এবার চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হলেন শিক্ষার্থীরা

(বটতলী স্টেশন থেকে পুনরায় শাটল ট্রেন চালুর দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের চলমান কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় এক শিক্ষার্থীর টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন পুলিশের এক সদস্য। ছবি: প্রথম আলো) বটতলী স্টেশন থেকে পুনরায় শাটল ট্রেন চালুর দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের চলমান কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এ সময় তারা কয়েকজন শিক্ষার্থীর জামা ছিঁড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গতকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিল হোসেন এক ছাত্রীকে পেছন থেকে লাথি মারেন। এ ঘটনার এক দিন পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রেললাইন সংস্কারের কারণ দেখিয়ে গত বছরের ৩১ সেপ্টেম্বর থেকে নগরের বটতলী স্টেশনের বদলে ষোলশহর স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী শাটল ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃ‌র্পক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, রেললাইনের সংস্কারকাজ শেষ হলেও বটতলী স্টেশন থেকে পুনরায় শাটল ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েক দিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা। এর অংশ হিসেবে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের সদস্যরা বেশ কয়েকবার এসে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে বলেন। কিন্তু এর পরও কর্মসূচি চলতে থাকে। এ নিয়ে একপর্যায়ে পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের কথা–কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ ধাক্কা দিতে দিতে তাঁদের সরিয়ে দেয় এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীর শার্ট ও টি–শার্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলে।
এদিকে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিকুল তাজিমের মেইল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ও প্রচার সম্পাদক মির্জা ফখরুলসহ প্রায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকুল তাজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু এর পরও হঠাৎ পুলিশ এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ সংগঠনের ১০জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছি। এই হামলা প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয়।’
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন পুলিশের হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ মিছিলসহ কর্মসূচি চলতে থাকায় রেজিস্ট্রার ভবনে কাজের সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমরা তাদের বারবার কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ করি। কিন্তু এরপরও তারা না যাওয়ায় তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু না।’

No comments

Powered by Blogger.