বিশ্বভারতী ছাড়ছেন বাংলাদেশী ধর্ষিতা

দেশে ফিরে আসছেন শান্তিনিকেতনে ধর্ষিত বাংলাদেশী ছাত্রী। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আজ জবানবন্দি দেবেন তিনি। এরপর দেশে ফেরার কথা তার। গতকালই ছাত্রী নিবাস ছাড়ার কথা। গতকাল এ খবর দিয়েছে বিবিসি। ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তাকে ধর্ষণ করেছে আরেক বাংলাদেশী মহম্মদ সফিকুল ইসলাম। সফিকুল পিএইচডি করছেন ভারতে। সেখানে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশী ওই ছাত্রীর স্থানীয় অভিভাবক। পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে সংঘটিত এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে কলকাতায়। ভারতে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায়  চারদিকে উত্তেজনা বিরাজ করছে এমনিতেই, এর মধ্যে শান্তিনিকেতনে সেই ঘটনা! পুলিশের কাছে বাংলাদেশী ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতীতেই অধ্যয়নরত বাংলাদেশী একজন গবেষক তাকে ধর্ষণ করেছে। শুক্রবার তার পিতা বাংলাদেশ থেকে কলকাতা গিয়ে পৌঁছলে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি বলেছেন, শ্রীনিকেতনে সোশাল ওয়ার্ক বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে গবেষণারত একজন বাংলাদেশী তার আপত্তিকর ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাতো। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই গবেষক। অভিযুক্ত গবেষক ছাত্রীটির পূর্বপরিচিতই শুধু নয়, তাকে তার ‘স্থানীয় অভিভাবক’ করেছিলেন ধর্ষিতার পিতা। পুলিশ তাকে আটক করেছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। পুলিশ তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত করেছে। শান্তিনিকেতন যে মহকুমার অধীন, সেই বোলপুরের মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা সূর্যপ্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, গতকালই পিতার সঙ্গে বিশ্বভারতীর ছাত্রী নিবাস ছেড়ে দেয়ার কথা দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার গোপন জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে। তার পরেই পিতার সঙ্গে দেশে ফিরবেন ওই ছাত্রী। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন  মন্তব্য করে নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও ছাত্রীরা যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পড়তে যাওয়া এক ছাত্রীও তার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। সেই ছাত্রীও বিশ্বভারতী ছেড়েছেন। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে এক ছাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে এক যুবক।

No comments

Powered by Blogger.