২০০৭-এর পুনরাবৃত্তি চায় বাংলাদেশ

ক্রিকেট বিশ্বকাপের দশম আসরের জমকালো উদ্বোধনের পর কাল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। এবারের আসরে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি চায় বাংলাদেশ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এবং বর্তমানে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দলটিকে গত বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগারেরা। ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ ভাবেই তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রত্যাশার কথা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি সমর্থকরা আশা করছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল ভারতের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ প্রতিহত করবে এবং ২০০৭ সালের মত আবারও সফল হবে।
ঢাকার একজন দোকান কর্মচারী হালিম রহমান বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জিতব। আমরা বিশ্বকাপে কখনও ভারতের কাছে হারিনি।’
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ৩৬ বছরের ইতিহাসে এ দুটি দল বিশ্বকাপে একবারই মুখোমুখি হয়েছে এবং সে খেলায় বাংলাদেশ জয়ী হয়।
বাংলাদেশ ও ভারত ওয়ানডে ক্রিকেটে ২২ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে ২০ বারই জিতেছে ভারত। তারপরও দিবা-রাত্রির প্রথম ম্যাচে নিজ দলের জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
ভারত যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি সমর্থকের সামনে তাদের দলকে হারানো।
দেশের মাটিতে অনুকূল পরিবেশের সুবিধা পাবেন বাঁ হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও সাকিব আল হাসান। পাশাপাশি সর্বশেষ ১০টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ সাতটিতেই জয়ী হয়েছে ও হেরেছে মাত্র একটিতে। এর মধ্যে গত অক্টোবরে ভেট্টোরির নিউজিল্যান্ড দলকে ৪-০ তে ‘বাংলা ওয়াশ’ করেছে সাকিব বাহিনী।
অবশ্য সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘সমর্থকেরা অনেক কিছুই আশা করবে, সেটা আমাদের জন্য তেমন চাপ নয়। শুধুমাত্র ভারতের বিপক্ষে জেতা নয় প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের ভাল খেলতে হবে।’
তবে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ২৭ বছর বয়সী এই পেসারের অসাধারণ বোলিংয়ে (৩৮ রানে চার উইকেট) গত বিশ্বকাপে ভারতকে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটিং নির্ভরতা বাঁ হাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। এ ছাড়া স্পিনারদের রুখে দিতে রয়েছে জুনায়েদ সিদ্দিকী ও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
অন্যদিকে ভারত প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড হারিয়ে অনেকটাই খোশ মেজাজে রয়েছে। ভারতের প্রধান শক্তি ব্যাটিং লাইন আপ। যেখানে বিশ্ব রেকর্ডধারী শচীন টেন্ডুলকারের পাশাপাশি শেহবাগ, গম্ভীর, যুবরাজ আছেন। এ ছাড়া ধৈয্যশীল ধোনি এবং মারমুখি ইউসুফ পাঠান রয়েছে। তবে বোলিংয়ে অফ স্পিনার হরভজন, জহির খানের পাশাপাশি সেহবাগ, যুবরাজ এবং পাঠানকে দিয়ে বোলিং স্পেল পূরণ করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.