চীনের সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান গ্রেপ্তার

চীন সরকারের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক প্রধান ঝু ইয়ংকাংকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তাঁকে ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) থেকে বহিষ্কার করা হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি ও বিবিসির। ঝু ইয়ংকাংকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি দুই বছর আগে অবসর নেওয়ার আগে চীনের সুবিশাল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান পদে ছিলেন। তাঁর সাবেক সহযোগী ও আত্মীয়দের অনেকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে দল এবং সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইয়ংকাংয়ের বিরুদ্ধে ‘দলীয় শৃঙ্খলার গুরুতর লঙ্ঘন’, ‘মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ’, ‘দল ও রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়া’, ‘একাধিক নারীর সঙ্গে ব্যাভিচার’ ইত্যাদি দুর্নীতি ও অন্যায়ের অভিযোগ তদন্ত করা হবে। ইয়ংকাংয়ের বয়স ৭০ বছরের কাছাকাছি। তাঁকে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইয়ংকাংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জিনপিং নিজের ক্ষমতার রাশ আরও শক্ত করার সুযোগ পাবেন।
নিরাপত্তাপ্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইয়ংকাং ছিলেন চীনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ হিসেবে পরিচিত সিপিসির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে দাপুটে বলে পরিচিত ছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে তাঁকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারি দায়িত্বে থাকাকালে তিনি নিজ অনুসারীদের অনেককে তেলসম্পদ ও নিরাপত্তা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। ইয়ংকাংয়ের বিশ্বস্তদের অনেকেই দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত অথবা অভিযুক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর্ডহ্যাম ল স্কুলের চীনা আইন বিশেষজ্ঞ কাল মিনজনার বলেন, ইয়ংকাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জিনপিং সিপিসির দীর্ঘদিনের রীতি ভাঙছেন। দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পর দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয় না।

No comments

Powered by Blogger.