পাকিস্তানে আল-জাজিরার ওয়েবসাইট বন্ধ!

কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যা বিষয়ে দেশটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের (অ্যাবোটাবাদ কমিশন) প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। তবে পাকিস্তান সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অ্যাবোটাবাদ কমিশনের ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনের প্রায় পুরোটাই গত সোমবার আল-জাজিরায় প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত লাদেনের ৯ বছর পাকিস্তানে নির্বিঘ্নে অবস্থানের পেছনে পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন সংস্থার 'সম্মিলিত ব্যর্থতা, অযোগ্যতা এবং অবহেলাকে' দায়ী করা হয় প্রতিবেদনে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনাও করা হয় এতে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার থেকে পাকিস্তানে আল-জাজিরার ওয়েবসাইট বন্ধ রয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নজরদারি সংস্থা পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ) বেসরকারি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে আল-জাজিরার ওয়েবসাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও সরকারের ওই নির্দেশ পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। কারণ পাকিস্তানের কোনো কোনো এলাকা থেকে ঠিকই আল-জাজিরার ওয়েবসাইটে ঢোকা যাচ্ছে। ইসলামাবাদে আল-জাজিরা কার্যালয় থেকেও ওয়েবসাইটে ঢুকতে কোনো সমস্যা হয়নি। ওয়েবসাইট বন্ধ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পিটিএ কর্তৃপক্ষ। পিটিএর মুখপাত্র কুররুম মেহরাম বলেন, 'আমরা কাউকে কোনো ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশ দিইনি।'
তথ্য মুছে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের কাছে থাকা বিন লাদেনকে হত্যার অভিযানসংশ্লিষ্ট সব তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কাছে হস্তান্তর করেছে। এমনকি মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্যও মুছে ফেলা হয়েছে। অভিযানের তথ্য যাতে ফাঁস না হয় তা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিআইএর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী নেভি সিল ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের আ্যবাটাবাদে লাদেন হত্যা অভিযান চালায়। সিআইএর মুখপাত্র প্রিসটন গলসন এক বিবৃতিতে জানান, সিআইএর পরিচালকের তত্ত্বাবধানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাই এই অভিযানের সব তথ্য সিআইএর। তবে তথ্য স্বাধীনতা আইনের বাধ্যবাধকতা এড়ানোর জন্য সিআইএর কাছে তথ্যগুলো হস্তান্তর করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। সূত্র : জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.