গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে লাগাতার কর্মসূচি

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। রোববার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেদিন দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসবে সেদিন থেকেই লাগাতার কর্মসূচি শুরু হবে। তবে কী কর্মসূচি দেয়া হবে তা পরে জানানো হবে। এর আগে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে এ দুর্নীতি-লুটপাট করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে সরকারের দুর্নীতির কারণে দফায় দফায় দাম বাড়াতে হচ্ছে। এ দুর্নীতি নিয়ে যাতে কোনো বিচার না হয়, সে জন্য এর সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের ইনডেমনিটি দিয়েছে সরকার। এখন আবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ দাম বৃদ্ধি জনজীবনে আরও বিপর্যয়ের কারণ হবে। আমরা ২০ দলীয় জোট এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আর সিদ্ধান্ত না বদলিয়ে তা কার্যকর করা হলে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি দেব। যেদিন থেকে এসবের দাম বাড়ানো হবে, সেদিন থেকে ২০ দলীয় জোট লাগাতার কর্মসূচি দেবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমেছে। অথচ বাংলাদেশের বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি দেশ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন, তা বাংলাদেশের কূটনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে ২০ দলীয় জোট। এ বক্তব্যের নিন্দা জানায় জোট।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ খাদ্য উৎপাদনে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করছে। একদিকে ভারত থেকে লাখ লাখ টন চাল আমদানি করছে, অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চাল রফতানি করা হচ্ছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে বিদেশ থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে বাংলাদেশে কৃষকের উৎপাদিত চালের দাম বৃদ্ধির দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, ১৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে জনসভা করবে ২০ দলীয় জোট। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য রেদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদওয়ান আহমদ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দীন ইকরাম, সালাহউদ্দীন মতিন, ডেমোক্রেটিক লীগের খোকন চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.