ব্রিটেনের নির্বাচনী দৌড়ের কেন্দ্রে তৃতীয় দল
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে নির্বাচনী দৌড়ে সে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটস আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। গতকাল রোববার প্রকাশিত একটি জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দলটির জনপ্রিয়তা বেশ দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত ও বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের এই নির্বাচনী জনপ্রিয়তার মূল কারণ দলের নেতা নিক ক্লেগের পারদর্শিতা। গত বৃহস্পতিবার প্রচারিত ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে নিক ক্লেগ খুবই ভালো বক্তব্য রেখেছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
ব্রিটিশ পোলিং ইনডেক্স (বিপিআইএক্স) পরিচালিত ওই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা ১২ শতাংশ বেড়ে ৩২ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের প্রধান দুই দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা একই সময়ে যথাক্রমে সাত ও তিন শতাংশ কমে ৩১ ও ২৮ শতাংশে অবস্থান করছে। গত শুক্র ও শনিবার ব্রিটেনের দুই হাজার ১৪৯ জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
বিবিসির ‘সিট ক্যালকুলেটর’ (নির্বাচনী আসন হিসাবকারী প্রক্রিয়া)-এর হিসাব অনুযায়ী, জনপ্রিয়তায় তৃতীয় অবস্থানে থাকার পরও ক্ষমতাসীন লেবারদের ২৭৬টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য আরও ৫০টি আসনে জিততে হবে তাদের। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা ২২৬টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ১১৯টি আসনে জিততে পারে।
ব্রিটেনভিত্তিক স্কাই নিউজ টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিক ক্লেগ বলেন, ‘ব্রিটেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অবাক করা কিছু একটা ঘটছে। জনগণের একটি বড় অংশ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এবার আমরা ভিন্ন কিছু দিতে পারব তাদের।’
বাজার গবেষণার প্রতিষ্ঠান পোলস্টারস মোরির প্রতিষ্ঠাতা বব ওরস্টার স্থানীয় একটি পত্রিকায় লিখেছেন, জরিপের ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত নির্বাচনী দৌড় একঘেয়েভাবে এগোচ্ছিল। এখন তা গতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবারের বিতর্কের আগ পর্যন্ত লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা অনেকটা একঘরে হয়ে ছিল। এখন তারা আলোচনার কেন্দ্রে।
দুই বছর ধরে রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তার বিচারে ব্রিটেনে এগিয়ে ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু এ জরিপের ফল তাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। দলের নেতা ডেভিড ক্যামেরন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের ঘাড়ে চেপে বসা বড় দেনার দায় মোকাবিলা করতে তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের অন্যান্য সংবাদপত্রের পরিচালিত জরিপেও দেখা গেছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে রয়েছে। সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে দলটির জনপ্রিয়তা ১১ শতাংশ বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা সাত শতাংশ কমে ৩৩ শতাংশ এবং লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা দুই শতাংশ কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপের ফলাফলেও দেখা গেছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা সাত শতাংশ বেড়েছে। সানডে মিরর পত্রিকার জরিপেও দেখা গেছে, দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে আট শতাংশ।
বিবিসির রাজনৈতিক গবেষণা শাখার সম্পাদক ডেভিড কলিং বলেন, ‘জরিপগুলোর ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি দ্রুততায় বেড়েছে। তবে এই অভাবনীয় পরিবর্তন নির্বাচনের ফলাফলে কতটুকু প্রভাব ফেলবে, তা তুলনা করার মতো ঐতিহাসিক তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত ও বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের এই নির্বাচনী জনপ্রিয়তার মূল কারণ দলের নেতা নিক ক্লেগের পারদর্শিতা। গত বৃহস্পতিবার প্রচারিত ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে নিক ক্লেগ খুবই ভালো বক্তব্য রেখেছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
ব্রিটিশ পোলিং ইনডেক্স (বিপিআইএক্স) পরিচালিত ওই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা ১২ শতাংশ বেড়ে ৩২ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের প্রধান দুই দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা একই সময়ে যথাক্রমে সাত ও তিন শতাংশ কমে ৩১ ও ২৮ শতাংশে অবস্থান করছে। গত শুক্র ও শনিবার ব্রিটেনের দুই হাজার ১৪৯ জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
বিবিসির ‘সিট ক্যালকুলেটর’ (নির্বাচনী আসন হিসাবকারী প্রক্রিয়া)-এর হিসাব অনুযায়ী, জনপ্রিয়তায় তৃতীয় অবস্থানে থাকার পরও ক্ষমতাসীন লেবারদের ২৭৬টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য আরও ৫০টি আসনে জিততে হবে তাদের। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা ২২৬টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ১১৯টি আসনে জিততে পারে।
ব্রিটেনভিত্তিক স্কাই নিউজ টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিক ক্লেগ বলেন, ‘ব্রিটেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অবাক করা কিছু একটা ঘটছে। জনগণের একটি বড় অংশ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এবার আমরা ভিন্ন কিছু দিতে পারব তাদের।’
বাজার গবেষণার প্রতিষ্ঠান পোলস্টারস মোরির প্রতিষ্ঠাতা বব ওরস্টার স্থানীয় একটি পত্রিকায় লিখেছেন, জরিপের ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত নির্বাচনী দৌড় একঘেয়েভাবে এগোচ্ছিল। এখন তা গতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবারের বিতর্কের আগ পর্যন্ত লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা অনেকটা একঘরে হয়ে ছিল। এখন তারা আলোচনার কেন্দ্রে।
দুই বছর ধরে রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তার বিচারে ব্রিটেনে এগিয়ে ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু এ জরিপের ফল তাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। দলের নেতা ডেভিড ক্যামেরন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের ঘাড়ে চেপে বসা বড় দেনার দায় মোকাবিলা করতে তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের অন্যান্য সংবাদপত্রের পরিচালিত জরিপেও দেখা গেছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে রয়েছে। সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে দলটির জনপ্রিয়তা ১১ শতাংশ বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা সাত শতাংশ কমে ৩৩ শতাংশ এবং লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা দুই শতাংশ কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপের ফলাফলেও দেখা গেছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা সাত শতাংশ বেড়েছে। সানডে মিরর পত্রিকার জরিপেও দেখা গেছে, দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে আট শতাংশ।
বিবিসির রাজনৈতিক গবেষণা শাখার সম্পাদক ডেভিড কলিং বলেন, ‘জরিপগুলোর ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি দ্রুততায় বেড়েছে। তবে এই অভাবনীয় পরিবর্তন নির্বাচনের ফলাফলে কতটুকু প্রভাব ফেলবে, তা তুলনা করার মতো ঐতিহাসিক তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
No comments