সাক্ষাৎকার-বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে চট্টগ্রামের শিল্প-বাণিজ্য বিপর্যস্ত by মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : কাজী আবুল মনসুর শিল্পপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ১৯৬৬ সালে হাটহাজারীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সেকান্দর হোসেন মিয়া সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ছিলেন। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম চট্টগ্রামে একাধিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা


পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এফবিসিসিআই, আইএফআইসি ব্যাংক, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক। সার্ক চেম্বার ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক নির্বাহী সদস্য। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্ত্রী মেহজাবিন মোরশেদ বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য। মোরশেদ মুরাদ প্রধানমন্ত্রীর ব্যবসায়ী
টিমের সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব
আমিরাত ভ্রমণ করেছেন

সমকাল : চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর জরুরি ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছেন কিছু সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ প্রত্যাশা করে। এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলুন।
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান হিসেবে আমাদের অভিভাবক। ব্যবসায়ী সমাজ সবসময় বিশেষ বিশেষ সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে থাকে। এতে অস্বাভাবিকতা নেই। কোনো কোনো সমস্যা স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি বিভাগের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয়। যেসব সমস্যার ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকি। বর্তমানে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আওতাধীন। বিদ্যুতের সরবরাহে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ অতীব জরুরি। এ কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ অঞ্চলের বিদ্যুতের সামগ্রিক পরিস্থিতি অবহিত করা এবং এ লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়ে ফ্যাক্সবার্তা প্রেরণ করেছি. যাতে তিনি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সমকাল : বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কেমন? এ সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৃহৎ ও মাঝারি বিভিন্ন উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার না করার জন্য চিঠি প্রেরণ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদনে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্প মালিকদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজার হারাচ্ছি। ব্যবসায়িক সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক ঋণের মাশুল গোনাসহ দায়দেনা ঠিকই রয়েছে।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। বিপুলসংখ্যক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ অঞ্চলে। বিশেষ করে গড়ে উঠেছে রফতানিমুখী শিল্প। দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা এই শিল্পগুলোর মাধ্যমেই অর্জিত হয়_ এমন দাবিতে অতিরঞ্জন নেই। কাজেই জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। এ অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আঞ্চলিকভাবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে না নিয়ে এ এলাকার চাহিদা পূরণে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা সবসময় বলে আসছি। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারছে না। নতুন নতুন যেসব পাওয়ার স্টেশন বিশেষ করে কুইক রেন্টাল পাওয়ার স্টেশন স্থাপিত হচ্ছে তা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অবশ্যই এসব শিল্পকারখানায় সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ ওভারহোলিং করা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন নিশ্চিত করা, বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত করা_ এসব দাবির পাশাপাশি সিস্টেম লস কমানো ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মচারী-কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করার কথা বলেছি।
সমকাল : চট্টগ্রাম দেশের রাজস্ব ভাণ্ডারে বিপুল অর্থের জোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু তার বিপরীতে কতটুকু বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে?
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ চাহিদা ৬০০-৬৩০ মেগাওয়াট হলেও পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৩৮০-৪০০ মেগাওয়াট। ফলে চট্টগ্রামে লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমি আগেও উল্লেখ করেছি, শিল্প প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার না করার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চিঠি প্রেরণ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রি-রোলিং মিলগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের উৎপাদনের জন্য ফার্নেস উত্তপ্ত করতে ৬ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। তারা প্রকৃতপক্ষে মাত্র ৬ ঘণ্টা সময় পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ কারখানাগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়বে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্প বিকাশে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর উন্নয়নের দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, চট্টগ্রাম দেশের সিংহভাগ রাজস্বের জোগানদাতা হয়েও সেই অনুপাতে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ফলে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতির ওপরও পড়ছে।
সমকাল : চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট নিরসনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : শিল্পনগরী চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এতদঞ্চলের বিভিন্ন উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা দেশের শিল্পায়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিল্পায়ন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গ্যাস হচ্ছে প্রধান চালিকাশক্তি। চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট দীর্ঘদিনের। বর্তমানে চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে মাত্র ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পর্যাপ্ত গ্যাস ও গ্যাস সংযোগের অভাবে এতদঞ্চলের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, আবাসন, স্টিল ও রি-রোলিং মিলগুলোতে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে এ খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। তাদের মেশিন ও যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হচ্ছে। উৎপাদন ও কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক ঋণের বোঝা বাড়ছে। এ কারণে অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
বর্তমানে নতুন নতুন যেসব গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, যেমন সুন্দুলপুর, সালদাসহ সাঙ্গু। এসব গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত গ্যাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পসমৃদ্ধ স্থান হিসেবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
সমকাল :চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন? এসব পদক্ষেপের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মহল কীভাবে লাভবান হবে বলে আপনি আশা করেন?
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : চিটাগাং চেম্বার শতবর্ষীয় বাণিজ্য সংগঠন। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন দাবি আদায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি-রফতানি নীতিমালা ও সরকারের জারিকৃত বিভিন্ন বিধিবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর কাজের গতি আরও বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছি। গত বছরের ৪ মে এই চেম্বারের পরিচালকমণ্ডলী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করি। ওই মতবিনিময়কালে আমরা ব্যবসায়ী সমাজের কল্যাণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চট্টগ্রামকে 'গেল্গাবাল সিটি এবং গেল্গাবাল পোর্ট'-এ পরিণত করতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করি। চট্টগ্রামের গুরুত্ব উপলব্ধিপূর্বক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে এর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিজেই করবেন বলে পুনর্ব্যক্ত করেন। চিটাগাং চেম্বার আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমদানি নীতি আদেশ ও রফতানি নীতি ২০১২-২০১৫-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন সুপারিশমালা প্রেরণ করেছে। চিটাগাং চেম্বারের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে চট্টগ্রামে টি অকশান অব্যাহত রাখা, চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বন্ড কমিশনারেট অফিস স্থাপন এবং রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে পূর্ণাঙ্গরূপে ক্ষমতায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে এই চেম্বার শিল্পাঞ্চলের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তুলে ধরেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ইকোনমিক জোন অ্যাক্ট-২০১০ প্রণয়ন করে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি গঠন করেছে। গত ২৭ অক্টোবরে চিটাগাং চেম্বার ও জোন অথরিটির যৌথ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোনের বাস্তবায়ন কাজ অতি শিগগির শুরু হবে বলে জানানো হয়। প্রায় শতভাগ জাহাজ ভাঙা শিল্প চট্টগ্রামে অবস্থিত। তাই জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের ব্যাপক অবদানের জন্য একটি পরিবেশ নীতিমালা প্রণয়নে চিটাগাং চেম্বার শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করে। ইতিমধ্যে সরকার চিটাগাং চেম্বারের দাবির পরিপ্রক্ষিতে শিপব্রেকিং ও রিসাইক্লিং খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে এবং একটি পরিবেশবান্ধব নীতিমালা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া সরকারের উচ্চ মহলে শিপব্রেকিং এরিয়া সম্প্রসারণের জন্য সীতাকুণ্ড থানাধীন বোয়ালিয়া ও চর বাঁশবাড়িয়া মৌজাকে এ শিল্পের জোনভুক্ত করার জোর সুপারিশ করেছি। চট্টগ্রামকে দেশে-বিদেশে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চিটাগাং চেম্বার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম-থাইল্যান্ড রুটে পুনরায় থাই এয়ারওয়েজ, চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্স এবং চট্টগ্রাম-সৌদি আরব রুটে সৌদি এয়ারলাইন্স ও এমিরেটসের ফ্লাইট চালু করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।
সমকাল : আপনার আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন।
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : আগামী বছরের মধ্যে বর্তমান চেম্বার সচিবালয় ডড়ৎষফ ঞৎধফব ঈবহঃৎব-এ স্থানান্তর করা হবে। চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতির মাইলফলক খ্যাত ডড়ৎষফ ঞৎধফব ঈবহঃৎব আগামী জুলাই/সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। চিটাগাং চেম্বার সভাপতি হিসেবে আগামী জুনে রাশিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের চেম্বারপ্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে যোগদান করতে যাচ্ছি। এছাড়া চেম্বার বাণিজ্য প্রতিনিধি দলনেতা হিসেবে জুলাইয়ে জার্মানি, ইতালি, রোমানিয়া এবং পোল্যান্ড সফরের পরিকল্পনাও রয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এতদঞ্চলের হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি কার্ডিয়াক ও পরে ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সাবেক চেম্বার সভাপতিদের ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও বর্ণিলভাবে শতবর্ষ উদযাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এশিয়া ফাউন্ডেশনের আওতায় একটি রিসার্চ সেল গঠনের ইচ্ছা রয়েছে। ভারতসহ কয়েকটি দেশকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনশীলতা, গতিশীলতা সর্বোপরি এর কার্যক্রমে দক্ষতা আনয়নের লক্ষ্যে গঠিত পোর্ট ইউজার্স ফোরামকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সমকাল : আপনাকে ধন্যবাদ।
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম : সমকাল পাঠকদের জানাই শুভেচ্ছা।

No comments

Powered by Blogger.