দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী-জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম এ অঞ্চলে বেড়েই চলছে

খাদ্য নিরাপত্তা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং জ্বালানি খাত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অন্যতম সম্যস্যা। জ্বালানি তেল এবং খাদ্যপণ্যের দাম এই অঞ্চলের বেড়েইে চলছে। ফলে বিভিন্ন খাতে সামাজিক ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি।গতকল থেকে রাজধানী ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে শুরু হওয়া চতুর্থ দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেছেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) 'মন্দা-পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতি, নতুন ঝুঁকি এবং টেকসই উন্নয়ন : দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থার পুনর্বিবেচনা' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।অর্থনৈতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতির অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. শাম এল ভাতিজা, সার্কের সাবেক মহাসচিব এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির বিশেষ দূত ইব্রাহিম হোসেন জাকি, শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মন্ত্রী ড. সারাত অমুনুগামা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি খাতের উন্নয়নে কিছু সমস্যা আছে। জল বিদ্যুৎকেন্দ্র পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দেয়। তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আমাদের ভাবনার সুযোগ কম। সৌর এবং বায়ু বিদ্যুৎ বিষয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। আমাদের এই অঞ্চলে এখনো সৌর বিদ্যুৎ সেভাবে প্রসারিত হয়নি। জনসংখ্যার বৃদ্ধিকেও অর্থমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক যোগাযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের চেয়ে আমরা আঞ্চলিক যোগাযোগটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটাতে যাচ্ছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ভারতের ফ্রেডরিচ-এভার্ট-স্টিভটাংয়ের প্রকল্প পরিচালক সারা হিস, ইউএন-এস্কেপ, ব্যাংককের প্রধান অর্থনীতিবিদ নাগেশ কুমার, ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি নেইল ওয়াকার, কমনওয়েলথের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের প্রধান এডউইন লরেন্ট। অনুষ্ঠানে ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেন সার্কের মহাসচিব ফাতিমা দিয়ানা সাঈদ। সম্মেলনে এশিয়ার অর্থনীতিবিষয়ক লেখা তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার ৮৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ভারত থেকে ২১ জন, পাকিস্তানের ১৩ জন, শ্রীলঙ্কার ৯ জন, নেপাল থেকে ১০ জন, ছয়জন এসেছেন ভুটান থেকে আর মালদ্বীপ থেকে এসেছেন দুজন ।
সম্মেলনের সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কার ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ (আইপিএস), ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভলপিং কান্ট্রিজ (আরআইএস), নেপালের সাউথ এশিয়া ওয়াচ অন ট্রেড, ইকোনমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ (সাসেপস) এবং পাকিস্তানের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট পলিসি ইনিশিয়েটিভ (এসডিপিআই)।
সার্কভূক্ত দেশগুলোর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনামূলক মূল্য

No comments

Powered by Blogger.