সরল গরল-অনাস্থা প্রস্তাবকে আগে অর্থপূর্ণ করুন by মিজানুর রহমান খান

সাধারণ নির্বাচন ছাড়াও সরকার পরিবর্তন করা যায় এবং সেটা যে গণতান্ত্রিক, সে কথা অন্তত পরোক্ষভাবে স্বীকৃত হচ্ছে। সংসদ বয়কট ও হরতালসর্বস্ব বিরোধীদলীয় রাজনীতি যখন থাবা বিস্তার করতে চলেছে, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবটি অন্ধকারে ঈষৎ আলো দেখাতে পারে।


তবে শর্ত একটাই—এটা যে বুজরুকি নয়, সেটা সর্বাগ্রে তাঁকে স্পষ্ট করতে হবে। বর্তমানে যেভাবে তাঁরা বলছেন, সেটাই যদি তাঁদের শেষ কথা হয়, তাহলে তা অর্থহীন। তবে আমরা রাজনীতিসচেতন সব মহলকে আবেদন জানাচ্ছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে ফর্মুলা হাজির করেছেন, সেটাই যে গণতন্ত্রসম্মত, সেটা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে। গণতন্ত্রের সড়কে বাধাহীনভাবে হাঁটতে হলে আমাদের তাঁর বাতলানো পথে হাঁটতে হবে। সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনাকে চক্রান্ত হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।
সংসদ বয়কট ও হরতালকে আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে মানি। একে আমরা ঠেকায় পড়ে মহীয়ানও করি। সরকারি দল এখন হরতাল ও লাগাতার সংসদ বর্জনের বিরুদ্ধে বলে। সেটা জনদুর্ভোগের বিবেচনায় নয়, বলে দলীয় শাসনের স্বার্থে। তারা তাই এর বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দেবে, কিন্তু হরতালবিরোধী কোনো আইন করবে না। কারণ বিরোধী দলে গিয়ে তাদের একই অপকৌশল নিতে হবে।
এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, বাংলাদেশে একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে সংকট চুকেবুকে যাবে। পুরোনো বোতলে নতুন মদ ভরা হবে। একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের খরচ রাষ্ট্র মানে জনগণই বহন করে। তারা খরচাপাতি দেবে। এবং তারাই দ্রুত অপশাসনের শিকার হবে। আমাদের সমাজকে বিরোধী দলও শাসন করে। তার প্রমাণ আমরা নতুন করে পেলাম। একটি বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনায় দেশব্যাপী ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ হরতাল হলো। আর এই হরতাল শুধু এক দিনের নয়, এটা শিগগিরই সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে। যেদিন থেকে বিরোধীদলীয় সাংসদেরা শপথ নেন, সেদিন থেকেই তাঁরা সরকারের পতন কামনা করেন। এখন তাঁরা বাড়ি উচ্ছেদে জোর দিচ্ছেন। এরপর তাঁরা দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ, ট্রানজিট ইত্যাদির সঙ্গে সরকার পতন কথাটি জুড়ে দেবেন। এরপর আসবে আলটিমেটামের রাজনীতি।
নির্দিষ্ট পাঁচ বছর মেয়াদ পুরো করার জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানাতে আমরা দেখেছি। যখন নির্দিষ্ট দিনে আপনাআপনি সংসদ ভেঙে গেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে, তখনো আমরা দেখেছি বিরোধী দল সরকারের ‘পতন’ ঘটানোর জন্য দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে। এই হলো আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তাই যত কষ্টই হোক, সংসদের মাধ্যমে সরকার পতন কিংবা বদলের একটা রেওয়াজ আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের পতন ঘটানোর দুটো গণতান্ত্রিক পথ রয়েছে। একটি হচ্ছে, সংসদে এসে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিতে হবে। অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে সরকার এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকবে না। আরেকটি পথ হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা। সরকার পতনের এ দুটোর বিকল্প কোনো কিছু আইনি পথ নয়।’ বিএনপির তরফে এর একটি প্রতিক্রিয়া আমাদের নজরে এসেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০ নভেম্বর বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ ভালোই জানেন যে ৩৪৫ সদস্যের সংসদে বিএনপির মাত্র ৩৫ সদস্য রয়েছেন। অনাস্থা প্রস্তাব পাস করতে লাগে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট।’ গয়েশ্বর যুক্তি দেখান, ‘এরশাদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁকে আন্দোলন করে উৎখাত করা হয়েছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন বৈধ হলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও বৈধ হবে।’ এটা কুযুক্তি। এরশাদ আপাদমস্তক অবৈধ শাসক ছিলেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচিত সরকার পতনের আন্দোলন তুলনীয় নয়।
আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা মানেই সরকারের পতন ঘটানো নয়, এটা অনেক সময় নেতৃত্ব বদলের জন্যও ঘটে। সংসদীয় গণতন্ত্রচর্চার জন্যও এর দরকার পড়ে। ১৭৮২তে এর উদ্ভব ঘটে ব্রিটেনে। এরপর ১১ প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হেরে সরে দাঁড়ান। কিন্তু আধুনিক ব্রিটেনে এর প্রয়োগ দেখা যায় না। রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থায় আইনসভা সাধারণত এ অধিকার ভোগ করে না।
রাজনীতি নিয়ে লেখা অরণ্যে রোদন। তবুও সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সংসদীয় ব্যবস্থায় সংসদকেই করতে হবে সরকার পরিবর্তনের মাধ্যম। চতুর্থ সংশোধনীতে মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের কাছে দায়ী থাকবে, সে কথা বিলুপ্ত করেছিল। ১৯৯১ সালে দ্বাদশ সংশোধনীতে তা ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই বিধান যে ছিল না এবং এখন আছে, এর কোনো তফাত আমরা দেখি না। এই তফাত না থাকায় আমরা বুঝি না, সরকারব্যবস্থাটা সংসদীয় হয়ে আমাদের কী কাজে লেগেছে। বাংলাদেশের সংবিধানে কোনো একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপনের বিধান নেই। জগৎসংসার লণ্ডভণ্ড হতে পারে, কিন্তু যেকোনো অবস্থায় সংসদের নেতা ও সরকারপ্রধান এক ব্যক্তিই থাকবেন। এটা আমরা নিয়তি ধরে নিই। সেটা ধরে নিলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থার বিধান থাকতে হবে।
১৯৯২ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন বিএনপি সরকারের একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য গ্রহণ করেননি। একজনের বিরুদ্ধে যেমন, তেমনি কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনা যায় না। সংবিধানে বলা আছে, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারালে প্রধানমন্ত্রীর সামনে দুটো বিকল্প থাকে। তিনি নিজে পদত্যাগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একই দলের অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদে সংসদের আস্থা ভোট অর্জন করতে পারেন। দ্বিতীয় বিকল্প হলো প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে লিখিতভাবে পরামর্শ দেবেন। এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শ দান করলে রাষ্ট্রপতি অবশ্যই সংসদ ভেঙে দেবেন। তখন নতুন নির্বাচন হবে। সুতরাং আমাদের সংবিধান ব্যক্তিনির্ভর কোনো ব্যবস্থা অন্তত এ ক্ষেত্রে রাখেনি। আস্থা ভোটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা পরাস্ত হলে গণতন্ত্র পরাস্ত হবে না। এমনকি আওয়ামী লীগও দল হিসেবে পরাস্ত হবে না। পরাস্ত হবে বর্তমান মন্ত্রিসভা, যারা নির্বাচনী ইশতেহারের ভিত্তিতে দুই বছর আগে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল। এখন তাঁদের কেউ কেউ ব্যর্থ প্রতিভাত হচ্ছেন। অথচ সংবিধানমতে তাঁদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগও রুদ্ধ।
সংসদে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে কমপক্ষে ৩০ জন সদস্যের সমর্থনের দরকার হবে। সুতরাং বিএনপি এককভাবেই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে। স্পিকার এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর আলোচনার জন্য বক্তৃতার সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন। পঞ্চম সংসদে একটি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। এরপর আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ইতিহাসে আর কোনো নজির সৃষ্টি হয়নি।
১৯৯২ সালের ৯ আগস্ট অনেক অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের অনুমতি-প্রস্তাব দিনের কার্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে স্পিকার প্রথম নোটিশদাতা সদস্য আবদুস সামাদ আজাদের প্রস্তাবটি আমলে নেন। ১২ আগস্ট ১৯৯২ প্রস্তাবটি আলোচিত হয়। জাতীয় সংসদ বিতর্কের সরকারি প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, সকাল নয়টা ১৫ মিনিট থেকে পরদিন রাত আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা আলোচনার পর অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর বিভক্তি ভোট গ্রহণ করা হয়। ১২২ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেন, ১৬৮ জন সদস্য প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন, ২০ জন সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবটি সংসদে নাকচ হয়। এখানে দেখার বিষয় হলো, ওই ঘটনার পর দুই বড় দল বুঝে গেছে যে এটা একটা অকার্যকর ব্যবস্থা। বরং জনপ্রিয়তা কমতে থাকা শাসক দলের জন্য এটা টনিকের কাজ দেয়। তাই জেনেশুনে নিজের পায়ে কুড়াল কে মারে। ওই সময় আওয়ামী লীগ যদি বলত, আমরা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে যাব না। তবে শর্ত হলো, বিএনপিকে বলতে হবে, তার দলের সাংসদেরা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। এ জন্য সংসদ সদস্যপদ খোয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস হয়তো ভিন্ন হতে পারত।
৭০ অনুচ্ছেদ বজায় রেখেও সাংসদদের স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রদানের সুযোগ দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে সরকারি দলকে স্বাধীনতা দিতে পারেন। ফল একই হলেও এর মূল্য ফেলনা হবে না। এতে তাঁর দলের সদস্যদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ পাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এখন যদি এটা নিশ্চিত না করেন, তাহলে তাঁর প্রস্তাবটি অন্তসারশূন্য বলেই গণ্য হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাব আমরা নীতিগতভাবে সমর্থন করি। কিন্তু এটি তাঁর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থপূর্ণ প্রস্তাব বলে মানতে পারি না। বর্তমান প্রস্তাব হলো, হাত-পা বাঁধা লোককে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো। আর সে কারণে বলি, বিএনপির তরফে সত্যিকার অর্থে ওই প্রস্তাব নাকচ করা কিংবা গ্রহণ করার প্রশ্ন আসেনি।
আসলে দুই বড় দল একমত হতে চাইবে, তাদের মূল নেতৃত্বে যাতে কোনো পরিবর্তন না আসে। অর্থাৎ হাসিনা-খালেদাই নেতৃত্বে থাকবেন। বাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং কান্না—এই হিসাবটা বদলাবে না। অনেকেই দাবি করেন, বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ আলাদা। আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আওয়ামী লীগকে বিএনপির সঙ্গে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। তাঁদের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁকে কতগুলো বিশেষ রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে, যা নেওয়া হলে আমরা আওয়ামী লীগকে আলাদাভাবে চিনতে পারব। সে রকমের একটি পদক্ষেপ হতে পারে বিএনপিকে দেওয়া উল্লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবের ফর্মুলার পূর্ণাঙ্গ রূপদান। অর্থপূর্ণ প্রস্তাবই শুধু অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
অনেকে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে বললে গোসা করেন। তাঁরা বলেন, ভারতের দিকে তাকান। সেখানেও ৭০ অনুচ্ছেদের মতো ব্যবস্থা (১৯৮৫ সালে রাজিব গান্ধী প্রবর্তন করেন) আছে। এটা অর্ধ সত্য। ভারত ৭০ অনুচ্ছেদ ছাড়াই ৩৮ বছর গণতন্ত্রচর্চা করেছে। সে সময়ে কোনো দিন সেখানে সরকার সকাল-বিকেল বদলে যায়নি। দলে তেমন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়নি। কংগ্রেসের ইতিহাস যাঁরা লিখেছেন, তাঁরা কখনো বলেননি যে এ রকম বিধান না থাকার কারণে গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরিদের রাজনীতি করতে অসুবিধা ছিল। বাহাত্তরের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একান্ত পরামর্শে ৭০ অনুচ্ছেদ যখন সংযোজন করা হয়, তখন এর সপক্ষে হয়তো যুক্তি ছিল। পঞ্চাশের দশকে এখানে সকাল-বিকেল সরকার বদল হতো। কিন্তু সেটা স্বাধীন বাংলাদেশে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক প্রমাণিত হয়েছে। ৭০ অনুচ্ছেদ নির্বাচিত সরকারকে স্থিতিশীল করেনি। দলে অধিকতর গণতন্ত্র আনেনি। সামরিক শাসনও ঠেকাতে পারেনি। আমরা পাকিস্তানিদের মতো কখন যেন ‘মিলবাস’ (ড. আয়শা সিদ্দিকা বর্ণিত মিলিটারি বিজনেস)-এ উঠে পড়েছি।
সাংসদদের কণ্ঠরোধ করে সংসদীয় গণতন্ত্র হয় না। সংসদকে সরকার থেকে পৃথক করা যায় না। পদানত সংসদ বিরোধী দলকে আকর্ষণ করে না। এ ধরনের জবরদস্তি ও কালাকানুন সংসদকে যেমন অকার্যকর করে, তেমনি সরকার বদলের রাজনীতিকে রাজপথে ঠেলে দেয়। আসুন, আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিই।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.