চিয়াবাও-ওবামা বৈঠক-দুই দেশের গঠনমূলক সম্পর্কের প্রশংসা

বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে 'সহযোগিতামূলক ও গঠনমূলক' অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গতকাল মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আসিয়ান সম্মেলনের এক ফাঁকে চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াবাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তবে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমার মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের ব্যাপারে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
গতকাল সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ওবামার। এবারের সম্মেলনে এ ইস্যুতে চীনের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদাও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সতর্ক করে বলেন, এ অঞ্চলের নিরাপত্তা-পরিবেশের ক্রমে অবনতি ঘটছে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার মার্কিন নীতিকেও স্বাগত জানান তিনি।
দক্ষিণ চীন সাগরের 'ইউ' আকৃতির অঞ্চলের ওপর নিজের মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। এ অঞ্চলের ওপর নিজেদের মালিকানা দাবি করছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইও। এ নিয়ে এখনো মীমাংসায় পৌঁছাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। টোকিও গতকাল দাবি করে, পূর্ব চীন সাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন জলসীমায় চীনের চারটি জাহাজ ঢুকেছে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেন ওবামা। গতকাল কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার জন্য একটি চুক্তি করার বিষয়ও এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের এ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল নমপেনে যান চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় নমপেনে পৌঁছান ওবামা। এর আগে মিয়ানমারে ছয় ঘণ্টার এক ঐতিহাসিক সফর করেন তিনি। এ সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন সোমবার জানায়, প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারে তারা 'সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী'। ওবামার সফরের ফলে এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। সূত্র : বিবিসি, জিনিউজ, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.