শেখ হাসিনা শান্তিকামী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন- যুবলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তি মডেল ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ায় রবিবার রাজধানীতে সুশৃঙ্খল, দৃষ্টিনন্দন ও মনোলোভা আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী যুবলীগ। আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে হাজার হাজার যুবলীগের নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
রী, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাবর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বনেত্রী হয়ে সারাবিশ্বের শান্তিকামী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত চার দশক ধরে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন হিসেবে জনগণের ক্ষমতায়নের এই মডেলটি সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
ঢাকা মহানগরীর শতাধিক ওয়ার্ড থেকে যুবলীগের অজস্র মিছিলের স্রোত এসে মিশেছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বিকেল তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির মডেল ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। এটি শুধু আমাদের নয় এটা জনগণের বিজয়। এই মডেলে যা আছে তা আমাদের দেশে দিনবদলের সনদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজম বিষয়ক প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হওয়ায় তাঁকেও অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর পরিবার দেশের জন্য শুধু দুর্নাম এনেছেন। জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেন, নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।
দীপু মনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সক্ষম হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুসংহত হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। যারা এ বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জনগণের দাবি। এ বিচার হবেই।
যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম আরিফ প্রমুখ।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক হোসেন, মাহাবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সুব্রত পাল, নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, সালাউদ্দিন মাহামুদ, আমির হোসেন গাজী, ফারুক হাসান তুহিন প্রমুখ।
বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে উল্লসিত যুবকদের আনন্দ শোভাযাত্রায় সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি, বিশাল জাতীয় পতাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি সংবলিত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি দিয়ে সাজানো সাধারণ মানুষের বাড়তি মনোযোগ আকর্ষণ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শাহবাগ, কাটাবন, বাটার মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, সাইন্স ল্যাবরেটনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।

No comments

Powered by Blogger.