এক মহীরুহের প্রস্থান

অভিনয় অঙ্গনের এক মহীরুহই ছিলেন তিনি। দেশীয় চলচ্চিত্রের ডাকসাইটে নায়ক-অভিনেতা। অভিনয়ের আলো ছড়িয়েছেন টিভি এবং মঞ্চ নাটকেও। বরেণ্য এ মানুষটি আর নেই। গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তিকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি তিন ছেলে ও চার মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার আরও দুই ছেলে ছিল। বাবার আগেই তারা চিরবিদায় নিয়েছেন। গতকাল শক্তিমান এ অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। শোবিজ ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের অনেকেই তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে যান স্কয়ার হাসপাতালে। বিকাল ৩টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে প্রথম জানাজা পড়ানো হয়।  বাদ মাগরিব তাকে দাফন করা হয় মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ জামে মসজিদ কবরস্থানে। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন খলিল। তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অসুস্থ খলিলের চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছিলেন। খলিলের জন্ম ১৯৩৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সিলেটে। মঞ্চ দিয়েই তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। ‘প্রীত না জানে রীত’ ছবির নায়ক হওয়ার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। গুণী এই অভিনেতা তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুণ্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এ ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহ আরও অনেকে। চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে তিনি শবনমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে সবচেয়ে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য ছবি হলো- ‘সঙ্গম’, ‘পুনম কি রাত’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘ক্যায়সে কাহু’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘উলঝান’, ‘সমাপ্তি’, ‘তানসেন’, ‘আলোর মিছিল’, ‘নদের চাঁদ’, সোনার কাজল’, ‘অলংকার’,  ‘মাটির ঘর’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘বেঈমান’, ‘আগুন’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘কন্যা বদল’, ‘যৌতুক’, ‘আয়না’, ‘মাটির পুতুল’, ‘আওয়াজ’, ‘নবাব’, ‘সোনার চেয়ে দামি’, ‘বদলা’, ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘আয়না’, ‘মধুমতি’, ‘ওয়াদা’, ‘ভাই ভাই‘, ‘বিনি সুতোর মালা’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সুখে থাকো’, ‘অভিযান’, ‘পুনর্মিলন’, ‘কার বউ’, ‘বউ কথা কও’, ‘দিদার’, ‘দ্বীপকন্যা’, ‘সুখের ঘরে দুঃখের আগুন’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড়’ ইত্যাদি। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি খলিল টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত বিশেষ নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আবদুল্লাহ আল মামুনের ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’। এ নাটকটি বিটিভিতে প্রচার হয়। ‘সংশপ্তক’-এর মিয়া চরিত্রে অভিনয় করে তিনি আলোড়ন তোলেন। ‘মিয়ার বেটা মিয়া’ হিসেবে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে ছোট পর্দার দর্শকদের মুখে মুখে। অভিনয়ে পুরোদস্তুর ব্যস্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ আনসারের কর্মকর্তা ছিলেন খলিল। তার মৃত্যুতে অভিনয় জগত একজন খ্যাতিমান শিল্পীকে হারালো। অভিনয় জগতে খলিলের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।
শোক
রাজ্জাক
তিনদিন আগেও আমার সঙ্গে ফোনে কথা হলো। বলছিলেন, যে কোন সময় চলে যেতে পারি। কথাটা শুনে খুব খারাপ লেগেছিলো। আজ সত্যিই তিনি নেই। মেনে নিতে পারছি না। তিনি ছিলেন আমার সত্যিকারের মুরুব্বি, অভিভাবক। নিজেকে কখনও তিনি সিনিয়র মনে করতেন না। তিনি যেমন আমার বন্ধু ছিলেন, ঠিক তেমনি আমার দুই ছেলে বাপ্পা ও সম্রাটের বন্ধু ছিলেন। আমাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন তিনি। তার হঠাৎ চলে যাওয়ায় আমাদের পরিবারেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।
কবরী
খলিল ভাইয়ের অভিনয়ের মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণ ছিল। আকর্ষণটা ঠিক এমন ছিল, তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করতেন সেটি ফুটিয়ে তুলতে তার গলার আওয়াজ সহায়ক ভূমিকা পালন করতো। যে কারণে তার চরিত্রটিও হয়ে উঠতো প্রাণবন্ত। খলিল ভাই কখনও তাকে দেয়া চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করতেন না। তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করতেন তাতে সহজাতভাবেই অভিনয় করতেন। আর তাতেই চরিত্রটি ফুটে উঠতো। আর সেসব চরিত্রই দর্শককে খুব আকৃষ্ট করতো। আমার মতে, খলিল ভাইয়ের মতো অভিনেতা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আর দ্বিতীয়জন নেই। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আবুল হায়াত
এটা বড় কষ্টের একটি খবর। আমাদের মাঝ থেকে এমন একজন মানুষের চলে যাওয়া সত্যিই মেনে নেয়া কঠিন। নাটক ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আঁকড়ে ছিলেন আমাদের সঙ্গে। খলিলুল্লাহ খানের শূন্যতা পূরণ হওয়ার  নয়। এ অপূরণীয় ক্ষতি কিভাবে ঘুচবে সেটা আমার জানা নেই। খুব প্রাণবন্ত একজন মানুষ ছিলেন তিনি। আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আতাউর রহমান
খলিলুল্লাহ খানের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। অনেক কাজ করেছি  আমরা। শুনেছি তিনি হাসপাতালে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু এ মুহূর্তে মৃত্যুর সংবাদটি শুনলাম। খুবই খারাপ লাগছে। তার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ক্ষতি। কাছ থেকে এ মানুষটিকে দেখেছি। কোনদিন অহংকারবোধ কি সেটা দেখা যায়নি তার মধ্যে। সদা হাস্যোজ্জ্বল একজন মানুষ ছিলেন খলিল। আর যখনই সাক্ষাৎ হতো রসিকতা ছাড়া থাকতেই পারতেন না তিনি। এমন একজন মানুষকে আর কাছে পাবো না। বিষয়টি যেন ভাবতেই খুব কষ্ট হচ্ছে। পরপারে যেন তিনি ভাল থাকেন সে কামনাই করি।
মামুনুর রশীদ
এক এক করে নাটক ও চলচ্চিত্রাঙ্গনের বটগাছগুলো চলে যাচ্ছেন। যারা প্রজন্মের নতুনদের জন্য ছায়া হয়ে থাকতেন। আজও একজন বিদায় নিলেন। খলিলুল্লাহ খান আমাদের গর্ব। তার মতো অভিনেতা আমাদের মিডিয়া জগতে আর একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যে মানুষটির সঙ্গে মিশলেই সারাক্ষণ হাসি ঠাট্টার মধ্যে থাকতাম তাকে এখন থেকে আর কাছে পাবো না। এটা সত্যি খুব বেদনাদায়ক বিষয়। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক এ কামনা করা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই এ মুহূর্তে।
সুচন্দা
আসলে সবাই আমরা এখন তাড়াতাড়ি  ফুরিয়ে যাচ্ছি, চলে যাচ্ছি। এটাই হয়তো নিয়ম, বয়স হলে চলে যেতে হয়। নায়িকা হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি খলিল ভাইয়ের চলচ্চিত্র দেখেছি। তিনি সব সময়ই একজন হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল মানুষ ছিলেন। কারও যদি মনে কোন কষ্ট থাকতো কিংবা খলিল ভাইয়ের প্রতি রাগ থাকতো তবে তিনি এমন কিছু বলতেন, রাগ আর থাকতো না কিংবা না হেসে পারতেন না। খলিল ভাইয়ের সামনে এলে সব দুঃখ ভুলে যেতে হতো। এটা তার অনেক বড় গুণ ছিল। সর্বশেষ তার সঙ্গে আমার এ্যাপোলো হাসপাতালে দেখা হয়েছিলো। সেখানে অনেকটা সময় কেটেছিলো তার সঙ্গে। আমাকে অনেক গল্প শুনিয়েছিলেন। সেদিনের সেই কথাগুলো আজ বারবার কানে ভেসে আসছে। খলিল ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।
উজ্জল
নায়ক হওয়ারও আগে খলিল ভাইয়ের অভিনয়ের ভক্ত ছিলাম আমি। সেই পর্দার মানুষটির সঙ্গে যখন একসঙ্গে কাজ শুরু করি তখন পেয়েছিলাম সহযোগিতার হাত। বন্ধুবৎসল একজন মানুষ ছিলেন তিনি। যখন যেখানে থাকতেন মাতিয়ে রাখতেন। শুধু তাই নয়, জুনিয়র শিল্পীদের আপন করে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। পরবর্তীতে আমরা কাজ করতে এসে ফলো করেছি খলিল ভাইকে। একজন অত্যন্ত বিনয়ী, সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষকে হারালাম আমরা। এই ক্ষতি কোনদিনই পূরণ হওয়ার নয়।
ববিতা
সেই পুতুল খেলার বয়স থেকে খলিল ভাই, গোলাম মুস্তাফা ভাই, শওকত আকবর ভাইয়ের সঙ্গে আমার কাজ করা। তাদের আদর  স্নেহেই আমি বেড়ে উঠেছি। নায়কদের চেয়ে তাদের সঙ্গেই আমার বেশি ঘনিষ্ঠতা ছিল। কারণ, তাদের সঙ্গে আমি বেশি বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। খলিল ভাই আমার অভিভাবক ছিলেন। সব সময়ই আমার, ছেলে অনিকের খোঁজ-খবর রাখতেন। হজে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে কথা হয়েছিলো, ফিরে এসেও কথা হয়েছে। তার সঙ্গে ‘আলোর মিছিল’, ‘বাঁদি থেকে বেগম’সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। আমাকে প্রায়ই বলতেন, আপনার জন্য পাত্র দেখছি। এটা বলে তিনি মজা করতেন। সত্যিকারের একজন গুণী শিল্পী ছিলেন খলিল ভাই। কিন্তু আমরা কি তার মূল্যায়ন করতে পেরেছি? পারিনি। মৃত্যুর পর বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি, বিভিন্ন চ্যানেলে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপনের মধ্য দিয়েই আসলে এ ধরনের গুণী শিল্পীদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। খলিল ভাইদের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। আল্লাহ খলিল ভাইকে বেহেশত নসিব করুন।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
একটা বিষয় ভেবে খুব খারাপ লাগছে আমাদের মাঝ থেকে সব নক্ষত্র ঝরে পড়ছে। আজ খলিলুল্লাহ খান মারা গেলেন। বিষয়টি মেনে নিতেই কষ্ট হচ্ছে। এটা সত্যি, একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। খলিলুল্লাহ খানের মৃত্যু ও তার শূন্যতা বহুদিন আমাদের নাটক ও চলচ্চিত্রাঙ্গনকে ভোগাবে। আমি তার পরকালের শান্তি কামনা করি।
তারিক আনাম খান
একজন অভিনেতা হিসেবে নয়, ব্যক্তি হিসেবে যদি বলি, খলিল ভাইয়ের মতো মানুষ আর হয় না। আমার অভিনয় জীবন আর ব্যক্তিজীবনে অনেক স্মৃতি তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু আজ যখন শুনলাম তিনি আমাদের মাঝে আর নেই, বিষয়টি তখন মেনে নিতে পারছিলাম না। নাটক ও চলচ্চিত্রের এমন একজন দাপুটে অভিনেতা আর তৈরি হবে না এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। আল্লাহ তার বেহেশত নসিব করুন এটাই কামনা করছি।
সুবর্ণা মুস্তাফা
বিটিভির ‘সংশপ্তক’সহ অনেক নাটকেই খলিল ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি। এতটা ভাল মনের মানুষ তিনি, যা বলে শেষ করা যাবে না। তার মৃত্যুর খবরটি পেয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। খুবই কষ্ট লাগছে। আমাদের মাঝ থেকে এমন একজন মানুষের চলে যাওয়া ও তার অভাব দীর্ঘদিন ভুগিয়ে ছাড়বে। খলিল ভাইয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
শাকিব খান
আমাদের শিল্পী সমিতির রূপকারদের একজন তিনি। শিল্পী সমিতির আজকের অবস্থানের পেছনে যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা খলিল ভাইয়ের, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সর্বশেষ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বলেছিলেন, শিল্পী সমিতি সব সময়ই তার পাশে ছিল, আছে, থাকবে। এতে তিনি সবার সামনে শিল্পী সমিতির যে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরেছিলেন তাতে আমরা সত্যিই ভীষণ কৃতজ্ঞ ছিলাম তার প্রতি। এমন অসাধারণ একজন মানুষের মৃত্যুতে আজ আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। তার সঙ্গে অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এত সহযোগিতাপরায়ণ শিল্পী ছিলেন তিনি, ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যাবে না। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।
এফডিসিতে শেষ শ্রদ্ধা
কিংবদন্তি অভিনেতা খলিলউল্লাহ খানকে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান এফডিসিতে। বিকাল ৩টায় সবার প্রিয় মানুষ অভিনেতা খলিলের নিথর দেহ তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে শেষবারের মতো নিয়ে আসা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। খলিলের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি, তথ্য সচিব মোরতুজা আহমেদ, অতিরিক্ত তথ্য সচিব ও এফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন-উর-রশীদ, নায়করাজ রাজ্জাক, সৈয়দ হাসান ইমাম, ববিতা, এ টি এম শামসুজ্জামান, উজ্জল, আলমগীর, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আমজাদ হোসেন, আজিজুর রহমান, ওমর সানি, মিশা সওদাগর, নাসির খান, হেলাল খান, মনির খান, মঞ্জুর হোসেন, সম্রাটসহ অনেকেই। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, এফডিসি, চলচ্চিত্র কলাকুশলী ও কর্মচারী ইউনিয়ন, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, ফিল্ম এডিটর গিল্ড, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) ও বাংলাদেশের কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে অশ্রুসজল চোখে চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রিয় শিল্পীকে শেষ বিদায় জানান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আগামীকাল বাদ আসর খলিলউল্লাহ খানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

No comments

Powered by Blogger.