লিবিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা আজ

লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার আজ রোববার সে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করবে। একজন সেনা মুখপাত্র এ কথা জানান। অন্যদিকে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল বলেছেন, একটি জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য আগামী আট মাসের মধ্যেই লিবিয়ার নাগরিকদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) যোদ্ধাদের হাতে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় কয়েক মাস ধরে চলা রক্তপাতের অবসান ঘটে। এনটিসি কর্মকর্তারা এর আগে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের জন্মস্থান বেনগাজি শহরে গতকাল (শনিবার) স্বাধীনতা ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন। তবে গতকাল সে ঘোষণা দেওয়া হয়নি। সেনা মুখপাত্র আবদেল-রহমান বাসিন বলেন, রোববার অনুষ্ঠান উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। তবে দেরির বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়াকে একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করার পদক্ষেপের দিকে অগ্রসর হতে পারবে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্যদিকে এনটিসি সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল গতকাল বলেছেন, একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠনের জন্য আগামী আট মাসের মধ্যেই লিবিয়ার নাগরিকদের ভোটদানের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী জিবরিল গতকাল শনিবার জর্ডানে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, একটি জাতীয় কংগ্রেস গঠনে সর্বোচ্চ আট মাসের মধ্যেই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠান করা উচিত। এ জাতীয় কংগ্রেস দুই ধরনের কাজ করবে। প্রথমত, একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করবে, যার ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয়ত, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে, যার মেয়াদ হবে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গাদ্দাফির মৃত্যুর পর লিবিয়ার রাস্তা থেকে অস্ত্র অপসারণ, স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলাই হবে এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। এই বিষয়গুলো ছাড়া কোনো কিছু করাই সম্ভব নয়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়াকে পুনর্গঠন সহজ হবে না বলে সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ পুনর্গঠনের কাজ হবে টম ক্রুজের ‘মিশন ইমপসিবল’-এর মতো।
গাদ্দাফির গোয়েন্দাপ্রধান নাইজারে: লিবিয়ার সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান আবদাল্লাহ আল সেনুসিকে প্রতিবেশী দেশ নাইজারে দেখা গেছে বলে খবর বের হয়েছে। সেনুসি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তালিকাভুক্ত আসামি। নাইজার সরকারের একটি সূত্র বলেছে, নাইজারের উত্তরাঞ্চলে লিবিয়া সীমান্ত এলাকায় সেনুসিকে দেখা গেছে। তবে তাদের প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তা বিভাগের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

No comments

Powered by Blogger.