জীবাণুর বিস্তার রোধে ধাতুর আসবাব

মানুষের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ-জীবাণুর বিস্তার রোধ করতে পারে ধাতব আসবাব। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমনই দাবি করেছেন।
এ বিষয়ের গবেষণা নিবন্ধটি বিজ্ঞান সাময়িকী মলিকিউলার জেনেটিকস অব ব্যাকটেরিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, বর্তমান বহুল ব্যবহূত প্লাস্টিক এবং স্টেনলেস স্টিলের আসবাব, বিশেষত দরজা বা জানালার হাতল রোগ ছড়ানোয় বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারণ, হাসপাতালে এগুলোতে কারও হাতের মাধ্যমে জীবাণু লাগে। এই জীবাণু সেখানে দীর্ঘসময় বেঁচে থাকে। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া ঘটিত জীবাণুটি মারা গেলেও এর ডিএনএ থেকে যায়। অন্য কেউ যখন সেই হাতল বা আসবাব স্পর্শ করে, তার শরীরেও জীবাণুটি বা এর ডিএনএ ঢুকে পড়ে। এভাবেই রোগ ছড়ায়।
অপর দিকে, দস্তা ধাতুজাত বা অন্য ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি হাতল উল্টো কাজ করে। এগুলোয় কোনো জীবাণু লাগলেও ছড়াতে পারে না। এসব ধাতব পদার্থের হাতল জীবাণু মেরে ফেলে এবং এর ডিএনএ-ও ধ্বংস করে ফেলে। তাই অন্য কেউ স্পর্শ করলেও রোগ ছড়াতে পারে না।
গবেষকেরা বলছেন, জিবাণু বিস্তার রোধ করতে হলে ফিরিয়ে আনতে হবে ধাতব হাতলের ব্যবহার। তাহলে প্রতিবছর হাসপাতালে ক্লসট্রিডিয়াম ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত ৪৩ হাজার মানুষকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে।
অধ্যাপক বিল কেভিলের নেতৃত্বে একদল গবেষক স্টেনলেস স্টিল এবং তামা বা তামাজাত ধাতব তলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বেঁচে থাকার বিষয়টি গবেষণা করেন। তাঁরা দেখতে পান, কক্ষ তাপমাত্রায় স্টেনলেস স্টিলে ব্যাকটেরিয়া জীবাণু এবং জীবাণুর ডিএনএ বেশি দিন বেঁচে থাকে। অপর দিকে, একই অবস্থায় তামা বা তামাজাত ধাতব তলে এগুলো তুলনামূলক অনেক কম দিন বাঁচে। টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.