ধোনিতে আড়াল টেন্ডুলকার!

আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচই তো। তবু চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি ছিল অন্য রকম। আলোর অভাব ছিল না। শচীন টেন্ডুলকারের ২২ গজে ফেরার ম্যাচ বলে কথা। তবে যাঁর কারণে ম্যাচটিকে ঘিরে এত আলো, সেই টেন্ডুলকার কিন্তু ঢাকা পড়ে গেলেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ছায়ায়। ভারতকে জেতাতে ৬৪ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটি মাত্র ওয়ানডে খেলেই দেশে ফিরতে হয়েছিল টেন্ডুলকারকে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। টেন্ডুলকার ছিলেন মাঠের বাইরে।
পরশু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে যাদের বিপক্ষে রয়েছে তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮৬ রানের ইনিংস।
শেবাগের সঙ্গে টেন্ডুলকারই হয়তো ভারতীয় ইনিংসের গোড়াপত্তন করবেন, তবে প্রস্তুতিটা তাঁর ভালো হলো না। টিম সাউদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র ১৭ রান করেছেন। টেন্ডুলকারকে জায়গা করে দিতে দুইয়ে নেমে যাওয়া গৌতম গম্ভীর ৮৫ বলে ৮৯ রান করেছেন। ২৬ বলে ৫০ রানের মারমার কাটকাট (৪টি চার ও ৩টি ৬) ইনিংস খেলেছেন সুরেশ রায়না। তবে টেন্ডুলকারের ফেরার ম্যাচে সবকিছু ছাপিয়ে আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন ধোনিই।
ভারত অধিনায়ক তাঁর ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে। রায়নার সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তুলেছেন ১৩৪ রান। এই জুটির কল্যাণেই ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬০ রানের পাহাড় গড়ে তোলে ভারত। আর সেই রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪৩.১ ওভারে মাত্র ২৪৩ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। ২ উইকেট পাওয়া হরভজন সিংয়ের কাছে নিউজিল্যান্ডের এভাবে ভেঙে পড়াটা স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে, ‘প্রতি ওভারে ৬-৭ রান করে তোলা যেকোনো দলের জন্যই কঠিন। আমাদের সব সময়ই এভাবে খেলা উচিত।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি অবশ্য এভাবে খেলে জিততে পারেনি ফেবারিট ভারত। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের দুটি জয় আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের। তবে ধোনি বরাবরের মতোই শান্ত আর ধীরস্থির, ‘আমরা আমাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ জিতেছি। তবে ভাবছি না এতেই সব হয়ে গেল।’

No comments

Powered by Blogger.