ড. কামাল-বি. চৌধুরীর মঞ্চে বড় নেতার ভিড় by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য ও মোশতাক আহমেদ

বিপন্ন গণতন্ত্রকে উদ্ধার করে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া দুই নেতা ড. কামাল হোসেন ও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো অগ্রসর হয়েছেন। গত ২১ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়ার পর থেকে তাঁদের তেমন কোনো তৎপরতা প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও গোপনে তাঁরা মঞ্চ গোছানোর কাজ করে যাচ্ছেন।
সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এরই মধ্যে তাঁরা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকে টার্গেট করে এগোচ্ছেন। সাড়াও মিলছে। যাঁরা রাজি হবেন, তাঁদের আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি একমঞ্চে তুলে একটা শোডাউন করা হবে। সেখানে কমপক্ষে ৫০ জন নেতা-নেত্রী থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর সবাইকে নিয়ে চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা হবে সেপ্টেম্বরের কোনো একদিন। জাতীয় ঐক্যের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন- এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পক্ষ থেকে প্রধান দুই দলের ওই নেতাদের তালিকা করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। সূত্র জানিয়েছে, শুধু কেন্দ্রীয়ই নয়, তৃণমূল পর্যায়েও দুদলের বঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জাতীয় ঐক্যের ডাকে আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন।' বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েছে দাবি করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের একটি প্রবাসী দল দেশে এসে আমাদের সমর্থন জানাবে।'
বি. চৌধুরী বলেন, 'ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও জাসদের আ স ম আবদুর রব আমাদের ঐক্যের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যের পক্ষে আগামীতে কী কর্মসূচি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে আগামীতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।'
এর আগে গত ১২ নভেম্বর বিকল্পধারার বর্ধিত সভায় বি. চৌধুরী বলেছিলেন, 'আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকিনি। প্রতিটি জেলায় আগে জনগণের কাছে আমাদের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেব। তারপর নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করব। এ জন্য সব দলের দরজা খোলা থাকবে।' তিনি বলেন, 'আমাদের আদর্শের সঙ্গে মিল হলেই জাতীয় ঐক্যের জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসব।'
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর তালিকায় আরো আছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও রাশেদা কে চৌধুরী, জাসদ নেত্রী শিরিন আকতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপিকা সুলতানা সাফি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান 'নিজেরা করি'র নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার প্রধান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা রোকেয়া কবীর, বিএনপির সাবেক হুইপ আশরাফ আলী, বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার স্ত্রী ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মরিয়ম বেগম, প্রশিকার কাজী ফারুক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, সাবেক মন্ত্রী ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান কবীর বীরপ্রতীক ও হারুনুর রশীদ বীরপ্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাসেম ফজলুল হক, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ড. এম জহির। এ ছাড়া আছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না, আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. খালেদা খানম ও বরগুনার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার। তাঁদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, অনেকের সঙ্গে চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বঞ্চিত অনেক নেতার সঙ্গে ঐক্যমঞ্চের নেতারা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী দুই নেতা যাঁরা এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পরে দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁরাও এ উদ্যোগের সঙ্গে আছেন বলে জানা গেছে। নিজ দলের অন্যান্য বঞ্চিত নেতার সঙ্গে তাঁরা আবার যোগাযোগ করছেন। কিন্তু তাঁদের নাম এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে চাইছেন না সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ড. কামাল-বি. চৌধুরীর আমন্ত্রণ পাওয়া শতাধিক নেতার তালিকায় থাকা এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, আমন্ত্রণ পাওয়া শতাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, আবার অনেকের সঙ্গে আমরাও যোগাযোগ করছি।' কারা এই উদ্যোগের সঙ্গে আছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অনেকেই আছেন। জানুয়ারি নাগাদ তাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সারা দেশের পল্লী চিকিৎসকদের সংগঠনের ৬০ হাজার সদস্য তাঁদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৬০ জন আইনজীবীও সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যের প্রতি।
জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ড. কামাল ও বি চৌধুরীর সঙ্গে আমার প্রায় ৫০ বছরের সম্পর্ক। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে তাঁদের প্রায়ই কথা হয়।' দেশের মানুষ এখন বিপন্ন, গণতন্ত্র বিপন্ন- মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে পারে না। এর অবসান হওয়া উচিত।
জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবীতে কিছুই অসম্ভব নয়। সব অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। 'ড. কামাল হোসেন ও বি চৌধুরী মিলে একটা উদ্যোগ নিয়েছেন, দেখি কী হয়', বলেন কাদের সিদ্দিকী।
তবে জাতীয় ঐক্যের পক্ষ থেকে এখনো প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড না চালানো হলেও তাঁদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাঁদের প্রকাশ্য সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। গত ১৩ অক্টোবর গণভবনে ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় কমিটির বৈঠকের শুরুতে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক হতে চায়, তারা আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'যিনি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এ প্লাস সার্টিফিকেট দিয়েছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারে বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী, তাঁরাই আবার খেলা শুরু করেছেন। তাঁরাই অসাংবিধানিক ধারায় ক্ষমতায় যেতে চান।'
এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফ অসাংবিধানিক ধারায় ক্ষমতায় যাওয়ার যেকোনো চক্রান্ত রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্য এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বি চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ভালো লোক, তাঁদের নামে কোনো অভিযোগ নেই। আমার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আছে।' যেকোনো শুভ উদ্যোগে তিনি থাকবেন বলেও জানান কালের কণ্ঠকে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, 'আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের।' এই ঐক্যকে ভালো উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'তবে আমার নিজস্ব দল আছে, আদর্শ আছে। আমরা এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিইনি।'
তবে জাসদ নেতা শিরিন আকতার বলেন, 'প্রশ্নই আসে না। আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।'
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেরা করির নির্বাহী পরিচালক খুশী কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উদ্যোগটি ভালো। তবে তাঁর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেননি ঐক্যমঞ্চের কেউ। যোগাযোগ করলে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রস্তাব পেলে তারপর দেখা যাবে।
জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাঁর দল ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর এ উদ্যোগের সঙ্গে আছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।
কবে নাগাদ এ ব্যাপারে ঘোষণা আসবে এবং কারা এ উদ্যোগের সঙ্গে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় এলে প্রেস কনফারেন্স করে সব কিছু ঘোষণা দেওয়া হবে।
সূত্রে জানা গেছে, ড. কামাল-বি. চৌধুরীর জোটের পক্ষে আন্তর্জাতিক লবিং বাড়াতে কাজ করছেন তাঁদেরই দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠজনরা। এ জোটের পক্ষে ইতিমধ্যে বিশ্বের বড় একটি দেশের সমর্থন মিলেছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। ওই দেশের তিন নাগরিক সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সংস্থায় তদন্তে এসে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সোনারগাঁও হোটেলে দেখা করেছেন।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকেও কাছে টানতে চাইছেন কামাল-বি. চৌধুরীর মঞ্চের নেতারা। তাঁদের সূত্র মতে, ড. কামাল এমনিতেই ড. ইউনূসের আইনজীবী। এ ছাড়া দেশের মানুষের পরিবর্তন চাওয়ার সঙ্গে ড. ইউনূস অবশ্যই একাত্মতা ঘোষণা করবেন, এটাই তাঁদের প্রত্যাশা। বিকল্পধারার ১২ নভেম্বরের বর্ধিত সভায় সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরীও ড. ইউনূসকে তাঁদের পাশে চান বলে জানিয়েছিলেন। সরাসরি না এলেও তাঁর আশীর্বাদ তাঁদের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মাহি।
এ ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই এক প্রবীণ নেতা পরবর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আওয়ামী লীগের ওই নেতা গোপনে ড. কামাল-বি. চৌধুরীর জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে সূত্র জানায়। এ জোটের পক্ষে অর্থ জোগান দিচ্ছেন বি. চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা। তিনি একসময় বিএনপির সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাঁরা আগামী নির্বাচনের ঠিক কাছাকাছি সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এর আগে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সভা করে তাঁরা দুই দলের বাইরে কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করা যায়, এ বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দেবেন। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাদের মতামতও সংগ্রহ করবেন। এ ছাড়া যুবসমাজকে নিয়ে আলাদা সাব-কমিটি গঠন করা হবে, যে কমিটি কিভাবে যুব ভোটারদের কাছে টানা যায়, তার কৌশল নির্ধারণ করবে।

No comments

Powered by Blogger.