বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েও ঢাকার পথে নেতা-কর্মীরা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ও সমমনাদের আজকের মহাসমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা যেন মরিয়া। নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসা ঠেকাতে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথে পথে চলছে তল্লাশির নামে পুলিশের নানামুখী বাধা। তাতে জনস্রোত কিছুটা কমেছে সত্য,


কিন্তু একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা এসব বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপায়ে ঢাকার পথে রওনা হয়ে গেছেন। নজির স্থাপন করেছেন চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ঢাকায় আসতে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছেন। 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচিতে যোগ দিতে সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন ট্রেন সার্ভিসকে। আবার পুলিশকে ফাঁকি দিতে আনন্দ ভ্রমণ বা শিক্ষা সফরের ব্যানার নিয়ে বাস ভাড়া করেই রওনা হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। আঞ্চলিক অফিস, ব্যুরো, স্থানীয় প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানিয়েছেন বিস্তারিত।
চট্টগ্রাম : গাড়ি চলাচল বন্ধ করেও আটকানো যায়নি চট্টগ্রামের বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের। তাঁরা চট্টগ্রাম থেকে লাইটারেজ জাহাজে চড়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকায় পৌঁছান। অনেকে ফটিকছড়ি-রামগড় হয়েও ঢাকায় যান।
পানিপথ ও পাহাড়িপথ ঘুরে অনেক বিএনপি নেতা ঢাকায় পৌঁছেছেন দাবি করে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা চট্টগ্রাম থেকে এক লাখের বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছি। বিমান, রেল এবং নৌপথ ব্যবহার করেছি আমরা।' তিনি বলেন, 'চট্টগ্রাম থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে যাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, তাঁরা নিরাপদে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছান এবং রাতেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন।' বিএনপির অন্য একটি সূত্র জানায়, সড়কপথে পুলিশি বাধার কারণে অনেকেই ফটিকছড়ি হয়ে রামগড় উপজেলা এবং পরে ফেনী হয়ে ঢাকায় পৌঁছান।
রাজশাহী : চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা রুটে গতকাল রবিবার সকাল থেকে কোনো বাস চলাচল করেনি। রাজশাহী অঞ্চল থেকে গতকাল বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিপুলসংখ্যক মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ পিকআপ ভ্যান ঢাকার দিকে রওনা হয়েছে।
তবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহী থেকে চারটি আন্তনগর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ট্রেনগুলোতে যাত্রীর ব্যাপক চাপ ছিল। জানা গেছে, যাত্রীবেশে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ট্রেনে চেপেও ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
অন্যদিকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বড় বড় মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলযোগে ঢাকার দিকে যাচ্ছেন শনিবার রাত থেকেই।
সিলেট : বাস বন্ধ থাকায় সিলেট থেকে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ ঢাকার সমাবেশে যেতে পারছে না। শনিবার বাস ও মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাওয়ার সময় পথে পুলিশের ধরপাকড়ে নেতা-কর্মীরা সিলেটে ফিরে আসতে বাধ্য হন। ট্রেনে যাওয়ার পথেও আজমপুর নামক স্থানে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সড়কপথে যেতে না পেরে গতকাল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিমানে ঢাকায় পৌঁছান।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যেতে পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলী জানান, শনিবার সিলেট থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে পাঁচটি গাড়ি ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করে। পথে ভৈরব টোল প্লাজায় পুলিশ তাঁদের গাড়িগুলো আটক করে নেতা-কর্মীদের নামিয়ে দেয়। পরে তাঁরা অন্যান্য গাড়িতে বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকায় পৌঁছান। মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক জানান, শনিবার রাতেই বিচ্ছিন্নভাবে সিলেট অঞ্চলের প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন।
খুলনা : গতকাল সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানের বেশির ভাগ পরিবহন কাউন্টার বন্ধ ছিল। তবে বিএনপি নেতারা বলেছেন, সরকার যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, নেতা-কর্মীরা যেকোনো উপায়ে সমাবেশে যোগ দেবেন। এরই মধ্যে মাইক্রোবাস বা ট্রেনে চেপে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন বা পথে রয়েছেন- এ কথা জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র।
বাগেরহাট : ঢাকাগামী সব পরিবহন ১২ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও চার দলের 'ঢাকা চলো' কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাগেরহাট থেকে এরই মধ্যে কমপক্ষে ১০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। তাঁরা জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালামের তত্ত্বাবধানে গুলশান এলাকায় অবস্থান করছেন। অনেকে আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও উঠেছেন। গতকাল আরো চার-পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী বাস ও মাইক্রো ভাড়া করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। পথে পথে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের প্রতিবন্ধকতার মুখে চার দলের নেতা-কর্মীরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আনন্দ ভ্রমণ ও শিক্ষা সফর লেখা ব্যানার গাড়িতে টাঙিয়ে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। সঙ্গে নিয়েছেন শুকনো খাবার ও বাড়তি কাপড়চোপড়।
রাজবাড়ী : পথে পথে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রাজবাড়ীর সহস্রাধিক নেতা-কর্মী নৌপথে ট্রলারযোগে গতকাল বিকেলের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ জানান, ঢাকা-খুলনা, রাজবাড়ী-ফরিদপুর, রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি ও দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তিনিসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ট্রলারযোগে ঢাকায় এসেছেন। এ ছাড়া আজ ভোরে আরো পাঁচটি ট্রলার ছেড়ে যাবে। নেতা-কর্মীরা মরিয়া। তাঁরা যে যেভাবে পারছেন, রাজধানীতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
ধামরাই : গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চেক করা হয়েছে ঢাকাগামী প্রতিটি যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কার। এ সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রাইভেট কার যেতে দিলেও যাত্রীবাহী কোনো বাস ঢাকা অভিমুখে যেতে দেওয়া হয়নি। ধামরাই-গুলিস্তান রুটে লোকালসহ দূরপাল্লার কোনো বাস যেতে দেয়নি পুলিশ। একই সঙ্গে চলছে গাড়ি রিকুইজিশন।
ইসলামপুরে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক সেকেন্দার আলী অবশ্য গাড়ি চলাচল বন্ধে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন।
শেরপুর : গতকাল সকাল থেকে ঢাকা অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ পুলিশের ভয়ে গাড়ি বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করলেও মালিক সমিতির লোকজন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ভয়েই ঢাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে জেলা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে হঠাৎ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন। আর যাঁদের ঠেকাতে এত সব আয়োজন, তাঁরা ঠিকই কোনোক্রমে জামালপুর পর্যন্ত এসে ট্রেনে চড়ে বসছেন। চলে আসছেন ঢাকায়।
চাঁদপুর : চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল গতকাল ভোর থেকে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে নদীপথে ঢাকার সঙ্গে লঞ্চ চলাচল আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে লঞ্চ-স্টিমার বা বাস নয়, চাঁদপুরের বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় পৌঁছেছেন বিকল্প পথে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক জানান, লঞ্চ-বাস না পেলেও এরই মধ্যে তিন-চার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। আজ ঢাকায় পাড়ি জমাবে আরো কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।
একইভাবে সংসদ সদস্য লায়ন হারুনুর রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য জি এম ফজলুল হক, জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান শাহীন ও সাবেক পৌর মেয়র সফিকুর রহমান ভূইয়ার অনুসারীরা পৃথকভাবে নদীপথে ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ থেকে রাতের আঁধারে ট্রলার, ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে নেতা-কর্মীরা ঢাকার খুব কাছাকাছি জায়গায় নেমে পড়েন। পরে তাঁরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে রাজধানীতে পৌঁছেন। গত রাতেও এভাবে আরো কয়েকটি ট্রলার ও নৌকা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে আসে।
ভোলা : জেলা বিএনপি অভিযোগ করেছে, ভোলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যাতে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে না পারেন সেজন্য প্রশাসন ভোলা থেকে ঢাকাগামী সব লঞ্চ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মূলত অঘোষিতভাবে লঞ্চ ও সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী লঞ্চযোগে গতকাল ঢাকায় গিয়েছিলেন সেই লঞ্চগুলোকেও ঢাকার সদরঘাটে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। তারপরও ফাঁকফোকর দিয়ে একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা ঢাকায় পৌঁছার চেষ্টা করছেন।
দাউদকান্দি : কুমিল্লার (উত্তর) সাতটি উপজেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। আবার অনেকে বাস ভাড়া না পেয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ইট-পাথরবাহী ট্রলারে ঢাকায় যাবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে গতকাল কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এমনকি বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের ঠেকাতে গতকাল আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে বিভিন্ন ট্রেনে অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া গতকাল সব আন্তনগর ট্রেনের আসনবিহীন টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন অভিযোগ করেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার অঘোষিত হরতাল দিয়ে ফেলেছে। পথে পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে এতে নেতা-কর্মীদের ঢাকা যাওয়া থেমে নেই। যে যেভাবে পারছেন ঢাকায় চলে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল : বাস বন্ধ ও মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করেও জেলার বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের ঢাকা অভিমুখে যাত্রার গতি খুব একটা কমানো যায়নি। অনেকে ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। বড় একটা অংশ আজ ট্রেন ও নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ : গতকাল পর্যন্ত রেল চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও লঞ্চ-বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা হেঁটেই ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের নেতৃত্বে গতকাল বিকেলে শতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন। আবার অনেকে প্রাইভেট কোনো গাড়ি, কেউবা কাটা কাটাভাবে ভ্যান-রিকশা আবার অনেকে ট্রেনে চেপে রাজধানীতে গতকাল রাতের মধ্যেই পৌঁছে গেছেন। আজ সকালে আরো বড় একটা অংশ হেঁটে ঢাকায় আসবে বলে জানা গেছে।
গাইবান্ধা : ঢাকাগামী সব যানবাহন শনিবার রাত থেকে বন্ধ। এ অবস্থায় কর্মীরা ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার উদ্যোগ নিলেও টিকিট না পেয়ে বিকল্প পথে রওনা হয়েছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবু বলেন, ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থায় প্রায় আড়াই হাজার নেতা-কর্মী ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন।
নীলফামারী : দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় নীলফামারীর পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে পারেননি। জেলা বিএনপির সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় আসার পরিকল্পনা নিলেও গতকাল ভোর পর্যন্ত তিন শতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। আরো পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিকল্প পথে আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছার কথা।
ঝালকাঠি : ঢাকায় আসার জন্য আগেভাগে ভাড়া করা বাসও শেষ মুহূর্তে আসতে অনীহা জানানোয় বিপাকে পড়েছেন জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থায় তাঁরা ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন বাহনে ঢাকায় পৌঁছানোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। আজ মহাসমাবেশের আগেই তাঁরা ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা।
ময়মনসিংহ : বাস বন্ধ ও মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করায় নেতা-কর্মীদের অধিকাংশ চেপে বসেছেন ট্রেনে। অনেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করেও ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের বড় একটা অংশ বিভিন্ন পথে আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম : বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বড় অংশই মহাসমাবেশে যোগ দিতে পারছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে আসার পথে রয়েছেন। আবার অনেকে আগেভাগে ঢাকায় চলে এসেছেন।

No comments

Powered by Blogger.