্তিকে লক্ষ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আজ সীমাহীন সম্পদ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যেহেতু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পৃথিবীর এক শতাংশ মানুষের দখলে, তাই তার দ্বারা সৃষ্ট সম্পদ ক্রমাগত সেই এক শতাংশ মানুষের হাতে জমা হচ্ছে, আর শক্তির মূল উৎস মানুষ, গতরখাটা মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে ধনী-গরিবের বৈষম্যের সীমা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এ পরিস্থিতিতে আজ ২০১১ সালের চাওয়া-পাওয়ার সালতামামি করতে হয়। আমরা ২৭৫ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। আজ যাঁরা ১৫ হাজার টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা কি আমাদের চেয়ে ওই টাকায় বেশি জিনিস কিনতে পারছেন? বিগত বছরের মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক মানুষের জীবন স্পর্শ করে গেছে। কেবল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি দিলেই বিগত বছরের সুখ-শান্তির মিথটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে। ২০১০ সালে এক ঘনফুট সিএনজির দাম ছিল ১৬ টাকা, ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকায়_অর্থাৎ ঘনফুটপ্রতি বেড়েছে ১৪ টাকা। অকটেনের দাম ছিল ২০১০ সালে ৭৭ টাকা, ২০১১ সালে হয় ৮৯ টাকা, লিটারপ্রতি বেড়েছে ১২ টাকা। পেট্রল ২০১০ সালে ৭৪ টাকা, ২০১১ সালে ৮৬ টাকা, লিটারপ্রতি বেড়েছে ১২ টাকা। ডিজেলের দাম ২০১০ সালে ছিল ৪৪ টাকা, ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ টাকায়, লিটারপ্রতি বেড়েছে ১২ টাকা। আর ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জীবনের সবক্ষেত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যাতায়াত ভাড়া বেড়েছে। মালামাল বহনের ভাড়া বেড়েছে। কৃষকের জমিতে পানি সেচের খরচ বেড়েছে। বাজারে কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে প্রতিটি শাকসবজির দাম বেড়েছে। মধ্যবিত্তের ডাইনিং টেবিল থেকে অনেক মাছ হারিয়ে গেছে। মাছের বাজারে গেলে সবচেয়ে কম দামের মাছওয়ালার মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। প্রত্যেকেই বাড়তি খরচ মেটাতে অমানুষিক পরিশ্রম করে অকালে স্বাস্থ্যহানির শিকার হয়েছেন। তবুও সবাই ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রিকশাওয়ালাদের বাঁচতে হবে। তাই রিকশায় পা রাখলেই ১০ টাকা। কিন্তু যাদের ২০১১ সালের ১ জানুয়ারির আয় ৩১ ডিসেম্বরে এক পয়সাও বাড়েনি, তাদের অবস্থা কী? সে খবর মিডিয়ায় কমই আসে। পাঠক ভাবতে পারেন, বাংলাদেশে কি এ ধরনের মানুষ আছে, যাদের আয় ২০১১ সালে এক পয়সাও বাড়েনি? আছে। সবাই তো আর চুরি করতে পারেন না। মানুষ ঠকাতে পারেন না। মাস্তান পুষতে পারেন না। বাংলাদেশেও ২০১১ সালে অনেক ভালো মানুষ ছিলেন, এখনো আছেন। ২০১২ সালেও থাকবেন, যাঁদের আয় বিগত পাঁচ-সাত বছরে এক পয়সাও বাড়েনি। তাঁদের কথা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন ও ক্ষমাতবহির্ভূত বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা ভাবেন না। ক্ষমতাসীনরা সাফল্যের ঢাক বাজান, আর বিরোধীরা ব্যর্থতার বাঁশিতে ফুঁ দেন। এখনো জানা যায়নি, ২০১১ সালে বাংলাদেশের কত শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা হয়তো তার হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত। সেইসঙ্গে কত শতাংশ মানুষের সম্পদ ২০১১ সালে দ্বিগুণের সীমা ছাড়িয়ে তিন গুণের দিকে ধাবমান, সে হিসাবটা দেশবাসীকে জানালে দেশবাসী কৃতার্থ হবে।
চার. গত বছরের প্রধান ঘটনাগুলোর মধ্যে আছে_যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল, শেয়ারবাজারে ধস, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ভেঙেপড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডিসিসি ভাগ, টিপাইমুখ, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও সোনিয়া গান্ধীর বাংলাদেশ সফর ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব কাগজ ও টেলিভিশন চ্যানেল তাদের ভাবাদর্শ অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তা নিয়ে এখানে আলোচনার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। ওই বড় বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার সময় সাধারণ মানুষের নেই। সবাই ভাবছে 'আগামী বছরটা কেমন যাবে? দুর্ভোগ কতটা বাড়বে?' দুর্ভোগ যে বাড়বে, কমবে না_এ বিষয়ে সরকার পক্ষীয় ও বিরোধীরা যতই চেঁচামেচি করুক, এ সত্যটি অস্বীকার করতে পারবে না। গত ২৯ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠে শুভ রহমান 'বছর শেষ হয়ে গেল, দুর্ভোগ গেল না' কলামেই তা সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। আসলে দুর্ভোগের মূল কারণ দূর করতে না পারলে আগামী বছরেও দুর্ভোগের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যাবে না। যখন সরকারের গদিতে বসে, তখন সব দলই একই কাজ করে। জনগণের ভোট দরকার কেবল ক্ষমতার সিংহাসন দখল করার জন্য। দখল হয়ে গেলে জনগণের কথা তাদের মনে থাকে না। তখন বিশ্ববাজারের দোহাই তুলে জ্বালানি ও ভোজ্য তেলসহ সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। তার ওপর আছে, আগেই বলেছি, বিশ্বের নয়া সাম্রাজ্যবাদের সাহায্য ও দান-খয়রাতের রাজনীতি। চিরদিনের গোলাম রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি প্রভু-সাম্রাজ্যবাদের বর্তমান নীতিই তার প্রমাণ। 'গণতন্ত্র' আজ আর 'জনগণের গণতন্ত্র' নয়। এ গণতন্ত্র দিয়ে আগামী বছরে জনগণের দুর্ভোগ-দুশ্চিন্তা কমানো যাবে না। মুষ্টিমেয় কিছু রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী শ্রেণীর সম্পদ বৃদ্ধি করবে। বড়লোকের গাড়ি নামবে রাজধানীর রাজপথে। অসহনীয় যানজটকে আরো অসহনীয় করে তোলার জন্য সিএনজির দাম বর্তমানের ৩০ টাকা (ঘনফুটপ্রতি) থাকবে না। সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকাও হতে পারে। হয়তো ৬৮ টাকার চিনি ৯৮ টাকায় কিনতে হবে। এক হাজার বর্গফুটের ছোট্ট একটি বাড়ি ভাড়া ৩০ হাজার টাকায়ও পাওয়া যাবে না। ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম হয়তো ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তা সামাল দিতে সরকার হয়তো চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়ে বাকি ৮০ শতাংশ মানুষের কষ্টকে আরো বৃদ্ধি করবে। ঝকঝকে কাগজের নোটে বাজার ভেসে যাবে। ১০-২০ টাকার কম ভিক্ষা দিলে ভিক্ষুকের করুণ দৃষ্টির শিকার হতে হবে। আগামী বছরের শেষ দিনে হয়তো আমার এ ভবিষ্যৎ নিয়ে কথার সত্যতা মিললেও মিলতে পারে। আজ থেকে ৩৬৫ দিন পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবন আরো বেশি সংকটপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। পুঁজিবাদ ও বুর্জোয়া সভ্যতার বর্তমান ধারা সেই ইঙ্গিতই বহন করে। জীবনের সত্তরটা বছর পার করে দিয়ে আজ আশা করতে বড় ভয় হয়। একাত্তর সালে যে আশা ও উদ্দীপনা নিয়ে এ দেশের মানুষ পাকিস্তানি বর্বর সেনা এবং তাদের এ দেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছিল, একটু একটু করে হারিয়ে যেতে যেতে তা যেন ইতিমধ্যে মানুষের মনে হতাশার কালো অন্ধকার লেপটে দিয়েছে। ২০১২ সালে দেশের মানুষ কি আলোর মুখ দেখতে পাবে?
পুনশ্চ: লেখাটি শেষের আগে জানা গেল জ্বালানি তেলের দাম আবার বেড়েছে এবং সিএনজির দামও বাড়তে পারে। মাত্র ৫০ দিনের ব্যবধানে ডিজেল ৫৬ থেকে ৬১, কেরোসিন ৫৬ থেকে ৬১, পেট্রল ৮৬ থেকে ৯১, অকটেন ৮৯ থেকে ৯৪ এবং ফার্নেস অয়েল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। শাবাশ সরকার, শাবাশ!
লেখক : শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক

No comments

Powered by Blogger.