শীতকালের মধ্যে ডিসিসি নির্বাচনের কথা ভাবতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

(আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা) প্রশাসকদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন না করে কীভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে তিনি শীতকালের মধ্যে নির্বাচন করা যায় কি না, তা ভাবতে বলেন। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০১৪ শিরোনামে খসড়াটি মন্ত্রিসভা ফেরত দিয়েছে।
খসড়াটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে বৈঠকে উত্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশাসকদের মেয়াদ বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় ঢাকা মহানগরের উন্নয়ন কার্যক্রম ঠিকমতো চলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সিটি করপোরেশনের স্বাভাবিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। সামান্য কাজের জন্য মানুষকে ছুটতে হয় করপোরেশন অফিসে, যা আগে তাঁরা স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নিজ এলাকা থেকেই পেতেন।
সর্বশেষ ২০০২ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন বর্জন করে তখনকার প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। জয় পান বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ডিসিসিকে উত্তর ও দক্ষিণ—এ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালের ২৪ মে দুই ডিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের পর ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ১৩ মে উচ্চ আদালত নির্বাচনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। কিন্তু সরকার কৌশলে সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা জিইয়ে রাখে। তবে ওই বছর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীরা মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় ব্যাপক গণসংযোগও শুরু করেছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.