সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী- শিশুরা নিউমোনিয়ার টিকাও পাবে আগামী বছর

পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে নিউমোনিয়ার টিকা দেবে সরকার। এ নিয়ে আগামী বছর থেকে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে টিকার সংখ্যা দাঁড়াবে দশে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এ তথ্য দেন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি) বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যে পুরস্কার দেওয়া উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। জাতীয় কর্মসূচিতে এ টিকা যুক্ত হলে শিশুমৃত্যুহার আরও কমবে। ২০১৩ সাল থেকেই এ নতুন টিকা দেওয়া শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া প্রতিরোধে শিশুদের ‘রোটা ভাইরাস’ টিকাও শিগগির দেশে আনা হবে।
রুহুল হক বলেন, শিশুমৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতা রোধে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ছয়টি সংক্রামক রোগের (যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার ও হাম) টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) শুরু হয়। গত বছর থেকে হেপাটাইটিস-বি, হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি ও রুবেলা রোগের টিকা সংযোজনের ফলে ইপিআইতে টিকার সংখ্যা এখন নয়টি।
২০০১ সালে এক বছরের মধ্যে পূর্ণ টিকা পাওয়ার হার ছিল ৫২ শতাংশ। ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ দশমিক ২ শতাংশে। এটা বড় ধরনের সাফল্য। এ বছর ৬ ডিসেম্বর তানজানিয়ার দারুসসালামে অনুষ্ঠিত গ্যাভির সভায় বাংলাদেশের সাফল্যে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি জানানো হয়। সভায় বিভিন্ন দেশের ৫০ জন মন্ত্রীসহ ৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, দেশের ১৩টি জেলায় টিকাদানের হার কম। এসব জেলায় টিকাদান বাড়াতে গ্যাভির সহায়তায় বিশেষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

No comments

Powered by Blogger.