সেমিতে চেন্নাই-ডেকান

ইরফান পাঠানের করা শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬, মহেন্দ্র সিং ধোনি তা করে ফেললেন ৪ বলেই (৪-২-৬-৬)। এরপর নিজেই নিজের চোয়ালে ঘুষি মেরে বসলেন, মুখে হাসি নেই একটুও! এর চেয়েও অনেক বড় ম্যাচ জিতিয়েছেন, কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এমন রূপে খুব কমই দেখা গেছে। কাল একটু আবেগপ্রবণ হলেন। কারণ, হারলেই বাদ—এমন ম্যাচটি হারের মুখ থেকে ৬ উইকেটে জিতিয়ে চেন্নাইকে তিনিই তুলে দিলেন আইপিএলের সেমিফাইনালে। ১৪ ম্যাচে তাদের মতো আরও দুই দলের পয়েন্টও ১৪। তবে ধোনির দল বাকিদের টেক্কা দিয়েছে রান রেটে।
শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব সান্ত্বনার জয়টিও পায়নি বোলারদের ব্যর্থতায়। ৮ বলে ২১ রান করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন জয়াবর্ধনে। আদ্যন্ত ব্যাট করে ৫৭ বলে ৮৮ রান করেন মার্শ, ২৭ বলে অপরাজিত ৪৪ পাঠান। ৩ উইকেটে পাঞ্জাব তোলে ১৯১। শুরুতে হেইডেন-বিজয়কে হারালেও চেন্নাইকে লড়াইয়ে রাখেন সুরেশ রায়না (২৭ বলে ৪৬) ও সুব্রামানিয়াম বদ্রিনাথ (৩৬ বলে ৫৩)। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬৩, ধোনির ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসে যেখানে পৌঁছে যায় তারা ২ বল আগেই।
দিনের আরেক ‘অস্তিত্ব রক্ষা’র ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ১১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডেকান চার্জার্স। ডেকানের ৭ উইকেটে করা ১৪৫ রানের জবাবে সমানসংখ্যক উইকেট হারিয়েই দিল্লি করেছে ১৩৪ রান। গতকালের হারে এবারের আইপিএলটা শেষই হয়ে গেল তাদের জন্য। শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে যেতে কঠিন সমীকরণ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। আজকের ম্যাচে শুধু শীর্ষে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারালেই হবে না, তাদের রান রেট হতে হবে বেঙ্গালুরুর চেয়ে বেশি।

No comments

Powered by Blogger.