সোনার হাঁসটাকে বাঁচিয়ে রাখতে বলছেন বোথাম

লাভের গুড় খাচ্ছেন বলে সুনীল গাভাস্কারদের মতো কিংবদন্তিরাও এখন টি-টোয়েন্টির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু এখনো কেউ কেউ আছেন, ক্রিকেটের ছোট এই সংস্করণের নেতিবাচক দিকটাও তুলে ধরেন অকপটে। ইয়ান বোথাম যেমন। সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার বলছেন, টি-টোয়েন্টি যেন সবার কাছে সোনার ডিম পাড়া হাঁস। বেশি লোভে লোভে শেষে না এই হাঁসটাকেই মেরে ফেলে সবাই!
বোথামের কথার সবচেয়ে ভালো প্রমাণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বসেরা হওয়ার এই মর্যাদার লড়াই চার বছর পর পরই হওয়ার রেওয়াজ। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন খোদ আইসিসি করছে তিনটি! বোথাম তাই বলছেন, ‘খেলাটা দারুণ। টি-টোয়েন্টি জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু আমার মতে, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটা চার বছর পর পরই হওয়া উচিত। ফ্র্যাঞ্চাইজি আর কাউন্টি পর্যায়ে খেলাটা ঠিক আছে, এতে প্রচুর টাকা আসছে, দরজা দিয়ে নতুন নতুন অনেক খেলোয়াড়ও উঠে আসছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন এত খেলা হচ্ছে, সেখানে আবার আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি-টোয়েন্টি কেন? এটাকে স্পেশালই রাখুন না। চার বছরে একবার করে বিশ্বকাপের আয়োজন করুন।’
পরিষ্কারভাবেই বোথাম ‘লোভ’ শব্দটা উচ্চারণ করেছেন। টি-টোয়েন্টি দিয়ে আইসিসি দেদার টাকা কামিয়ে নিতে চায় বলে মনে করেন তিনি, ‘গত জুনেই ইংল্যান্ডে একটা বিশ্বকাপ হলো। এরই মধ্যে ক্যারিবিয়ানে আবার আরেকটি বিশ্বকাপ। এটা তো লোভ। প্রতি রাতেই আপনি যদি আপনার প্রিয় সিনেমাটি দেখতে থাকেন, এক দিন তো ওটার ওপরও ঘেন্না চলে আসতে বাধ্য। তাই সতর্ক হওয়া দরকার। না হলে সোনার ডিম পাড়া হাঁসটাই ওরা মেরে ফেলবে একদিন।’
টি-টোয়েন্টির টাকার এমনই অমোঘ আকর্ষণ, আগামী ২ মে ৪২-এ পা দিতে চলা ব্রায়ান লারাও পরিকল্পনা করছেন ক্রিকেটে ফেরার। ইংলিশ কাউন্টি দল সারে তাঁর সঙ্গে ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি-টোয়েন্টির জন্য চুক্তি করছে বলে খবর। লারার এ সিদ্ধান্তের কথা শুনে তাত্ক্ষণিকভাবে বিস্মিত হয়েছিলেন বলে স্বীকার করে নিলেন বোথাম, ‘ওর অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণটা বন্ধ করা দরকার, অথবা ও-রকম কিছু একটা। আমি আসলেই খুব বিস্মিত। অবশ্য জীবনটা ওর। আমার তাতে নাক গলানোর হক নেই।’

No comments

Powered by Blogger.