আবারও কি কেদারের কীর্তি?

বলতে গেলে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে বাংলাদেশ-ভারত সেমিফাইনাল মঞ্চেই তাঁর আবির্ভাব। কিন্তু ক্ষণিকের আবির্ভাবেই আলো কেড়ে নিয়েছেন কেদার যাদব। ম্যাচসেরার পুরস্কার সেদিন এই অফ স্পিনারের হাতে ওঠেনি। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির জন্য সেটি পেয়েছেন রোহিত শর্মা। তবে রোহিত, জসপ্রিত বুমরা, বিরাট কোহলিদের সঙ্গে আলোচিত নাম এখন যাদব। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালেও কি আলো ছড়াবেন ভারতের এই মিনি অলরাউন্ডার? বাংলাদেশ ম্যাচের আগে ১৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। এর ১১টিতেই অধিনায়ক তাঁর হাতে বলই দেননি। পুরো ১০ ওভার বল করেননি কোনো ম্যাচেই। প্রাপ্তির খাতায় ছিল ৬টি মাত্র উইকেট। এই যাদবই বাংলাদেশের বিপক্ষে হয়ে গিয়েছিলেন ভারতের গোপন অস্ত্র। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ফাইনালে তুলতে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। তৃতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিমের জুটিকে অপ্রতিরোধ্য লাগছিল। ভুবনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বুমরাদের মতো তারকা বোলাররা তামিম-মুশফিককে থামানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এমন সময়ই কোহলির যেন মনে পড়ে গেল, তাঁর তো একটি গোপন অস্ত্র আছে! বল তুলে দিলেন যাদবের হাতে। যাদবও দিয়েছেন এর প্রতিদান। অল্প সময়ের মধ্যে তুলে নিয়েছেন তামিম ও মুশফিককে। তরতর করে এগিয়ে চলা বাংলাদেশও খেই হারিয়ে ফেলে তাতে। তিন শ রানের বেশি করার স্বপ্ন দেখা মাশরাফিরা শেষ পর্যন্ত টেনেটুনে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলতে পারেন। উইকেটকিপার মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে বোঝাপড়াটা ভালো। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে যাদব বলেছিলেন, ধোনির চোখের ইশারা বুঝতে পারেন। তেমন এক ইশারাতেই গতির তারতম্যে ধোঁকা খাইয়ে দিয়েছিলেন তামিমকে। আর মুশফিককে ফেরাতে কাজে লাগান বলের ফ্লাইট। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদেরও একটি হুমকি দিয়ে রেখেছেন যাদব, ‘ব্যাটসম্যানরা যদি আমার বিপক্ষে বড় শট খেলতে যায় তাহলে তারা ভুগবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কেদার যাদব
ম্যাচ   ওভার    মেডেন     উইকেট       গড়          ইকোনমি
৪      ৯.০         ০       ২            ২০.০০      ৪.৪৪

No comments

Powered by Blogger.