চীন-ভারত সম্পর্ক এবং এ অঞ্চলে তার প্রভাব by মোস্তফা কামাল

শিয়ার দুই বড় শক্তিধর দেশ চীন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াবাও এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। কয়েক মাস আগেও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধের জের ধরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল। আর তার নেতিবাচক প্রভাব
পড়তে শুরু করেছিল এশিয়ার দেশগুলোতে। সম্ভবত উভয় দেশই তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে এবং দুই দেশের শীর্ষনেতারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছেন। দুই বৃহত্তর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের এ উদ্যোগ আমাদের আশা জাগিয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে এ দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং সমান্তরালভাবে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার তো বটেই, সাধারণ মানুষও চীন ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক দেখতে চায়।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবেই চীনের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিলি্ল সফর করেন। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। মাত্র এক মাসের মধ্যেই তাঁরা দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসলেন নয়াদিলি্লতে। এ বৈঠককে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন। হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় ছাড়াও তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা উভয়েই পূর্ব এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য হ্যানয়ে গিয়েছিলেন।
তবে ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিলি্লতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরেক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। অন্য যেকোনো সমস্যাই থাকুক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নকে উভয় দেশ বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল নাগাদ ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে একটি যৌথ ইশতেহারে সই করেছেন উভয় প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছয় হাজার কোটি ডলার। এর মধ্যে চীনে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ এক হাজার ৯০০ কোটি ডলার। চীনে ভারতের বাণিজ্য বাড়াতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভালো ফল বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বৈঠকের প্রায় পাঁচ বছর আগে ২০০৫ সালের এপ্রিলে চীনের প্রধানমন্ত্রী চিয়াবাও ভারত সফর করেছিলেন। তাঁর ওই সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে তিন হাজার ৩৫০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার সমস্যা সমাধানে একটি রোডম্যাপ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে চীন ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী সই করেন। এতে দুই দেশের দেওয়া-নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আমরা লক্ষ করছি, দুই দেশের সম্পর্কে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। কূটনৈতিক যোগাযোগও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেড়েছে। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর খুলে গেছে দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রুট হিমালয়ের নাথুলা গিরিপথ। শত শত বছর আগে প্রাচীন দুই সভ্য জাতি তাদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ভারতের সিকিম ও চীনের তিব্বতের মধ্যবর্তী 'নাথুলা পাস' নামের এ গিরিপথটি গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধের পর গিরিপথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে হটলাইন চালু করতে একটি চুক্তিও সই হয়েছে। এতে সই করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচি এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা। এ চুক্তির ফলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সরাসরি টেলিযোগাযোগ স্থাপিত হবে।
দুই দেশের মধ্যে এ সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল ৬০ বছর আগে ১৯৫০ সালের এপ্রিলে। তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চৌ এন লাই এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। তখন তাঁদের সফর বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের শুভসূচনা হয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ব্রিটিশদের টানা সীমান্তরেখা দুই দেশের মধ্যে বিবাদের ক্ষেত্র তৈরি করে। সেই বিবাদ এখনো আছে। এ কারণে কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেন, ব্রিটিশদের কূটকৌশলের জালে সারা বিশ্বই যেন বন্দি। তাদের জিইয়ে রাখা বিবাদ কবে মীমাংসা হবে, তা কেউ জানে না। এই একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে ১৯৬৬ সালে সীমান্ত যুদ্ধের পর ১৯৬৭ ও ১৯৮৭ সালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছিল। কিন্তু বড় কোনো যুদ্ধ হয়নি, যদিও দুটি দেশই অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। তার পরও এ কথা বলা যায়, দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আমরা জানি, নিকট প্রতিবেশী চীন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। গত এক বছরে চীনের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ভারত নাখোশ হয়েছিল। ভারত এ বিষয়ে চীনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। আন্তর্জাতিক মহলকেও জানিয়ে আসছিল। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে চীনের অবস্থানকে ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এ বিষয়ে নয়াদিলি্লতে চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অঙ্গরাজ্য। তাদের জন্য পৃথক ভিসা দেওয়া কখনোই মেনে নেবে না নয়াদিলি্ল।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। এ ছাড়া চীনা অনুপ্রবেশ, ব্রহ্মপুত্রের পানিবণ্টন, আধ্যা@ি@@@ক নেতা দালাই লামাকে আশ্রয় দেওয়ার মতো বিষয় বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এসব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও চীনের সঙ্গে অযথা সংঘাতে যাওয়ার পক্ষপাতী নয় ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে সমান্তরালভাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও বিকাশের যথেষ্ট পরিসর রয়েছে।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বিরোধপূর্ণ। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে না। এ অবস্থায় চীনের সঙ্গে বিরোধ বাড়ানো ভারতের ঠিক হবে না। সেই উপলব্ধি থেকেই উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দুই দেশই পরস্পরকে 'কৌশলগত অংশীদার' ঘোষণা করেছে। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কও এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে উন্নত।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদের জন্য ভারত জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে চীনের সমর্থন লাগবে। চীনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ পেতে ভারতকে সহায়তা করবে চীন। এটা ভারতের জন্য সুখবর বটে! চীনের সমর্থন পেলে ভারতের সামনে খুব একটা বাধা থাকবে না। যদিও কেউ কেউ মনে করেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। পাকিস্তানের কারণে শেষ পর্যন্ত চীন তার প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখবে কি না সন্দেহ।
তবে এটা ঠিক, এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রা চোখে পড়ার মতো। এক যুগ ধরে চীনের 'ডাবল ডিজিট' প্রবৃদ্ধি। ভারতও প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। এ চিত্র উন্নত ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ঈর্ষার কারণ। দুটি দেশই আগামী দিনের বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রগামী শক্তি। বিশ্বের বড় অর্থনৈতিক শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এশিয়ার দেশ জাপানের অবস্থান। তার পরই রয়েছে চীন। এ ক্ষেত্রে ভারতও পিছিয়ে নেই।
চীন ও ভারতের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের প্রভাব পড়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি নির্ভর করে এ দুই দেশের সম্পর্কের ওপর। এ কারণে প্রতিবেশী দেশগুলো সব সময়ই চীন ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখতে চায়। আর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশকে ভারত ও চীনের সঙ্গে সমান্তরাল ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। চীন-ভারত সম্পর্ক ভালো থাকলে তার ইতিবাচক প্রভাব সরাসরি বাংলাদেশের ওপর পড়ে। আবার সম্পর্ক খারাপ থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাবও বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সংগত কারণেই বর্তমান সরকার বড় প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মধ্যে ভারত ও চীন সফর করেন। এ সফরের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা উভয় দেশকে এমন বার্তা দিতে চেয়েছেন, এ দুটি দেশকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। কোনো দেশকেই খাটো করে দেখছে না।
এশিয়া অঞ্চলের প্রতিটি দেশই চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ অঞ্চলের উন্নতি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই চীন ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রয়োজন। নিশ্চয়ই ভারত ও চীনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এটা উপলব্ধি করতে সক্ষম।
আমরা চাই, এশিয়ার বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশ ভারত ও চীনের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হোক এবং এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দুই দেশ একযোগে কাজ করুক। সব ভেদাভেদ ভুলে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। নিশ্চয়ই সবাই এ কথা স্বীকার করবেন।
===========================
নারী লাঞ্ছনার সর্বগ্রাস  একজন এস এ জালাল ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্যভাণ্ডার  গল্প- স্বপ্নের মধ্যে কারাগারে  গল্পিতিহাস- কাঁথা সিলাই হইসে, নিশ্চিন্ত  ‘এখন প্রাধান্য পাচ্ছে রম্যলেখা'  অকথিত যোদ্ধা  কানকুনের জলবায়ু সম্মেলন, বাংলাদেশের মমতাজ বেগম এবং আমার কিছু কথা  নাপাম বোমা যা পারেনি, চ্যালেঞ্জার ও আব্রাম্‌স্‌ ট্যাংক কি তা পারবে?  ঠাকুর ঘরে কে রে...!  ষড়যন্ত্র নয়, ক্ষুধা ও বঞ্চনাই আন্দোলনের ইন্ধন  বাহাত্তরের সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা কোথায়?  ড.ইউনূসের দুঃখবোধ এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা  গীতাঞ্জলি ও চার্লস এন্ড্রুজ  গল্প- তেঁতুল  একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশনা  গল্প- বট মানে গরুর ভুঁড়ি  গল্প- কিশলয়ের জন্মমৃত্যু  গল্প- মাকড়সা  দুর্নীতি প্রতিরোধে আশার আলো  জাগো যুববন্ধুরা, মুক্তির সংগ্রামে  ঢাকা নগর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন প্রয়োজন  মারিও বার্গাস য়োসার নোবেল ভাষণ- পঠন ও কাহিনীর নান্দীপাঠ  লন্ডন পুলিশ জলকামানও নিল না  রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ ও যুদ্ধাপরাধী বিচারের দায়বদ্ধতা  পোশাক শিল্পে অস্থিরতার উৎস-সন্ধান সূত্র  বাতাসের শব্দ  গোলাপি গল্প  বজ্র অটুঁনি অথবাঃ  উদ্ভট উটের পিঠে আইভরি কোস্ট  আনল বয়ে কোন বারতা!  ফেলানীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ- নিজ ভূমেই প্রশ্নবিদ্ধ ভারতের মানবিক চেহারা  বাজার চলে কার নিয়ন্ত্রণে  উঠতি বয়সের সংকট : অভিভাবকের দায়িত্ব  বিকল্প ভাবনা বিকল্প সংস্কৃতি  অন্ধত্ব ও আরোগ্য পরম্পরা  খুলে যাক সম্ভাবনার দুয়ার  কক্সবাজার সাফারি পার্কঃ প্রাণীর প্রাচুর্য আছে, নেই অর্থ, দক্ষতা  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গুপ্ত জীবন  ছাব্বিশটি মৃতদেহ ও একটি গ্রেপ্তার  ৩৯ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি  সাইবারযুদ্ধের দামামা  সরলতার খোঁজে


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোস্তফা কামাল
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক.


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.