কৃষক না বাঁচলে কৃষিনির্ভর দেশ এগোবে না

ধান চাষ করে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে কৃষকরা অভিযোগ করছেন। সরকারিভাবে যে মূল্যে ধান কেনা হয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে তার চেয়ে কম দামে কৃষকদের ধান বিক্রি করতে হয়। এ নিয়ে মতামত জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম

ইমদাদ
ব্যবসায়ী, মালিবাগ, ঢাকা
এদেশের কৃষক সমাজ সত্যিই খুব নিরুপায়। তারা না পারছে কৃষিকাজ করে যেতে, না পারছে তা ছাড়তে। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রমের মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করে বিনিময়ে কী পাচ্ছে? একদিকে সারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীদের উৎপাত। এর ভেতর দিয়ে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না। তারা আমাদের জন্য এত কষ্ট করে খাদ্য উৎপাদন করছে, অথচ আমরা তাদের কথা ভাবছি না। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা দল কৃষক ধানের মূল্য কেন কম পাচ্ছে_ তা নিয়ে কোনো আন্দোলন করেনি।

আবু রায়হান
শিক্ষার্থী, ধানমণ্ডি, ঢাকা
কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় যেভাবে বেড়েছে; ধান ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম সে তুলনায় বাড়েনি। তার প্রমাণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, এক বস্তা ইউরিয়া সারের দাম যেখানে ১২শ' টাকা; কীটনাশক, তেল, বীজের দামও আকাশছোঁয়া। সেখানে এক মণ ধানের দাম এখনও ৫২০ টাকা। লাভ তো দূরে থাক, কৃষকের উৎপাদন ব্যয়ই ঠিকমতো উঠছে না। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীরাই উপকৃত হচ্ছে। এ জন্য অনেক কৃষক তার পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। ক্রমশ ধান উৎপাদন যেভাবে কমে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তাই এখনই সরকারকে নজর দিতে হবে কৃষির দিকে, কৃষকের দিকে।

মো. আমিনুল ইসলাম
কৃষক, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ
সরকারিভাবে চাল কেনা হবে। যে বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যৌক্তিক কিনা_ তাই আমার প্রশ্ন। বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম, তা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। তাতে কৃষকের নানাবিধ সমস্যা হয়। একজন কৃষক হিসেবে বলতে চাই, ধানের মূল্য কমপক্ষে এক হাজার টাকা মণ করা উচিত। সরকারের ক্রয়ব্যবস্থা ত্রুটিযুক্ত। যে ধান ক্রয় করবে, তার পরিমাণ বাড়ানো উচিত।
শাহাবউদ্দীন
ব্যবসায়ী, ভালুকা, ময়মনসিংহ
বর্তমানে ধানের যে দাম, তাতে আমরা কোনোমতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারছি।
মো. খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
কৃষক যদি অধিকার না পায়, তাহলে দেশ সামনে এগোবে কীভাবে? কৃষকরা যেন ধানের উপযুক্ত দাম পায় সে ব্যবস্থা করা হোক।
মো. আমীর হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
আমাদের দেশের যে অবস্থা, তাতে যে বাজার আছে তা বজায় থাকলেই গরিব মানুষের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। চালের সঙ্গে অন্যান্য জিনিসের দামও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সরকারের প্রতি অনুরোধ, গরিব-দিনমজুরদের প্রতি নজর রাখুন। তাদের দৈনিক আয় সীমিত। এর মধ্যে থেকেই তাদের সবকিছু করতে হয়।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
মানবাধিকার কর্মী, রিকাবীবাজার মুন্সীগঞ্জ
স্বাধীনতার লগ্নে প্রায় তিনগুণ আবাদি জমিতে সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য এক লাখ টন খাদ্যের জোগান দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমানে ১৬ কোটি মানুষের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন খাদ্য উৎপাদন করে উদ্বৃত্ত খাদ্য রফতানি উপযোগী করেও ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক। ফলে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য খোলাবাজারে ক্রয় করে বিদেশে রফতানির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে এখনই।
মনিরুজ্জামান
ব্যবসায়ী, সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জ
কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণেই আমাদের এই পরিস্থিতি। সিরাজগঞ্জ জেলা ধানের জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় ইদানীং কেউ ধান ক্রয় করছে না। কৃষক দ্বিধায় পড়ে গেছে। ফলে এলাকার অন্যান্য ব্যবসার অবস্থা ভালো না। আমার মনে হয়, ধানের দাম বাড়ানো হলে কৃষকের জন্য সুবিধা হবে। এখানে সারের দাম বেশি, কিন্তু ধানের দাম কম।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। মাঝখানে কিছু লণ্ডভণ্ড রাজনীতির কারণে কৃষক সারের জন্য গুলি খেয়ে মারা গিয়েছিল। সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। বাংলাদেশের কৃষক আশা করে, কৃষিবান্ধব সরকার তাদের সব ক্ষতি পুষিয়ে দিয়ে একটা ভালো অবস্থানে পেঁৗছাবে।
রাশেদ
কৃষক, মৌলভীবাজার
বর্তমানে যে ধানের দাম, তাতে কৃষকের কিছুতেই পোষাচ্ছে না। বর্তমানে ধানের মূল্য হওয়া উচিত ছিল প্রতি মণ ৮০০-৯০০ টাকা। কিন্তু সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকার মতো। ফলে কৃষক ধান-চাল বিক্রি করে ঠিকমতো বাজার করতে পারছে না।
মো. আবুল কালাম আজাদ
কৃষক, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী
ধানের যে বাজার, তাতে কৃষক নাজেহাল পরিস্থিতিতে আছে।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
ধান-চালসহ অন্যান্য দ্রব্যের বাজারদর সহনশীল থাকায় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা নাগালে রয়েছে। বাজারদরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অবশ্য বর্তমান সরকার জনগণের হয়ে কাজ করছে বলেই আজ অবধি কৃষকরা দিশেহারা হচ্ছে না। তারা কৃষিকাজ নির্বিঘ্নে করতে পারছে। তবে বাজারদর অস্থিতিশীল করতে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অপতৎপরতা চালালেও সরকারের ভূমিকায় তা ভেস্তে যায়।
তানভীর আহমেদ
শিক্ষার্থী, বদরগঞ্জ, রংপুর
কৃষক যে কষ্ট করে, তার সুফল ধান বিক্রি করে পাওয়া যায় না। এভাবে চললে তারা না খেয়ে মারা যাবে।
মো. রফিকুল ইসলাম
কৃষক, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ
আমাদের এক কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ২২ টাকা। কিন্তু আমরা পাই ১৬ টাকা। সরকার যে মূল্যে ধান কিনছে, তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মো. সজিবুল ইসলাম
কৃষক, রংপুর
এবার যে অবস্থা, তাতে কৃষক আর কৃষিকাজের সঙ্গে থাকতে পারবে না। উৎপাদন খরচ বেশি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করতে হবে।
আনিস
চাকরিজীবী, বেনাপোল
ধানের দাম ও কৃষকের স্বার্থ যদি বাংলাদেশ সরকার না দেখে, তাহলে আমাদের জন্যই সমস্যা হবে। কৃষক সঠিক দাম না পেলে তারা ধান চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। সরকারের উচিত কৃষকের প্রতি নজর দেওয়া।
ডা. গোলাম মোস্তফা
চিকিৎসক, পাবনা
আমাদের এলাকার কৃষকরা এবার ইরি ধান আবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারণ কৃষক খুব কষ্টের মধ্যে আছে। আমরা চাই ধানের দাম বৃদ্ধি করা হোক এবং কৃষক শান্তিতে থাকুক।
আলিফ মাহমুদ অপু
ব্যবসায়ী, আশুলিয়া
দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সেখানে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। বর্তমান উৎপাদিত মূল্যের চেয়ে কৃষক লোকসানে ধান বিক্রি করলে তারা ধান চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশে খাদ্য ঘাটতিসহ নানা রকম সমস্যায় পড়তে হবে। এ জন্য সরকারকে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
হাবিবুর রহমান
কৃষক, যশোর
ধানের দাম প্রতি মণ ৮০০ টাকার ওপর করলে আমরা বাঁচব। এখন কেউ আর বর্গায় জমি চাষ করতে চায় না। আমি নিরুপায় হয়ে বর্তমানে সাময়িকভাবে চাকরি করছি। আমি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করতাম।
মো. দুলাল উদ্দিন
কৃষক, সিলেট
সরকার ধানের যে দর বেঁধে দিয়েছে, তাতে আমরা ক্ষতির মধ্যে আছি।
আশু পাল
কৃষক, সিলেট
আমরা সস্তায় ধান বিক্রি করি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ ওঠে না।
আবদুল লতিফ
কৃষক, নোয়াখালী
উৎপাদন খরচের তুলনায় কৃষক তার দাম পাচ্ছে না। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সরকার ধান কিনলে ভালো হতো। ফড়িয়ারা বেশি লাভ করছে।
মো. মোস্তফা
কৃষক. সুবর্ণচর, নোয়াখালী
আমরা অবহেলিত। আমরা লাভের আশায় চাষাবাদ করলেও সে অনুপাতে আমরা টাকা পাচ্ছি না। ব্যবসায়ীরা ধান কিনছে না। কিনতে চাইলেও কম টাকা দিচ্ছে।
ফজলুল হক বেপারী
চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাদারীপুর
প্রতি ইউনিয়নে সরকারের ফুড গোডাউন করে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সুযোগ করা দরকার।
প্রবাল মজুমদার
শিক্ষক, নান্দাইল, ময়মনসিংহ
ধানের দাম কম থাকার কারণে কৃষকরা ধানচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ধানি জমি এখন পুকুর ও অন্যান্য বনজ কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের ধানি জমি কমে যাচ্ছে। কৃষির ব্যাপারে এখন কৃষকের আগ্রহ নেই।
ইজাজ
ব্যবসায়ী, চৌদ্দগ্রাম
ধানের উৎপাদন খরচ বেশি, কিন্তু বিক্রয়মূল্য কম। যদিও আমি ব্যবসা করি, কিন্তু আমি কৃষকের সন্তান।
মো. আমির
শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ধানের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। আমাদের এলাকায় এখন অনেক জমি পরিত্যক্ত থাকছে। আমরা প্রতি বছর জমি বর্গা দিতাম। এ বছর বর্গা দিতে পারছি না। কারণ ধানের দাম কম থাকায় কেউ বর্গা চাষ করতে রাজি হচ্ছে না।
শাহীন
কৃষক, সান্তাহার, নওগাঁ
ধানের দাম বেশি হওয়া উচিত। আমরা জমি আবাদ করে লাভবান হতে পারছি না।
মো. রফিকুল ইসলাম
কৃষক, জামালপুর
ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকের পোষাচ্ছে না। ধানের দাম অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না রাখলে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হবে না।
মো. রানা
শিক্ষার্থী, নওগাঁ
সরকার কেন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না? সারের দাম এত বেশি কিন্তু ধানের দাম এত কম কেন?
মো. নুর হোসেন মুকুল
কৃষক, পটুয়াখালী
আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এক মণ ধান উৎপাদন করে বাড়ি পর্যন্ত পেঁৗছাতে খরচ হয় ৭০০ টাকার মতো। কিন্তু আমরা বিক্রি করলে পাই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। আমরা খুব বিপদে আছি। কী করব বুঝতে পারছি না। এভাবে চললে কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে হবে। সব জিনিসের দাম বেশি, কিন্তু ধান-চালের দাম কম।
ঋষিতোষ সাহা
শিক্ষার্থী, নওগাঁ
ধানের পাশাপাশি অন্যান্য দ্রব্যের দাম কম থাকলে ভালো হতো। না হলে কৃষক অন্যান্য জিনিস কিনতে পারবে না।
মাহফুজা আনাম
গৃহিণী, ময়মনসিংহ
আমাদের কিছু জমি বর্গা দিয়ে চাষ করাই। কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু তারা পেটের দায়ে আমার জমি চাষ করে। ধানের যে দাম, তা অনেক কম হয়ে যায়।
আবু বকর সিদ্দিক
ব্যবসায়ী ও কৃষক, শেরপুর
বর্তমানে ধানের মূল্য বাড়ানো উচিত। সার, তেলের যে দাম, তাতে ধান উৎপাদন করে পোষায় না।
মৃদুল কুমার সরকার উৎপল
শিক্ষক, বগুড়া
কৃষক না বাঁচলে কৃষিনির্ভর এই দেশও বাঁচবে না। এটা সবার মনে রাখা প্রয়োজন।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
হিসাব করে উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করে সরকার যদি ভর্তুকি দেয়, তবে ধানের বিক্রয়মূল্য যা আছে, তাতে কৃষকের কোনো ক্ষতি হবে না।
দুলাল
ব্যবসায়ী, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী
বর্তমানে কৃষক তার ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
কৃষকের বাঁচার পথ নেই। কৃষক কষ্টে ছিল এবং আছে। কারণ এক বিঘা জমিতে বর্তমানে ধান ফলানো খরচ নিম্নরূপ_ সেচ ১২০০ টাকা, বীজ ৬০০ টাকা, শ্রমিক ১৫০০ টাকা, রোপা বাবদ ১৫০০ টাকা, নিড়ানি ২০০০ টাকা, ধান কাটা ২৪০০ টাকা, সার ও কীটনাশক ৬০০ টাকা, চাষ ৪০০ টাকা, মাড়াই ৬০০ টাকা। কৃষক ধান বিক্রি করে প্রতি মণ ৫৫০ টাকা। উৎপাদন ১ বিঘায় ২০ মণ হলে মোট পাচ্ছে ১১ হাজার টাকা। আর সর্বমোট ব্যয় ১০ হাজার ৮০০। সুতরাং কৃষক সারা বছর যে অবস্থায় ছিল তার থেকে আরও খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। উপরন্তু তার স্বাস্থ্য সমস্যা, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে কৃষকের বাঁচার কোনো পথ নেই। তাদের বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে প্রকৃত কৃষকের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া যেতে পারে।
মো. বেলায়েত হোসেন
ব্যবসায়ী, মনোহরদী, নরসিংদী
ধানের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে কৃষক আরও বেশি ধান উৎপাদনে আগ্রহী হবে।
আফছার আলী
কৃষক, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ
যদি ধানের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে কৃষক কোনোমতে খেয়ে বাঁচতে পারবে।
লিটন সূত্রধর
পল্লী চিকিৎসক, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। সেই চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার কৃষিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তারই প্রতিফলন বর্তমান সরকারের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর কাছে সবিনয় অনুরোধ, কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মাহবুবা রহমান
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকারকে ধান কিনতে হবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে। এতে কৃষক লাভবান হবে।
মেহেদি হাসান রাজু
শিক্ষার্থী, ঢাকা
বর্তমানে কৃষক ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। ধানের দাম বৃদ্ধি করা হলে কৃষক উপকৃত হবে।
মো. রফিকুল ইসলাম
কৃষক, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ
আমাদের ১ কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ২২ টাকা। কিন্তু আমরা পাই ১৬ টাকা। সরকার যে মূল্যে ধান কিনছে, তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মো. লুৎফুল হাকিম
অ্যাডভোকেট, মতিঝিল, ঢাকা
ধানের মণ কমপক্ষে ৮০০ টাকা হওয়া উচিত।
মাহমুদুল হাসান লিটন
কৃষক, টাঙ্গাইল সদর
এইভাবে ধান উৎপাদন সম্ভব নয়।

No comments

Powered by Blogger.